কলকাতা : এই লকডাউনে কলকাতায় নিজের বাড়িতেই রয়েছেন পাওলি দাম । তার উপর আজ রবীন্দ্রজয়ন্তী । ছোটোবেলা থেকেই এই বিশেষ দিনটি পাওলির জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ । অনেকগুলো বছর পর বাড়িতে বাবা-মায়ের সঙ্গে আগের মতো রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করছেন তিনি । এই দিনটিকে ঘিরে অনেক স্মৃতি রয়েছে তাঁর জীবনে । যা তিনি শেয়ার করলেন ETV ভারত সিতারার সঙ্গে।
পাওলি বলেন, "আমার থেকেও আমার মা প্রতিবছর এই দিনে বিভিন্ন ধরনের প্ল্যান করেন । আমি শুধু সেগুলো ফলো করি । আমার মা-বাবার বাড়িতে আলাদা করে মূর্তি পুজো হয় না । একজন ঠাকুরেরই পুজো হয়, তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর । প্রত্যেক বছর রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করা হয় । এখন আমাদের কবিগুরুর ছবি সাজানো শুরু হয়ে গিয়েছে । বেডসিট, বেডকভার বের করা হয়েছে । আমি ছোটোবেলায় স্কুলে ক্রুশের ক্লথ বানিয়েছিলাম । সেটা একটা কাঠের টেবিলে পাতা হয়েছে । ফুল এসে গিয়েছে, যেমন - রজনীগন্ধার স্টিক, মালা । এই লকডাউনেও ভাগ্যক্রমে ফুল পেয়েছি আমরা । আজ সারাদিনই সাজানো হবে ঘরবাড়ি। গান গাওয়া হবে। এই সবই বাড়িতে হবে আর আমরা বাড়ির সবাই অংশগ্রহণ করব।"
- " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
">
বড় হয়ে কাজের ব্যস্ততার কারণে প্রত্যেক বছর রবীন্দ্রজয়ন্তীতে সময় দিতে পারতেন না পাওলি । তবে এবার লকডাউনের কারণে এই দিনটাকে ছোটোবেলার মতো বাবা-মায়ের সঙ্গে পালন করার সুযোগ পেলেন তিনি । বলেন, "ছোটোবেলা থেকে প্রতিবছরই আমরা বাড়িতে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করি । তখন আরও বড় করে পালন করা হত । মা তো গান শেখাতেন, তাই তখন মায়ের ছাত্রছাত্রীরাও আসত । জয়েন্ট ফ্যামিলিতে আমি বড় হয়েছি, আমার ভাইবোনেরা আসত । সবাই মিলে একসঙ্গে খুবই মজা করতাম । সুন্দরভাবে সেজেগুজে নাচ করতাম । সেই স্মৃতি আজও আমার স্মরণে উজ্জ্বলভাবে থেকে গিয়েছে । অনেকবছর পর সেই অনুভূতিটা আবার ফিরে এসেছে, যেহেতু এখন লকডাউন চলছে । এই লকডাউনে আরও অনেক কিছু করতে পারছি, যেটা করা হত না ।"
এই লকডাউনে আগের মত সময় মেনে চলছেন না পাওলি । প্রচুর ঘুমাচ্ছেন, সিনেমা দেখছেন, বই পড়ছেন, গান শুনছেন ও গাইছেন, নাচ করছেন । তার সঙ্গে নতুন ধরনের রান্নাও করছেন । কেরালার রান্নাও শিখেছেন । চটজলদি খাবার বেশি পছন্দ করেন তিনি । মনে করেন সেগুলো অস্বাস্থ্যকর হয় না । সম্প্রতি বিভিন্ন ধরনের মশলা নিয়ে গবেষণা করছেন তিনি ।