ETV Bharat / sitara

প্রিয় পুলুদার মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না দীপঙ্কর দে - soumitra death

সৌমিত্রবাবুর মৃত্যুতে শোকাহত দীপঙ্কর দে । ETV ভারতকে তিনি বলেন, "আমার সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল । আমি তাঁকে আমার শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছি । একটা যুগ শেষ হয়ে গেল এইটুকু বলতে পারি ।"

asd
asd
author img

By

Published : Nov 17, 2020, 2:29 PM IST

কলকাতা : কিংবদন্তী অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শোকের ছায়া টলিউড থেকে বলিউড সব জায়গাতেই । তাঁর মৃত্যুতে অনেকেরই চোখের জল বাঁধ মানছে না । সৌমিত্রবাবুর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও কাছের মানুষ ছিলেন অভিনেতা দীপঙ্কর দে । প্রিয় পুলুদার চলে যাওয়া এখনও মেনে নিতে পারছেন না তিনি ।

সৌমিত্রবাবুর মৃত্যুতে শোকাহত দীপঙ্কর দে । ETV ভারতকে তিনি বলেন, "আমার সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল । আমি তাঁকে আমার শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছি । একটা যুগ শেষ হয়ে গেল এইটুকু বলতে পারি ।"

asdas
দীপঙ্কর দে

ETV ভারতকে দোলন বলেন, "প্রতিটা মৃত্যু দীপঙ্করকে অত্যন্ত নাড়িয়ে দেয় । সৌমিত্রদার সঙ্গে টিটোর সম্পর্ক অভিনয়ে আসারও আগে । পাশের বাড়িতে থাকত । তখন টিটো এই পেশাতে আসেওনি । আর সৌমিত্রদা তখন পরিচিত অভিনেতা হয়ে উঠেছেন । টিটো কাজ করত বিজ্ঞাপন জগতে । সৌমিত্রদাই বলতেন টিটোকে, 'অভিনয় করতে হবে না, যেটা করছিস সেটাই কর' । এতোটাই কাছের মানুষ ছিলেন । যে কারণে সৌমিত্রদার চলে যাওয়া ভীষণভাবে নাড়িয়ে দিয়েছে টিটোকে ।"

লকডাউন শিথিল হওয়ার পরই কাজ শুটিং শুরু করেছিলেন সৌমিত্রবাবু । সব ঠিকই চলছিল । কিন্তু, অক্টোবরের শুরুর দিকে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন । এরপর বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে তাঁর কোরোনা পরীক্ষা করা হয় । 6 অক্টোবর রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে । তড়িঘড়ি মিন্টো পার্কের কাছে থাকা একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে । হাসপাতালে ভরতির পরও ঠিকই ছিলেন । নিজের মতো করে সময় কাটাচ্ছিলেন । লেখালেখি করছিলেন । কিন্তু, 9 অক্টোবর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে ।

অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ায় তাঁকে ITU-তে স্থানান্তরিত করা হয় । 20 অক্টোবর স্নায়ুর সমস্যার জেরে ফের তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় । নভেম্বরের শুরুতে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছিল । যদিও তাঁকে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসরা । এরপর 40 দিন ধরে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর অবশেষে রবিবার বেলা 12টা 15 মিনিটে ওই হাসপাতালেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি ।

রবিবার সন্ধেয় কেওড়াতলা শ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় ।

কলকাতা : কিংবদন্তী অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শোকের ছায়া টলিউড থেকে বলিউড সব জায়গাতেই । তাঁর মৃত্যুতে অনেকেরই চোখের জল বাঁধ মানছে না । সৌমিত্রবাবুর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও কাছের মানুষ ছিলেন অভিনেতা দীপঙ্কর দে । প্রিয় পুলুদার চলে যাওয়া এখনও মেনে নিতে পারছেন না তিনি ।

সৌমিত্রবাবুর মৃত্যুতে শোকাহত দীপঙ্কর দে । ETV ভারতকে তিনি বলেন, "আমার সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল । আমি তাঁকে আমার শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছি । একটা যুগ শেষ হয়ে গেল এইটুকু বলতে পারি ।"

asdas
দীপঙ্কর দে

ETV ভারতকে দোলন বলেন, "প্রতিটা মৃত্যু দীপঙ্করকে অত্যন্ত নাড়িয়ে দেয় । সৌমিত্রদার সঙ্গে টিটোর সম্পর্ক অভিনয়ে আসারও আগে । পাশের বাড়িতে থাকত । তখন টিটো এই পেশাতে আসেওনি । আর সৌমিত্রদা তখন পরিচিত অভিনেতা হয়ে উঠেছেন । টিটো কাজ করত বিজ্ঞাপন জগতে । সৌমিত্রদাই বলতেন টিটোকে, 'অভিনয় করতে হবে না, যেটা করছিস সেটাই কর' । এতোটাই কাছের মানুষ ছিলেন । যে কারণে সৌমিত্রদার চলে যাওয়া ভীষণভাবে নাড়িয়ে দিয়েছে টিটোকে ।"

লকডাউন শিথিল হওয়ার পরই কাজ শুটিং শুরু করেছিলেন সৌমিত্রবাবু । সব ঠিকই চলছিল । কিন্তু, অক্টোবরের শুরুর দিকে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন । এরপর বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে তাঁর কোরোনা পরীক্ষা করা হয় । 6 অক্টোবর রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে । তড়িঘড়ি মিন্টো পার্কের কাছে থাকা একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে । হাসপাতালে ভরতির পরও ঠিকই ছিলেন । নিজের মতো করে সময় কাটাচ্ছিলেন । লেখালেখি করছিলেন । কিন্তু, 9 অক্টোবর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে ।

অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ায় তাঁকে ITU-তে স্থানান্তরিত করা হয় । 20 অক্টোবর স্নায়ুর সমস্যার জেরে ফের তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় । নভেম্বরের শুরুতে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছিল । যদিও তাঁকে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসরা । এরপর 40 দিন ধরে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর অবশেষে রবিবার বেলা 12টা 15 মিনিটে ওই হাসপাতালেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি ।

রবিবার সন্ধেয় কেওড়াতলা শ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.