ETV Bharat / sitara

লকডাউনে মাথা ঠান্ডা রাখার পরামর্শ সন্দীপ্তার

লকডাউনের জেরে বন্ধ কাজ । এই পরিস্থিতিতে দিনে পর দিন বাড়িতে বসে রয়েছেন অনেকেই । তার মধ্যে কেউ কেউ ভুগছেন অবসাদে । এবার অবসাদ কাটানোর টিপস দিলেন অভিনেত্রী তথা সাইকোলজিস্ট সন্দীপ্তা সেন ।

dfff
df
author img

By

Published : Apr 11, 2020, 5:21 PM IST

Updated : Apr 12, 2020, 3:27 PM IST

কলকাতা : শুধু অভিনেত্রীই নন । সন্দীপ্তা সেন একজন ক্লিনিকাল সাইকোলজিস্টও । সবার মতো এখন বাড়িতেই কাটছে তাঁর দিন । পাশাপাশি সবাইকে এই সময় বাড়িতে থাকার জন্য অনুরোধও করছেন তিনি । এদিকে সারাক্ষণ বাড়িতে থাকার ফলে এখন অবসাদে ভুগছেন অনেকেই । এবার অবসাদ কাটানোর টিপস দিলেন সন্দীপ্তা । বিষয়টি নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছিল ETV ভারত ।

erg
.

সন্দীপ্তা আমাদের বলেন, "আমরা যেভাবে জীবন কাটাচ্ছিলাম, সেখান থেকে হঠাৎ একটা পরিবর্তন এসেছে । এই হঠাৎ পরিবর্তন আমাদের মস্তিষ্ক গ্রহণ করতে সময় নেবে । তার উপর এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যে বাড়ির বাইরে বেরোনোর অবকাশ নেই । একধরনের একঘেয়েমি, ক্লান্তি আসতেই পারে । শুরু হবে অবসাদ । যাঁরা বাড়ি থেকে কাজ করছেন তাঁদের জন্য ঠিক আছে । কিন্তু, যাঁরা করতে পারছেন না । যেমন আমাদের মতো পেশায় আছেন যাঁরা, তাঁদের কাজ থাকবে কি থাকবে না, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই । তাঁরা এই সব নিয়েই সারাক্ষণ চিন্তা করছেন । যার কারণে বাড়ছে অবসাদ । তবে কোরোনার সঙ্গে আমাদের লড়াই করতেই হবে । সরকারি নিয়ম মানতেই হবে । বাইরে বের হওয়ার কোনও উপায় নেই । বাইরে বেরোলে ক্ষতি আমাদেরই ।"

dfg
.

এই অবসাদের সঙ্গে লড়াই করার উপায় বাতলে দিয়েছেন সন্দীপ্তা । বলেন, "আমরা যেটা করতে পারি, সবার আগে প্যানিক করা কমাতে হবে । বেশি প্যানিক করলে শরীর খারাপ হবে । বাড়িতে আছি বলে সারাক্ষণ শুয়ে বসে থাকব, তা করলে কিন্তু হবে না । এই ভালো লাগছে না বিষয়টা থেকে বেরোতে হবে ।"

তার জন্য কয়েকটি জিনিস মেনে চলতে বলেছেন সন্দীপ্তা । তাঁর কথায়-

  • সকালে ঠিক সময় ঘুম থেকে উঠে পড়ুন । বাড়ির কিছু কাজ করুন । কাজ না থাকলে খুঁজে নিন । আমি যেরকম বাড়িতে ধুলো ঝাড়ার দায়িত্ব নিয়েছি । রোজ সকালে বাড়ির ধুলো ঝাড়ি । তারপর মাকে কাজে সাহায্য করছি । এরকমভাবে কাজ ভাগাভাগি করে নিতে হবে । একজনের উপর সব কিছু ঠেলে দিলে হবে না ।
dfg
.
  • বাড়ির বয়স্কদের সঙ্গে সময় কাটান । দিনে অন্তত 1 ঘণ্টা কাটাতেই পারেন । তাতে তাঁদেরও ভালো লাগবে । তাতে ওই মানুষগুলোর মেন্টাল হেলথও ভালো থাকবে।
dfg
.
  • এই সময় যোগা ও মেডিটেশন করা খুবই দরকার । যোগা শরীর ভালো রাখবে । মেডিটেশন করলে মন শান্ত থাকবে । দুশ্চিন্তা দূর হবে সহজেই । আমরা দু'মাস আগেও জানতাম না, এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হব আমরা । এখন আমাদের অন্য কোনও উপায় নেই । পরে যদি আর্থিক সমস্যা হয় তাহলে সেটাকে আমরা সেভাবেই সামলাব । এই মানসিক প্রস্তুতি এখন থেকেই নিয়ে রাখতে হবে ।
  • ইউটিউবে অনেক রিল্যাক্সিং মিউজ়িক রয়েছে । সেগুলো শোনা যেতে পারে । এই সময় অনেকের ঘুমেরও সমস্যা হচ্ছে । আমি বলব ঘুমের আগে মেডিটেশন করুন । প্রাণায়াম করতে পারেন । তাতে ভালো ঘুম হবে রাতে ।
dfg
.
  • কাজের মধ্যে থাকাকালীন আমরা অনেক সময় বলি যে নিজের বা প্রিয়জনদের জন্য সময় পাচ্ছি না । কিন্তু, এখন আপনার হাতে অনেক সময় । এই সময়টা ইন্ডোর গেম খেলতে পারেন । আমি যেমন বাবা-মায়ের সঙ্গে লুডো খেলি । লুডোর টুর্নামেন্ট খেলছি । আপনারাও এরকম কিছু খেলতে পারেন । যাঁদের বাড়িতে অনেক ভাই-বোন তাঁদের জন্য ইন্ডোর গেম একেবারেই সঠিক ।
  • এই সময় নিজেদের হারিয়ে যাওয়া হবিগুলো নতুন করে শুরু করতে পারেন । প্রচুর বই পড়তে পারেন, লেখালেখি করতে পারেন, গান শুনতে বা লিখতে পারেন, আঁকতে পারেন, রান্না করতে পারেন । একচিলতে বারান্দায় ছোট্ট বাগান করতে পারেন ।
dfg
.

আমার বক্তব্য হল, শুয়ে বসে না থেকে বিভিন্ন ধরনের কাজের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে ফেলুন । তাতে কিন্তু অবসাদ আসবে না । এই সময় স্বামীরা তাঁদের স্ত্রীদের কাজে সাহায্য করুন । তাতে বাচ্চার সঙ্গেও একাত্ম হতে পারবেন । আমাদের এখন পজ়িটিভ জিনিস খুঁজে নিতে হবে । এটা একটা খারাপ সময় ঠিকই ।

কলকাতা : শুধু অভিনেত্রীই নন । সন্দীপ্তা সেন একজন ক্লিনিকাল সাইকোলজিস্টও । সবার মতো এখন বাড়িতেই কাটছে তাঁর দিন । পাশাপাশি সবাইকে এই সময় বাড়িতে থাকার জন্য অনুরোধও করছেন তিনি । এদিকে সারাক্ষণ বাড়িতে থাকার ফলে এখন অবসাদে ভুগছেন অনেকেই । এবার অবসাদ কাটানোর টিপস দিলেন সন্দীপ্তা । বিষয়টি নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছিল ETV ভারত ।

erg
.

সন্দীপ্তা আমাদের বলেন, "আমরা যেভাবে জীবন কাটাচ্ছিলাম, সেখান থেকে হঠাৎ একটা পরিবর্তন এসেছে । এই হঠাৎ পরিবর্তন আমাদের মস্তিষ্ক গ্রহণ করতে সময় নেবে । তার উপর এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যে বাড়ির বাইরে বেরোনোর অবকাশ নেই । একধরনের একঘেয়েমি, ক্লান্তি আসতেই পারে । শুরু হবে অবসাদ । যাঁরা বাড়ি থেকে কাজ করছেন তাঁদের জন্য ঠিক আছে । কিন্তু, যাঁরা করতে পারছেন না । যেমন আমাদের মতো পেশায় আছেন যাঁরা, তাঁদের কাজ থাকবে কি থাকবে না, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই । তাঁরা এই সব নিয়েই সারাক্ষণ চিন্তা করছেন । যার কারণে বাড়ছে অবসাদ । তবে কোরোনার সঙ্গে আমাদের লড়াই করতেই হবে । সরকারি নিয়ম মানতেই হবে । বাইরে বের হওয়ার কোনও উপায় নেই । বাইরে বেরোলে ক্ষতি আমাদেরই ।"

dfg
.

এই অবসাদের সঙ্গে লড়াই করার উপায় বাতলে দিয়েছেন সন্দীপ্তা । বলেন, "আমরা যেটা করতে পারি, সবার আগে প্যানিক করা কমাতে হবে । বেশি প্যানিক করলে শরীর খারাপ হবে । বাড়িতে আছি বলে সারাক্ষণ শুয়ে বসে থাকব, তা করলে কিন্তু হবে না । এই ভালো লাগছে না বিষয়টা থেকে বেরোতে হবে ।"

তার জন্য কয়েকটি জিনিস মেনে চলতে বলেছেন সন্দীপ্তা । তাঁর কথায়-

  • সকালে ঠিক সময় ঘুম থেকে উঠে পড়ুন । বাড়ির কিছু কাজ করুন । কাজ না থাকলে খুঁজে নিন । আমি যেরকম বাড়িতে ধুলো ঝাড়ার দায়িত্ব নিয়েছি । রোজ সকালে বাড়ির ধুলো ঝাড়ি । তারপর মাকে কাজে সাহায্য করছি । এরকমভাবে কাজ ভাগাভাগি করে নিতে হবে । একজনের উপর সব কিছু ঠেলে দিলে হবে না ।
dfg
.
  • বাড়ির বয়স্কদের সঙ্গে সময় কাটান । দিনে অন্তত 1 ঘণ্টা কাটাতেই পারেন । তাতে তাঁদেরও ভালো লাগবে । তাতে ওই মানুষগুলোর মেন্টাল হেলথও ভালো থাকবে।
dfg
.
  • এই সময় যোগা ও মেডিটেশন করা খুবই দরকার । যোগা শরীর ভালো রাখবে । মেডিটেশন করলে মন শান্ত থাকবে । দুশ্চিন্তা দূর হবে সহজেই । আমরা দু'মাস আগেও জানতাম না, এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হব আমরা । এখন আমাদের অন্য কোনও উপায় নেই । পরে যদি আর্থিক সমস্যা হয় তাহলে সেটাকে আমরা সেভাবেই সামলাব । এই মানসিক প্রস্তুতি এখন থেকেই নিয়ে রাখতে হবে ।
  • ইউটিউবে অনেক রিল্যাক্সিং মিউজ়িক রয়েছে । সেগুলো শোনা যেতে পারে । এই সময় অনেকের ঘুমেরও সমস্যা হচ্ছে । আমি বলব ঘুমের আগে মেডিটেশন করুন । প্রাণায়াম করতে পারেন । তাতে ভালো ঘুম হবে রাতে ।
dfg
.
  • কাজের মধ্যে থাকাকালীন আমরা অনেক সময় বলি যে নিজের বা প্রিয়জনদের জন্য সময় পাচ্ছি না । কিন্তু, এখন আপনার হাতে অনেক সময় । এই সময়টা ইন্ডোর গেম খেলতে পারেন । আমি যেমন বাবা-মায়ের সঙ্গে লুডো খেলি । লুডোর টুর্নামেন্ট খেলছি । আপনারাও এরকম কিছু খেলতে পারেন । যাঁদের বাড়িতে অনেক ভাই-বোন তাঁদের জন্য ইন্ডোর গেম একেবারেই সঠিক ।
  • এই সময় নিজেদের হারিয়ে যাওয়া হবিগুলো নতুন করে শুরু করতে পারেন । প্রচুর বই পড়তে পারেন, লেখালেখি করতে পারেন, গান শুনতে বা লিখতে পারেন, আঁকতে পারেন, রান্না করতে পারেন । একচিলতে বারান্দায় ছোট্ট বাগান করতে পারেন ।
dfg
.

আমার বক্তব্য হল, শুয়ে বসে না থেকে বিভিন্ন ধরনের কাজের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে ফেলুন । তাতে কিন্তু অবসাদ আসবে না । এই সময় স্বামীরা তাঁদের স্ত্রীদের কাজে সাহায্য করুন । তাতে বাচ্চার সঙ্গেও একাত্ম হতে পারবেন । আমাদের এখন পজ়িটিভ জিনিস খুঁজে নিতে হবে । এটা একটা খারাপ সময় ঠিকই ।

Last Updated : Apr 12, 2020, 3:27 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.