কলকাতা, 15 জানুয়ারি : কৌতুক অভিনয় কতটা সংলাপ নির্ভর সেই বিষয়ে সিনে-আড্ডায় সঞ্চালনা করেন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী । আড্ডায় অংশগ্রহণ করেন অঙ্কুশ হাজরা, রাজা চন্দ, অপরাজিতা আঢ্য, অনির্বাণ চক্রবর্তী, পিংকি বন্দ্যোপাধ্যায়, মানালি দে ও তুলিকা বসু । আড্ডার একেবারে শেষে আসেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ।
সবাই নিজেদের মতো করে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করলেও সকলের বক্তব্য একটি বিন্দুতে এসে মেলে সেটি হল কমেডি অভিনয় টাইমিং সেন্স । সময় মতো সংলাপ বলাটাও কমেডির একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিক । তবে এবার অনেকেই বলেন যে সংলাপ না বলেও শুধুমাত্র শরীরী মুদ্রা বা যাকে বলে বডি ল্যাংগুয়েজ ও মূকাভিনয় করেও চমৎকার কমেডি করা যায় । মানালি দে বলেন যে, "টাইমিং ও সংলাপ বলার ধরণ একটি সাধারণ কথাকে কালজয়ী কমেডি ডায়ালগ হিসেব চিহ্নিত করতে পারে যেমন 'মাসিমা মালপোয়া খামু'। " পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন যে, "ভালো কমেডি সিন করার ক্ষেত্রে দু'জন অভিনেতার মধ্যে ভালো বোঝাপড়ার বিষয়টি অত্যন্ত দরকার ।" পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাকে সমর্থন জানিয়ে অভিনেতা অনির্বাণ চক্রবর্তী বলেন, "আমি ও পিঙ্কি 'লালবাজার' ওয়েব সিরিজে স্বামী স্ত্রীর পাঠ করেছিলাম । সেখানে বেশ কয়েকটি সংলাপ ছিল যেগুলো দুই অভিনেতার মধ্যে সুন্দর বোঝাপড়া ও খুব ভালো টাইমিং সেন্স না থাকলে দর্শকদের কাছে কিছুটা অশ্লীল ঠেকতে পারতো । কিন্তু আমরা এমনভাবেই সেগুলি ডেলিভার করি যাতে শুনতে বেশ কিছুটা হাসির মনে হয়ে ।" আলোচনার মধ্যেই কৌতুক অভিনেতা ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে তাঁর অভিনীত ছবির কয়েকটি মুহূর্ত পর্দায় দেখানো হয় ।
এছাড়াও আলোচনায় বার বার উঠে আসে কিংবদন্তি সব কৌতুক অভিনেতা যেমন ভানু বন্দ্য়োপাধ্যায়, তুলসী চক্রবর্তী, নবদ্বীপ হালদার, রবি ঘোষ, নৃপতি চট্টোপাধ্যায়, জহর রায়, অনুপ কুমার ও চিন্ময় রায়ের প্রসঙ্গ।