"আগার কিসি চিজ় কো দিল সে চাহো তো পুরি কায়নাত উসে তুমসে মিলানি কি কোসিস ম্যায় লাগ যাতে হ্যায়...।" একটি ছবিতে অ্যাওয়ার্ড হাতে মঞ্চে দাঁড়িয়ে কথাটা বলেছিলেন শাহরুখ খান। ছবির নাম কমবেশি সবার জানা। "ওম শান্তি ওম"-এর সংলাপটা যেন অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলেছেন শাহরুখ। মন থেকে চেয়েছেন অভিনেতা হতে। 'ফৌজি' বা 'সার্কাস'-এর মতো ধারাবাহিকে অভিনয় করে হয়তো পরিচিতি পেতেন। কিন্তু, শুধু সেটুকুতেই থেমে যাননি তিনি। স্বপ্ন দেখেছেন, সেই স্বপ্ন পূরণের জন্য নিজেকে তৈরি করেছেন।
যাত্রাটা উপর থেকে দেখলে মসৃণ মনে হতে পারে, কিন্তু তা একেবারেই নয়। এখনও প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে তাঁকে পরীক্ষা দিতে হয়। ফেল করলে এখনও কষ্ট পান, ইনসিকিওরিটিতে ভোগেন। গদি হারানোর ইনিসিকিওরিটি নয়, দর্শকের কাছে দূরের মানুষ হয়ে যাওয়ার ইনসিকিওরিটি। তাই তো 'দিলওয়ালে', 'জব হ্যারি মেট সেজল' বা 'জ়িরো'-র মতো ছবিতে দর্শককে হতাশ করে, নিজেই মুখ ফিরিয়েছিলেন অভিনয় জগত থেকে। প্রায় এক বছর কোনও ছবিতেই অভিনয় করেননি তিনি, ঘোষণাই করেননি কোনও প্রোজেক্টের।
তবে শাহরুখ ফিরছেন। শোনা যাচ্ছে তামিল পরিচালক অ্যাটলির ছবি 'সনকি'-তে অভিনয় করতে চলেছেন তিনি। এখনও কোনও অফিশিয়াল অ্যানাউন্সমেন্ট না হয়নি। কিন্তু, দেশজুড়ে কোটি কোটি মানুষ এর মধ্যেই আশা করতে শুরু করেছেন তাঁদের প্রিয় তারকা ফের বড় পরদায় দেখার।
শুধু রিল লাইফে নয়, শাহরুখ খান রিয়েল লাইফেও হিরো। সম্প্রতি এক হিরোর মতোই তিনি ঐশ্বরিয়ার ম্যানেজারকে একটি অগ্নিকাণ্ড থেকে বাঁচান। সারা দেশ এই ঘটনার পর তাঁকে নিয়ে ধন্য ধন্য করছেন। বলিউডের ভাইজান সলমনও তাঁর সোশাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্টে শাহরুখের তারিফ করে একটা ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন। শুধু সিনেমার স্ক্রিপ্টে নয়, বাস্তবজীবনে মূল্যবোধের পাতাতেও শাহরুখকে অনেক নম্বর দিতে হয় এই কারণেই।
এভাবেই এগিয়ে যান শাহরুখ। পিছলে গিয়ে পায়ে চোট পেতে পারেন, কিন্তু থেমে যেন না যান। শুভেচ্ছা রইল। ETV ভারত সিতারা রিপোর্ট।