ETV Bharat / lifestyle

বাড়বে না ওজন, উৎসবের ভোজেও কীভাবে ভালো থাকবেন - ভালো খাওয়াদাওয়া

উৎসবের সময় অতিরিক্ত ক্যালোরি খাওয়া হয়, যার জেরে বাড়ে ওজন । কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখলে উৎসব উপভোগ করেও ভালো থাকা যায় ৷ পরামর্শ দিলেন VLCC হেলথকেয়ার লিমিটেডের প্রধান নিউট্রিশনিস্ট ড. দীপ্তি ভার্মা ৷

how-to-be-healthy-at-the-festival-feast
how-to-be-healthy-at-the-festival-feast
author img

By

Published : Oct 28, 2020, 9:59 PM IST

বিভিন্ন ভারতীয় উৎসব এখন দোরগোড়ায় । বর্ষার শেষ মানেই উৎসবের মনভোলানো রঙের মরশুম শুরু, যা আনন্দ ও উদ্দীপনা নিয়ে আসে । আবার এই সময়েই অতিরিক্ত খাওয়াদাওয়া হয় । সবার নজর একটাই দিকে থাকে– খাবার ! মনোহারী মিষ্টি ও ডেজার্ট থেকে তেলে ভাজা খাবার, এসময় অতিরিক্ত ক্যালোরি ও অস্বাস্থ্যকর চিনি খাওয়া হয়, যার জেরে আমাদের ওজন বেড়ে যায় ।

এই কারণে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখা ভালো, যা আমাদের উৎসব উপভোগ করতে এবং প্রিয় মিষ্টি ও খাবার খাওয়ার সঠিক পথ দেখাতে পারে ।

১. অনুপাত নিয়ন্ত্রণ– খাবারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে আমরা ক্যালোরিকেও নিয়ন্ত্রণ করি । তাই পরামর্শ এটাই যে সাধারণভাবে যতটা খান, এসময় তার অর্ধেক খাবেন । এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে ।

২. স্বাস্থ্যকর বিকল্প বেছে নিন– ঘরে তৈরি মিষ্টি, যেমন বেসনের লাড্ডু, মুগ ডালের হালুয়া, গাজরের হালুয়া, নারকোল ও শুকনো ফলের মিষ্টি, যেমন নারকোল বরফি ইত্যাদি খান, যেখানে আপনাদের চিনি ও ঘি-এর পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতেই হয় । মিষ্টি হিসেবে যতটা পারেন গুড় ব্যবহার করুন । ডিপ ফ্রাই করার বদলে খাবারকে বেক, রোস্ট বা গ্রিল করা উচিত ।

৩. হাইড্রেশন– অন্তত তিন লিটার জল, লেবুর জল, ডাবের জল, পাতলা ঘোল, জলমেশানো ফলের রস, শশা দেওয়া জল, পাতিলেবু, পুদিনা ইত্যাদি খেয়ে নিজেকে হাইড্রেটেড রাখুন। হাইড্রেশনের ফলে মেটাবলিজম বাড়বে, টক্সিন দূর হবে এবং রক্ত চলাচল ঠিক থাকবে ।

৪. হালকা ব্রেকফাস্ট দিয়ে দিন শুরু করুন – উৎসবে মাততে গেলে আপনাকে হালকা এবং স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট দিয়ে দিন শুরু করতে হবে ৷ যেমন মরশুমী ফল, স্মুদি, এক কাপ দই ও তাজা ফলের শেক ।

৫. নিয়মিত ব্যায়াম– উৎসবের মরশুম হলেও নিশ্চিত করুন যাতে নড়াচড়া ও ব্যায়াম হয় । যদি হাঁটা, দৌড়ানো বা জিমে যাওয়ার সময় না পান তাহলে তার জায়গায় সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা, যোগাসন, স্ট্রেচিং, শপিংয়ের সময় হাঁটা, বাজারের থেকে দূরে গাড়ি রেখে হাঁটা ইত্যাদি অভ্যেস করুন । পারলে একটু খেলাধূলো করুন ।

যা যা মনে রাখা দরকার:

সোডা বা কার্বনেটেড পানীয় এড়িয়ে চলুন ৷

পাঁউরুটি, পিজা, বার্গার, প্যাকেজড পানীয়, বিস্কুট, কুকিজের মতো প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন ।

বেশি করে ফল, সব্জি ও গোটা শস্য খান ।

ঘুমোতে যাওয়ার অন্তত তিন ঘণ্টা আগে ডিনার করুন ।

যদি এই নিয়মগুলো মেনে চলেন, তাহলে আপনি উদ্দীপনা ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার সঙ্গে আপনার পরিবার, আত্মীয় ও বন্ধুদের সঙ্গে উৎসব উপভোগ করতে পারবেন ।

বিভিন্ন ভারতীয় উৎসব এখন দোরগোড়ায় । বর্ষার শেষ মানেই উৎসবের মনভোলানো রঙের মরশুম শুরু, যা আনন্দ ও উদ্দীপনা নিয়ে আসে । আবার এই সময়েই অতিরিক্ত খাওয়াদাওয়া হয় । সবার নজর একটাই দিকে থাকে– খাবার ! মনোহারী মিষ্টি ও ডেজার্ট থেকে তেলে ভাজা খাবার, এসময় অতিরিক্ত ক্যালোরি ও অস্বাস্থ্যকর চিনি খাওয়া হয়, যার জেরে আমাদের ওজন বেড়ে যায় ।

এই কারণে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখা ভালো, যা আমাদের উৎসব উপভোগ করতে এবং প্রিয় মিষ্টি ও খাবার খাওয়ার সঠিক পথ দেখাতে পারে ।

১. অনুপাত নিয়ন্ত্রণ– খাবারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে আমরা ক্যালোরিকেও নিয়ন্ত্রণ করি । তাই পরামর্শ এটাই যে সাধারণভাবে যতটা খান, এসময় তার অর্ধেক খাবেন । এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে ।

২. স্বাস্থ্যকর বিকল্প বেছে নিন– ঘরে তৈরি মিষ্টি, যেমন বেসনের লাড্ডু, মুগ ডালের হালুয়া, গাজরের হালুয়া, নারকোল ও শুকনো ফলের মিষ্টি, যেমন নারকোল বরফি ইত্যাদি খান, যেখানে আপনাদের চিনি ও ঘি-এর পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতেই হয় । মিষ্টি হিসেবে যতটা পারেন গুড় ব্যবহার করুন । ডিপ ফ্রাই করার বদলে খাবারকে বেক, রোস্ট বা গ্রিল করা উচিত ।

৩. হাইড্রেশন– অন্তত তিন লিটার জল, লেবুর জল, ডাবের জল, পাতলা ঘোল, জলমেশানো ফলের রস, শশা দেওয়া জল, পাতিলেবু, পুদিনা ইত্যাদি খেয়ে নিজেকে হাইড্রেটেড রাখুন। হাইড্রেশনের ফলে মেটাবলিজম বাড়বে, টক্সিন দূর হবে এবং রক্ত চলাচল ঠিক থাকবে ।

৪. হালকা ব্রেকফাস্ট দিয়ে দিন শুরু করুন – উৎসবে মাততে গেলে আপনাকে হালকা এবং স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট দিয়ে দিন শুরু করতে হবে ৷ যেমন মরশুমী ফল, স্মুদি, এক কাপ দই ও তাজা ফলের শেক ।

৫. নিয়মিত ব্যায়াম– উৎসবের মরশুম হলেও নিশ্চিত করুন যাতে নড়াচড়া ও ব্যায়াম হয় । যদি হাঁটা, দৌড়ানো বা জিমে যাওয়ার সময় না পান তাহলে তার জায়গায় সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা, যোগাসন, স্ট্রেচিং, শপিংয়ের সময় হাঁটা, বাজারের থেকে দূরে গাড়ি রেখে হাঁটা ইত্যাদি অভ্যেস করুন । পারলে একটু খেলাধূলো করুন ।

যা যা মনে রাখা দরকার:

সোডা বা কার্বনেটেড পানীয় এড়িয়ে চলুন ৷

পাঁউরুটি, পিজা, বার্গার, প্যাকেজড পানীয়, বিস্কুট, কুকিজের মতো প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন ।

বেশি করে ফল, সব্জি ও গোটা শস্য খান ।

ঘুমোতে যাওয়ার অন্তত তিন ঘণ্টা আগে ডিনার করুন ।

যদি এই নিয়মগুলো মেনে চলেন, তাহলে আপনি উদ্দীপনা ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার সঙ্গে আপনার পরিবার, আত্মীয় ও বন্ধুদের সঙ্গে উৎসব উপভোগ করতে পারবেন ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.