কলকাতা, 25 জুলাই : কলকাতার রাজপথে আজ সকালে রীতিমতো স্টোনম্যানের কায়দায় খুন। ব্যাগে করে পাথর নিয়ে এসে এক ব্যক্তি হঠাৎই ফুটপাতে বসে থাকা এক রিকশাচালকের মাথায় একের পর এক আঘাত করে । রক্তাক্ত অবস্থায় সেখানেই লুটিয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি। সেই দৃশ্য দেখতে পেয়ে এক বাইক আরোহী দ্রুত পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ গুরুতর জখম অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে নিয়ে যায় বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ।
সকাল 6:10। রুবির দিক থেকে বাবাকে সঙ্গে নিয়ে গাড়ি করে ফিরছিলেন 27 বছরের সনজিৎ মণ্ডল । হঠাৎ তিনি লক্ষ্য করেন বাঘাযতীন ফ্লাইওভারে এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি অন্য একজনকে শক্ত পাথর দিয়ে ক্রমাগত আঘাত করে চলেছে। আততায়ীর পরনে ছিল লাল রঙের গেঞ্জি। সনজিৎ কোনও কিছু না ভেবেই ওই ব্যক্তিকে থামান। মর্নিং ওয়াকে থাকা কয়েকজনের সহায়তায় সনজিৎ ফোন করেন থানায়। পুলিশ এসে গুরুতর জখম অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যায় । জানা যায়, আক্রান্তের নাম সুভাষ চন্দ্র শর্মা। পেশায় রিকশাচালক। বাঘাযতীন স্টেশনের প্লাটফর্মে থাকতেন তিনি । হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃত ব্যক্তির মাথায় পুরোনো ক্ষত ছিল ৷
জানা গেছে দিন কয়েক আগেও ওই রিকশাচালকের উপর আক্রমণ করেছিল অভিযুক্ত। মাথার পুরোনো ক্ষত চিহ্ন তারই প্রমাণ। আজ খুনের উদ্দেশ্য নিয়েই অভিযুক্ত সুভাষের চড়াও হয়েছিল । খুনের পর অভিযুক্ত লুকিয়ে পড়ার চেষ্টা করে । কিন্তু, পুলিশ তাকে ধরে ফেলে। তার লাল গেঞ্জিতে তখনও রক্তের দাগ। পাথর-সহ ব্যাগটি হাতেই ধরা ছিল। জানা যায়, ওই ব্যক্তির নাম সেলিম হালদার। বাড়ি সুভাষ গ্রামে। সেও পেশায় রিকশাচালক। সেলিম কেন সুভাষকে খুন করল সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।