কোচবিহার, 18 নভেম্বর : কালীপুজোর নিরঞ্জনের সময় দুই ক্লাবের মধ্যে গন্ডগোল হয়েছিল ৷ যার জেরে খুন হলেন BJP-র এক বুথ সম্পাদক । তুফানগঞ্জ মহকুমার নাককাটি গাছ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা । মৃত BJP কর্মীর নাম কালাচাঁদ কর্মকার । খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসে তুফানগঞ্জ থানার পুলিশ ।
ওই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই একটি কালীপুজো হতো । গত বছর থেকে নতুন আরও একটি কালীপুজো শুরু হয়েছে । একই পাড়ায় দু'টি পুজো নিয়েই শুরু গন্ডগোল ৷ দীপাবলির রাত থেকেই শুরু হয় ঝামেলা ৷ এরপর গতকাল নিরঞ্জনের সময় দুই পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয় । আজ সকালে এক গোষ্ঠীর এক যুবককে অন্য গোষ্ঠীর কয়েকজন মারধর করতে শুরু করে ৷ সেই সময় BJP সম্পাদক কালাচাঁদ কর্মকার এগিয়ে যান । অভিযোগ, তখন তাঁকে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় । গুরুতর জখম হয়ে পড়েন ওই BJP নেতা । তাঁকে উদ্ধার করে তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় ।
এই বিষয়ে মৃতের ভাইয়ের স্ত্রী লক্ষ্মী কর্মকার বলেন, " আজ সকালে ক্লাবের ছেলেরা একজনকে মারধর করছিল ৷ দেখার পর আমার ভাসুর সেখানে যান ৷ গিয়ে ওদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন ৷ সেই সময় আমার ভাসুরকেও ওরা মারধর করে ৷ শরীরের কোনও ভুল জায়গায় হয়ত তাঁর লাগে যে কারণে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন ৷ জ্ঞান হারান ৷ এরপর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর উনি মারা যান ৷ রঞ্জিত বর্মণ, সঞ্জীব বর্মণ, আর দিলীপ বর্মণ এরা তৃণমূল কর্মী ৷ আমার ভাসুরকে এরাই মেরেছে ৷ দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি চাইছি ৷"
BJP-র কোচবিহার জেলা সম্পাদক সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই তাঁকে খুন করেছে । যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় । কোচবিহারের পুলিশ সুপার কে কান্নান বলেন, "ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।"