ETV Bharat / international

White House: সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে মোদিকে প্রশ্ন করায় অনলাইনে হেনস্তা সাংবাদিককে, তীব্র নিন্দা আমেরিকার

সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে প্রশ্ন করায় অনলাইনে হেনস্তা হতে হয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সাংবাদিককে ৷ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে আমেরিকা ৷

White House
White House
author img

By

Published : Jun 27, 2023, 2:51 PM IST

ওয়াশিংটন, 27 জুন: মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে প্রশ্ন করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় হয়রানির মুখে পড়তে হয়েছে এক মার্কিন সাংবাদিককে ৷ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে হোয়াইট হাউস ৷ তারা বলেছে, এমন ঘটনা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয় ৷

সাংবাদিককে অনলাইনে হেনস্তা: গত সপ্তাহে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সাংবাদিক সাবরিনা সিদ্দিকী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে ভারতের সংখ্যালঘুদের অধিকার সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন ৷ মোদির সরকার সংখ্যালঘুদের উন্নয়নে এবং তাদের বাকস্বাধীনতা বজায় রাখতে কী পদক্ষেপ করতে ইচ্ছুক, প্রধানমন্ত্রীর কাছে তা জানতে চান ওই সাংবাদিক ৷ তিনি প্রধানমন্ত্রীকে এই প্রশ্ন করায় অনলাইনে তাঁকে হেনস্তার মুখে পড়তে হয়েছে ৷ নেট নাগরিকদের অনেকে অভিযোগ করেন যে, সাবরিনার প্রশ্ন ছিল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং তাঁকে পাকিস্তানি ইসলামপন্থী বলেও অভিহিত করা হয় ৷

হেনস্তার নিন্দা করল আমেরিকা: এই নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কৌশলগত যোগাযোগের জন্য জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কো-অর্ডিনেটর জন কিরবি সোমবার বলেন, "আমরা এই হয়রানির খবর সম্পর্কে সচেতন । এটা গ্রহণযোগ্য নয় । এবং আমরা যে কোনও পরিস্থিতিতে যে কোনও জায়গায় সাংবাদিকদের যে কোনও হয়রানির নিন্দা জানাই । এটি সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য । এবং এটি গণতন্ত্রের মূল নীতির পরিপন্থী, যা গত সপ্তাহে তাঁর সফর চলাকালীন হয়েছিল ।"

আরও পড়ুন: উই দ্য পিপল... মোদি-বাইডেন দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে উঠল ধর্মীয় বহুত্ববাদের প্রসঙ্গও

গণতন্ত্রে জোর মোদির: সিদ্দিকীর প্রশ্নের জবাবে সে দিন গণতন্ত্র ও তাঁর সরকারের কর্মক্ষমতা এবং মানবাধিকারের বিষয়ে ভারতের রেকর্ডকে দৃঢ়ভাবে তুলে ধরেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি ৷ তিনি বলেছিলেন যে, তাঁর সরকারের মূল ভিত্তিপ্রস্তর হল 'সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস এবং সবকা প্রয়াস'৷

তিনি বলেন, "ভারত একটি গণতন্ত্র । এবং রাষ্ট্রপতি বাইডেন যেমন বলেছিলেন যে, গণতন্ত্র ভারত এবং আমেরিকা উভয়ের ডিএনএ-তে রয়েছে । গণতন্ত্র আমাদের চেতনায় রয়েছে । গণতন্ত্র আমাদের শিরায় প্রবাহিত হয় । আমরা গণতন্ত্রে বাস করি । আমাদের পূর্বপুরুষরা একে শব্দে লিপিবদ্ধ করেছেন, যাকে আমরা সংবিধান বলি । আমাদের সরকার এই সংবিধানের মৌলিক নীতির উপর চলে । আমরা প্রমাণ করেছি যে, গণতন্ত্র দিতে পারে । আর এই দিতে পারায়, জাতি, ধর্ম, লিঙ্গ, ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্যের কোনও স্থান নেই ৷"

সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আমেরিকা: হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন-পিয়ের বলেন, হোয়াইট হাউস এই প্রশাসনের অধীনে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যে কারণে গত সপ্তাহে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়েছে ৷ তাঁর কথায়, "আমরা অবশ্যই একজন সাংবাদিককে ভয় দেখানো বা হয়রানির যে কোনও প্রচেষ্টার নিন্দা করি, যিনি শুধু তাঁর কাজটাই করার চেষ্টা করেছেন ।"

ওয়াশিংটন, 27 জুন: মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে প্রশ্ন করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় হয়রানির মুখে পড়তে হয়েছে এক মার্কিন সাংবাদিককে ৷ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে হোয়াইট হাউস ৷ তারা বলেছে, এমন ঘটনা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয় ৷

সাংবাদিককে অনলাইনে হেনস্তা: গত সপ্তাহে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সাংবাদিক সাবরিনা সিদ্দিকী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে ভারতের সংখ্যালঘুদের অধিকার সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন ৷ মোদির সরকার সংখ্যালঘুদের উন্নয়নে এবং তাদের বাকস্বাধীনতা বজায় রাখতে কী পদক্ষেপ করতে ইচ্ছুক, প্রধানমন্ত্রীর কাছে তা জানতে চান ওই সাংবাদিক ৷ তিনি প্রধানমন্ত্রীকে এই প্রশ্ন করায় অনলাইনে তাঁকে হেনস্তার মুখে পড়তে হয়েছে ৷ নেট নাগরিকদের অনেকে অভিযোগ করেন যে, সাবরিনার প্রশ্ন ছিল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং তাঁকে পাকিস্তানি ইসলামপন্থী বলেও অভিহিত করা হয় ৷

হেনস্তার নিন্দা করল আমেরিকা: এই নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কৌশলগত যোগাযোগের জন্য জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কো-অর্ডিনেটর জন কিরবি সোমবার বলেন, "আমরা এই হয়রানির খবর সম্পর্কে সচেতন । এটা গ্রহণযোগ্য নয় । এবং আমরা যে কোনও পরিস্থিতিতে যে কোনও জায়গায় সাংবাদিকদের যে কোনও হয়রানির নিন্দা জানাই । এটি সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য । এবং এটি গণতন্ত্রের মূল নীতির পরিপন্থী, যা গত সপ্তাহে তাঁর সফর চলাকালীন হয়েছিল ।"

আরও পড়ুন: উই দ্য পিপল... মোদি-বাইডেন দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে উঠল ধর্মীয় বহুত্ববাদের প্রসঙ্গও

গণতন্ত্রে জোর মোদির: সিদ্দিকীর প্রশ্নের জবাবে সে দিন গণতন্ত্র ও তাঁর সরকারের কর্মক্ষমতা এবং মানবাধিকারের বিষয়ে ভারতের রেকর্ডকে দৃঢ়ভাবে তুলে ধরেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি ৷ তিনি বলেছিলেন যে, তাঁর সরকারের মূল ভিত্তিপ্রস্তর হল 'সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস এবং সবকা প্রয়াস'৷

তিনি বলেন, "ভারত একটি গণতন্ত্র । এবং রাষ্ট্রপতি বাইডেন যেমন বলেছিলেন যে, গণতন্ত্র ভারত এবং আমেরিকা উভয়ের ডিএনএ-তে রয়েছে । গণতন্ত্র আমাদের চেতনায় রয়েছে । গণতন্ত্র আমাদের শিরায় প্রবাহিত হয় । আমরা গণতন্ত্রে বাস করি । আমাদের পূর্বপুরুষরা একে শব্দে লিপিবদ্ধ করেছেন, যাকে আমরা সংবিধান বলি । আমাদের সরকার এই সংবিধানের মৌলিক নীতির উপর চলে । আমরা প্রমাণ করেছি যে, গণতন্ত্র দিতে পারে । আর এই দিতে পারায়, জাতি, ধর্ম, লিঙ্গ, ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্যের কোনও স্থান নেই ৷"

সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আমেরিকা: হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন-পিয়ের বলেন, হোয়াইট হাউস এই প্রশাসনের অধীনে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যে কারণে গত সপ্তাহে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়েছে ৷ তাঁর কথায়, "আমরা অবশ্যই একজন সাংবাদিককে ভয় দেখানো বা হয়রানির যে কোনও প্রচেষ্টার নিন্দা করি, যিনি শুধু তাঁর কাজটাই করার চেষ্টা করেছেন ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.