ইসলামাবাদ, 5 এপ্রিল : পাকিস্তানে ক্রমেই জটিল হচ্ছে রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সংকট ৷ প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবকে 'অসাংবিধানিক' আখ্যা দিয়ে রবিবার তা খারিজ করে দিয়েছিলেন জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি (Deputy speaker of the National Assembly Qasim Suri dismissed the no-confidence motion against Imran) ৷ এরপর রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভির সঙ্গে দেখা করে জাতীয় পরিষদ ভেঙে দিয়ে ইমরান ঘোষণা করেছিলেন, "দেশের মানুষই ঠিক করবেন তারা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাকে চায় ৷" ইসলামিক রাষ্ট্রে নির্বাচনী প্রস্তুতির মধ্যেই ইমরানের বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযোগ আনলেন মার্কিন বিশেষজ্ঞ লিসা কার্টিস ৷ কোণঠাসা ইমরান 'যুক্তরাষ্ট্র তাস' খেলে সহানুভূতি কুড়োচ্ছেন বলে অভিযোগ তাঁর (US Expert Alleges that Imran Khan is playing 'US Card' to build political support) ৷
রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভির সহায়তায় ইমরানের জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ায় বিক্ষুব্ধ বিরোধীরা সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন ৷ আস্থা ভোট এড়িয়ে সংসদ ভেঙে দেওয়ার এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের নেপথ্য কারণ হিসেবে বাইরের রাষ্ট্রের ইন্ধনকে দায়ী করেছেন ইমরান ৷ তেহরিক-ই-ইনসাফ চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, পররাষ্ট্রের মদত রয়েছে পাকিস্তানের সরকার পতনের পিছনে ৷ ইমরানের ইঙ্গিতের নিশানা ছিল এক বরিষ্ঠ মার্কিন রাজনীতিবিদ ৷ প্রাক্তন পাক অধিনায়কের এই মন্তব্যেরই চরম বিরোধিতা করেছেন লিসা কার্টিস ৷
প্রাক্তন দুই মার্কিন রাষ্ট্রপতি জর্জ ডব্লিউ বুশ এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের সহযোগী বলেন, "পাকিস্তানের আভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে কোনও বরিষ্ঠ মার্কিন নেতা হস্তক্ষেপ করবেন, সেটা একেবারেই সম্ভব নয় ৷ আমার মনে হয় যুক্তরাষ্ট্র তাস খেলে রাজনৈতিক সহানুভূতি কুড়োনোর চেষ্টাতেই এমনটা করছেন ইমরান ৷"
আরও পড়ুন : কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ না-হওয়া পর্যন্ত মসনদে ইমরানই, ঘোষণা রাষ্ট্রপতি আলভির
এক পাক সংবাদমাধ্যমে কার্টিস আরও জানান, মার্কিন রাজনীতিবাদরা আর যাই হোক পাকিস্তানের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলিয়ে নির্বুদ্ধিতার পরিচয় দেবেন না ৷ এ ব্যাপারে তাঁরা যথেষ্ট সচেতন বলেই দাবি কার্টিসের ৷ এদিকে সোমবার দেশের কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি গুলজার আহমেদের নাম প্রস্তাব করেছেন ইমরান খান ৷