ওয়াশিংটন, 16 সেপ্টেম্বর: আমেরিকা সফরে এসে হোয়াইট হাউজ এবং ক্যাপিটল হিলে যেতে পারেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি ৷ দেখা করতে পারেন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের সঙ্গে। এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের জন্য 240 লক্ষ বা 24 বিলিয়ন মার্কিন ডলার আর্থিক সাহায্যের জন্য আবেদন জানিয়েছেন ৷ এ নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসে রীতিমতো বিতর্ক তৈরি হয়েছে ৷ শুক্রবার প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভান নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, আগামী বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হোয়াইট হাউজে ভোলোদিমির জেলেনস্কিকে স্বাগত জানাবেন ৷ এই নিয়ে তৃতীয় বার হোয়াইট হাউজে বাইডেন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎ হতে চলেছে ৷
2022 সালের 24 ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের উপর সামরিক অভিযানের কথা ঘোষণা করেন ৷ সেই থেকে দুই দেশের যুদ্ধ চলছে ৷ এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে বাইডেন প্রশাসন ৷ যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্রায় দেড় বছর কেটে গিয়েছে ৷ সম্প্রতি রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন ৷ আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে লড়াইকে আরও বিধ্বংসী করতে উত্তর কোরিয়ার সাহায্য় চাইছে রাশিয়া ৷ এমনই আবহে আবারও আমেরিকা আসছেন জেলেনস্কি। পাশাপাশি ইউক্রেনকে আরও একবার অর্থ সাহায্য করার কথা ভাবছে আমেরিকা।
শুক্রবার হোয়াইট হাউজ থেকে জেক সালিভান আরও জানান, ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য করতে দেশের প্রতিরক্ষা সচিব লায়লড অস্টিন ইউরোপে একাধিক সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন ৷ সালিভান এটাও নিশ্চিত করেছেন, আমেরিকা সফরে জেলেনস্কি ক্যাপিটল হিল পরিদর্শনে যাবেন ৷ সালিভান আরও বলেন, "তিনি (জেলেনস্কি) হোয়াইট হাউজে শুধুমাত্র প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দেখা করতে আসছেন না ৷ মার্কিন কংগ্রেসে দুই পক্ষের নেতাদের সঙ্গেও কথা বলতে চান ৷ যুদ্ধের শুরু থেকে আমেরিকা ইউক্রেনের সঙ্গেই আছে ৷ তাই মার্কিন কংগ্রেসে গিয়ে দেশের আইনসভার সদস্যদের কৃতজ্ঞতা জানাবেন তিনি ৷" এর আগে 2022 সালের ডিসেম্বরে ওয়াশিংটনে এসেছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি ৷ সেই বছর ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়া ইউক্রেনের উপর সামিরক অভিযান শুরু করে ৷ তারপর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের জন্য সেটাই ছিল প্রথম বিদেশ সফর৷
আরও পড়ুন: পুতিনের সঙ্গে কোমর দুলিয়েছিলেন, এবার পাকাপাকিভাবে রাশিয়ার চলে গেলেন অস্ট্রিয়ার প্রাক্তন মন্ত্রী