মস্কো, 31 অগস্ট: প্রয়াত মিখাইল গর্বাচেভ ৷ সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রাক্তন তথা শেষ প্রেসিডেন্ট ৷ ইউএসএসআরের এই নেতার বয়স হয়েছিল 91 ৷ মঙ্গলবার রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর দ্য সেন্ট্রাল ক্লিনিকাল হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন গর্বাচেভ ৷ ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তাঁর মৃত্যুতে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গভীর শোক প্রকাশ করেছেন (The last leader of the Soviet Union Mikhail Gorbachev died in Moscow) ৷
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে সোভিয়েতকে পাশ্চাত্যের কাছে উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন মিখাইল গর্বাচেভ ৷ রইল তাঁর রাজনৈতিক জীবনের টাইমলাইন ৷
1985, মার্চ: মাত্র 54 বছর বয়স ৷ পলিটব্যুরোর কনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন ৷ তিনি দেশকে রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক দুরবস্থা থেকে বের করতে পেরেস্ত্রোইকা অর্থাৎ পুনর্গঠন (perestroika, restructuring) এবং 'গ্লাসনস্ত' (উন্মুক্ত করার) (glasnost, openness) চালু করেন ৷
1985, নভেম্বর: গর্বাচেভ এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগানের সাক্ষাৎ হয় জেনেভাতে ৷ সোভিয়েত প্রেসিডেন্ট এই বৈঠককে আশাজনক বলে আখ্যা দেন ৷
1986, এপ্রিল: চেরনোবিল বিপর্যয় ৷ চেরনোবিলের নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টরে ভয়াবহ বিস্ফোরণ এবং সেই তেজস্ক্রিয়তা বাতাসে মিশে ইউরোপেও পৌঁছে যায় ৷ সোভিয়েত সরকার এই মর্মান্তিক ঘটনার কথা স্বীকার করে তিন দিন পর ৷
1987, অক্টোবর : রাশিয়ার সংস্কারক হিসেবে খ্যাত বরিস ইয়েলতসিনের সঙ্গে মিখাইল গর্বাচেভের মতবিরোধ হয় ৷ এর জেরে ইয়েলতসিন শাসক পলিটব্যুরো ছেড়ে চলে যান ৷
1987, ডিসেম্বর: ওয়াশিংটনে গর্বাচেভ এবং রেগানের মধ্যে নিউক্লিয়ার আর্সেনাল চুক্তি স্বাক্ষর হয় ৷
আরও পড়ুন: মিস্টার ইন্ডিয়া, আপনার প্রশ্ন কী ? গর্বাচেভের দরবারে বাঙালি সাংবাদিকের সেই অবিস্মরণীয় মুহূর্ত
তিনি সোভিয়েত ইউনিয়নের দরজা বিশ্ববাসীর কাছে উন্মুক্ত করেছিলেন ৷ একাধিক অর্থনৈতিক সংস্কার করেছিলেন ৷ কিন্তু তাও অর্থনৈতিক সংকটের জেরে সোভিয়েত ইউনিয়ন 1991 সালে 15টি দেশে ভেঙে যায় ৷ চেরনোবিল বিপর্যয় এর অন্যতম কারণ বলে মনে করা হয় ৷ এর জেরে সোভিয়েত ইউনিয়ন চরম অর্থসংকটের মধ্যে পড়েছিল ৷ এই বিশাল সোভিয়েত ইউনিয়নের শেষ প্রেসিডেন্ট ছিলেন মিখাইল গর্বাচেভ ৷