ETV Bharat / international

Sheikh Hasina: জীবনের সবথেকে কঠিন সময় আশ্রয় দিয়েছিল দিল্লি ! ভেজা চোখে স্মৃতি রোমন্থন হাসিনার

তাঁর বাবা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের (Sheikh Mujibur Rahman) খুনের পর ভারতের রাজধানী দিল্লিতে সপরিবার আত্মগোপন করেছিলেন শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) ৷ চারদিনের ভারত সফরের (Four Days India Visit) ঠিক আগে একথা বলতে গিয়ে আবেগে ভাসলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister of Bangladesh) ৷

Sheikh Hasina took shelter at Delhi Pandara Road after Sheikh Mujibur Rahman murder
Sheikh Hasina: জীবনের সবথেকে কঠিন সময় আশ্রয় দিয়েছিল দিল্লি ! ভেজা চোখে স্মৃতি রোমন্থন হাসিনার
author img

By

Published : Sep 4, 2022, 5:09 PM IST

ঢাকা, 4 সেপ্টেম্বর: জীবনের অত্যন্ত কঠিন সময় প্রতিবেশী ভারতের কাছে নিরাপদ আশ্রয় পেয়েছিলেন শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) ৷ চারদিনের সফরে (Four Days India Visit) সোমবারই ফের একবার ভারতে আসবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister of Bangladesh) ৷ তার ঠিক আগের দিন স্মৃতি হাতড়ে অতীতের ভয়াবহ ও মর্মান্তিক 'কাহিনি' প্রকাশ্য়ে আনলেন হাসিনা ৷ একইসঙ্গে, তুলে ধরলেন ভারত-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের গভীরতা ৷

রবিবার শেখ হাসিনা জানান, সময়টা ছিল 1975 সাল ৷ সেই সময়েই খুন হয়েছিলেন তাঁর বাবা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (Sheikh Mujibur Rahman) ৷ এমন একটা সময়েই তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিল ভারত ৷ জার্মানি থেকে সপরিবার ভারতে চলে এসেছিলেন শেখ হাসিনা ৷ তাঁর সঙ্গে পরিবারের খুদে সদস্যরাও ছিল ৷ সকলকে সঙ্গে নিয়ে দিল্লির পনডারা রোডে (Delhi Pandara Road) আশ্রয় নিয়েছিলেন হাসিনা ৷

আরও পড়ুন: পরীক্ষিত বন্ধু, ভারত সফরের প্রাক্কালে মোদির প্রশংসায় দরাজ হাসিনা

হাসিনা জানিয়েছেন, সেই সময় পরিবারের প্রত্য়েক সদস্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই ছিল তাঁর সবথেকে বড় দায়িত্ব ৷ তাই অজ্ঞাতবাসে থাকা ছাড়া উপায় ছিল না ৷ তিনি যে শেখ মুজিবুর রহমানের মেয়ে, সেকথা বহু মানুষের কাছ থেকেই গোপন রাখা হয়েছিল ৷

সেই ঘটনার পর বহু বছর কেটে গিয়েছে ৷ অনেক প্রতিকূলতা পেরিয়ে আবারও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন হাসিনা ৷ এমন একটা সময় রবিবার সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তিনি ৷ জানান, গত শতাব্দীর সাতের দশকের সেই ভয়াবহ স্মৃতি কোনও দিন ভুলতে পারবেন না তিনি ৷ গত কয়েক দশক ধরে সেই ভয়ঙ্কর দিনগুলি তাঁকে তাড়া করে বেড়িয়েছে ৷

স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে এদিন হাসিনার দু'চোখ ভিজে যায় ! অতীতের সেই ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ দেন হাসিনা ৷ তিনি বলেন, "1975 সালের সেই সময়টায় একের পর এক ঘটনা অত্যন্ত দ্রুত গতিতে ঘটে চলেছিল ৷ হাসিনার স্বামী ছিলেন পরমাণু বিজ্ঞানী ৷ তিনি থাকতেন জার্মানিতে ৷ স্বামীর কাছে যাওয়ার বিষয়ে আগেই মনোস্থির করে ফেলেছিলেন হাসিনা ৷ দিনটা ছিল 1975 সালের 30 জুলাই ৷ পরিবারের বাকি সদস্যরা হাসিনা ও তাঁর বোনকে বিমানবন্দরে বিদায় জানাতে এসেছিলেন ৷ তখনও তিনি জানতেন না যে এটাই তাঁর সঙ্গে তাঁর বাবা-মায়ের শেষ দেখা হতে চলেছে ৷"

এর 15 দিন পর 1975 সালের 15 অগস্ট হাসিনা খবর পান, তাঁর বাবাকে এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের খুন করা হয়েছে ! যা বিশ্বাস করা তাঁর পক্ষে কার্যত অসম্ভব ছিল ৷ এই ঘটনার পরই যে দেশ সবার আগে হাসিনার দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল, তার নাম ভারত ৷

হাসিনা জানান, ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধি হাসিনাকে জানান, তাঁর এবং তাঁর পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবেন তিনি ৷ এই প্রস্তাব পাওয়ার পরই জার্মানি থেকে দিল্লিতে চলে আসেন হাসিনা ৷ তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যরাও সেখানে আশ্রয় নেন ৷ পরবর্তীতে দিল্লি থেকেই বাংলাদেশ ফেরেন হাসিনা ৷

ঢাকা, 4 সেপ্টেম্বর: জীবনের অত্যন্ত কঠিন সময় প্রতিবেশী ভারতের কাছে নিরাপদ আশ্রয় পেয়েছিলেন শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) ৷ চারদিনের সফরে (Four Days India Visit) সোমবারই ফের একবার ভারতে আসবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister of Bangladesh) ৷ তার ঠিক আগের দিন স্মৃতি হাতড়ে অতীতের ভয়াবহ ও মর্মান্তিক 'কাহিনি' প্রকাশ্য়ে আনলেন হাসিনা ৷ একইসঙ্গে, তুলে ধরলেন ভারত-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের গভীরতা ৷

রবিবার শেখ হাসিনা জানান, সময়টা ছিল 1975 সাল ৷ সেই সময়েই খুন হয়েছিলেন তাঁর বাবা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (Sheikh Mujibur Rahman) ৷ এমন একটা সময়েই তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিল ভারত ৷ জার্মানি থেকে সপরিবার ভারতে চলে এসেছিলেন শেখ হাসিনা ৷ তাঁর সঙ্গে পরিবারের খুদে সদস্যরাও ছিল ৷ সকলকে সঙ্গে নিয়ে দিল্লির পনডারা রোডে (Delhi Pandara Road) আশ্রয় নিয়েছিলেন হাসিনা ৷

আরও পড়ুন: পরীক্ষিত বন্ধু, ভারত সফরের প্রাক্কালে মোদির প্রশংসায় দরাজ হাসিনা

হাসিনা জানিয়েছেন, সেই সময় পরিবারের প্রত্য়েক সদস্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই ছিল তাঁর সবথেকে বড় দায়িত্ব ৷ তাই অজ্ঞাতবাসে থাকা ছাড়া উপায় ছিল না ৷ তিনি যে শেখ মুজিবুর রহমানের মেয়ে, সেকথা বহু মানুষের কাছ থেকেই গোপন রাখা হয়েছিল ৷

সেই ঘটনার পর বহু বছর কেটে গিয়েছে ৷ অনেক প্রতিকূলতা পেরিয়ে আবারও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন হাসিনা ৷ এমন একটা সময় রবিবার সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তিনি ৷ জানান, গত শতাব্দীর সাতের দশকের সেই ভয়াবহ স্মৃতি কোনও দিন ভুলতে পারবেন না তিনি ৷ গত কয়েক দশক ধরে সেই ভয়ঙ্কর দিনগুলি তাঁকে তাড়া করে বেড়িয়েছে ৷

স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে এদিন হাসিনার দু'চোখ ভিজে যায় ! অতীতের সেই ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ দেন হাসিনা ৷ তিনি বলেন, "1975 সালের সেই সময়টায় একের পর এক ঘটনা অত্যন্ত দ্রুত গতিতে ঘটে চলেছিল ৷ হাসিনার স্বামী ছিলেন পরমাণু বিজ্ঞানী ৷ তিনি থাকতেন জার্মানিতে ৷ স্বামীর কাছে যাওয়ার বিষয়ে আগেই মনোস্থির করে ফেলেছিলেন হাসিনা ৷ দিনটা ছিল 1975 সালের 30 জুলাই ৷ পরিবারের বাকি সদস্যরা হাসিনা ও তাঁর বোনকে বিমানবন্দরে বিদায় জানাতে এসেছিলেন ৷ তখনও তিনি জানতেন না যে এটাই তাঁর সঙ্গে তাঁর বাবা-মায়ের শেষ দেখা হতে চলেছে ৷"

এর 15 দিন পর 1975 সালের 15 অগস্ট হাসিনা খবর পান, তাঁর বাবাকে এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের খুন করা হয়েছে ! যা বিশ্বাস করা তাঁর পক্ষে কার্যত অসম্ভব ছিল ৷ এই ঘটনার পরই যে দেশ সবার আগে হাসিনার দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল, তার নাম ভারত ৷

হাসিনা জানান, ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধি হাসিনাকে জানান, তাঁর এবং তাঁর পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবেন তিনি ৷ এই প্রস্তাব পাওয়ার পরই জার্মানি থেকে দিল্লিতে চলে আসেন হাসিনা ৷ তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যরাও সেখানে আশ্রয় নেন ৷ পরবর্তীতে দিল্লি থেকেই বাংলাদেশ ফেরেন হাসিনা ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.