কায়রো, 13 সেপ্টেম্বর: ধ্বংসস্তূপের তলায় চাপা পড়ে হাজার হাজার মৃতদেহ ৷ ঝড়ে বিধ্বস্ত উত্তর আফ্রিকার লিবিয়া ৷ 10 হাজারেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ বলে দাবি কয়েকটি সূত্রের ৷ মঙ্গলবার লিবিয়ার পূর্ব দিকে অবস্থিত ডেরনা শহর উদ্ধার হয়েছে 1 হাজার 500 জনেরও বেশি মৃতদেহ ৷ শুধুূ এই শহরেই মৃতের সংখ্যা 5 হাজার 300 ছাড়িয়েছে ৷ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে ৷ রবিবার প্রবল ঝড় ড্যানিয়েল আছড়ে পড়ে লিবিয়ায় ৷
এই ঝড়ের তাণ্ডবে বন্যায় কার্যত ভেসে গিয়েছে আফ্রিকার উত্তরাংশে অবস্থিত দেশটি। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ডেরনা শহর ৷ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের রেশ এতটাই তীব্র ছিল যে, 36 ঘণ্টার আগে ডেরনায় কোনও ধরনের সাহায্য পৌঁছে দেওয়া যায়নি ৷ প্রায় 89 হাজার মানুষের বাস ভূমধ্যসাগরের উপকূলে অবস্থিত এই শহরে ৷ বন্ধ হয়ে গিয়েছে একাধিক রাস্তা ৷
হাসপাতাল চত্বরে সার দিয়ে মৃতদেহ পড়ে রয়েছে ৷ সেই ছবি ঘুরছে সামাজিক মাধ্যমে ৷ কোথাও স্তূপের আকারে শবদেহ পড়ে রয়েছে ৷ লিবিয়ার রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিস এবং ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ রেড ক্রসের প্রতিনিধি টামের রামাদান জেনেভায় রাষ্ট্রসংঘে ভিডিয়োবার্তায় জানিয়েছেন, মৃতের সংখ্যা কয়েক হাজার হতে পারে ৷ 40 হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে গিয়েছেন ৷ রামাদান জানান, মরক্কোর মাররাকেশ শহর ভূমিকম্পে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছে ৷ একই হাল লিবিয়ার ডেরনায় ৷
শহরবাসীর দাবি, তাঁরা বিস্ফোরণের মতো প্রচণ্ড শব্দ শুনতে পেয়েছেন ৷ পাহাড় থেকে শহরের মধ্যে দিয়ে একটি নদী বয়ে গিয়েছে ৷ সেটি সমুদ্রে গিয়ে মিশেছে ৷ ড্যানিয়েলের ফলে সেই নদীটিও প্লাবিত ৷ তার জল ঢুকেছে ডেরনায় ৷ জলের তোড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাঁধও ৷ ড্যানিয়েল ঝড় আছড়ে পড়ার 72 ঘণ্টা আগে লিবিয়ার ন্যাশনাল মেটেরিওলজিক্যাল সেন্টার আবহাওয়ার অবনতি সংক্রান্ত সতর্কতা জারি করেছিল ৷ বাসিন্দাদের আগে থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়েছিল ৷ তবে তাতে ক্ষয়ক্ষতি কতটা আটকানো গিয়েছে তা নিয়ে সংশয় আছে।
আরও পড়ুন: 'ড্যানিয়েল'-বিধ্বস্ত লিবিয়ায় মৃতের সংখ্যা 2300 ছাড়াল, নিখোঁজ প্রায় 10 হাজার