পাডাং (ইন্দোনেশিয়া), 4 ডিসেম্বর: ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট মারাপি আগ্নেয়গিরি থেকে শুরু হয়েছে ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাত ৷ 11 পর্বতারোহীর দেহ উদ্ধার হয়েছে সোমবার ৷ এখনও নিখোঁজ 12 জন পর্বতারোহী ৷ তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে উদ্ধারকারীরা দল ৷
2011 সাল থেকে চারটি সতর্কতামূলক স্তরের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ স্তরে আপাতত অবস্থান করছে মারাপি ৷ এর জেরে পাহাড়ের শিখরের 3 কিলোমিটারের বেশি পর্বতারোহী বা গ্রামবাসীদের ওঠার অনুমতি নেই ৷ এমনটাই জানিয়েছেন আগ্নেয়গিরি ও ভূতাত্ত্বিক দুর্যোগ প্রশমন কেন্দ্রের প্রধান হেন্দ্রা গুনাওয়ান । তিনি জানান, এর মানে হল যে চূড়ায় আরোহণ করা উচিত নয় ৷ হেন্দ্রা গুনাওয়ান বলেন, "আরোহণকারীদের শুধুমাত্র বিপদ অঞ্চলের নীচে ওঠার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল ৷ কিন্তু কখনও কখনও তাদের অনেকেই আরও আরোহণের জন্য নিয়ম ভঙ্গ করে তিন কিলোমিটারের উপরে উঠে যান ।"
শনিবার প্রায় 75 জন পর্বতারোহী প্রায় 2 হাজার 900 মিটার পর্বত বেয়ে ওঠা শুরু করেছিলেন এবং সেখানে গিয়ে তাঁরা আটকে পড়েছিলেন । পশ্চিম সুমাত্রা প্রাদেশিক রাজধানী পাডাংয়ের স্থানীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী সংস্থার আধিকারিকরা হরি অগাস্টিয়ান বলেছেন, "রবিবার উদ্ধার হওয়া আটজনকে দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং একজনের শরীরের একটি অঙ্গ ভেঙেও গিয়েছিল । পর্বতারোহীদের সবাই আরোহণের আগে পশ্চিম সুমাত্রার সংরক্ষণ সংস্থার মাধ্যমে দুটি কমান্ড পোস্টে বা অনলাইনে নিবন্ধন করেছিলেন । অন্যরা অবৈধ রাস্তা দিয়ে গিয়ে থাকতে পারেন ৷ যেখান থেক স্থানীয় বাসিন্দারা যাতায়াত করত ৷ তবে এই বিষয়ে এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না ৷"
মারাপিতে রবিবারও ব্যাপক অগ্ন্যুৎপাত হয় ৷ সে সময় 3 হাজার মিটার পর্যন্ত ছাইয়ের পুরু স্তরে ঢেকে গিয়েছিল ৷ সেই গরম ছাইয়ের আস্তরণ কয়েক কিলোমিটার জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল । আশেপাশের গ্রাম ও শহরগুলো আগ্নেয়গিরির ধ্বংসাবশেষে ঢেকে গিয়েছে । সোশাল মিডিয়ার এই সংক্রান্ত কয়েকটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে ৷ তাতে দেখা গিয়েছে, আগ্নেয়গিরির ধুলো এবং বৃষ্টির ফলে পর্বতারোহীদের মুখ এবং চুলে ছাপ ফেলেছে ।
আরও পড়ুন: