কিভ, 19 নভেম্বর: এপ্রিলে ইউক্রেনের রাজধানী কিভে গিয়ে সে দেশের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (Boris Johnson with Ukraine President Zelenskyy) ৷ দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে এই বৈঠক হয় ৷ রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর প্রথম জি-7 গোষ্ঠীর কোনও রাষ্ট্রনেতা যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনের মাটিতে পা দিয়েছিলেন ৷ এবার তাঁরই পদাঙ্ক অনুসরণ করলেন উত্তরসূরি, ঋষি সুনাক ।
প্রধানমন্ত্রী পদে বসার পর এই প্রথম যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে পা দিলেন সুনাক । শনিবার ইউক্রেনের রাজধানী কিভে তাঁর সফরে যুদ্ধে ইউক্রেনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের হাত শক্ত করার বার্তা দিয়েছেন তিনি । সুনাক নিশ্চিত করেছেন, রাশিয়ার আক্রমণের হাত থেকে ইউক্রেনের অ-সামরিক নাগরিক এবং গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় কাঠামোকে রক্ষা করতে বিমান প্রতিরক্ষার একটি বড় নতুন প্যাকেজ সরবরাহ করবে তাঁর দেশ ।
প্রতিরক্ষা সহায়তার প্যাকেজের মধ্যে রয়েছে 125টি বিমানবিধ্বংসী বন্দুক এবং ড্রোন মোকাবিলা করার প্রযুক্তি, যার মধ্যে কয়েক ডজন রাডার এবং অ্যান্টি-ড্রোন ইলেকট্রনিক যুদ্ধ ক্ষমতা রয়েছে ।
এদিন সুনাক বলেন, “প্রথম থেকেই যুক্তরাজ্য যেভাবে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে তাতে আমি গর্বিত । আমি এখানে আজ বলতে এসেছি যে যুক্তরাজ্য এবং আমাদের মিত্র দেশগুলি ইউক্রেনের পাশে দাঁড়াবে । এটিই এই যুদ্ধের অবসান ঘটাতে সাহায্য করবে । ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী স্থলপথে রাশিয়ান বাহিনীকে পিছনে ঠেলে দিতে সফল হলেও, বেসামরিক নাগরিকদের উপর আকাশ থেকে নির্মমভাবে বোমাবর্ষণ করা হচ্ছে । আমরা আজ নতুন বিমান প্রতিরক্ষা প্রদান করছি, যার মধ্যে বিমান বিধ্বংসী বন্দুক, রাডার এবং অ্যান্টি-ড্রোন সরঞ্জাম রয়েছে ।"
আরও পড়ুন: চমক দিয়ে কিভে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী, জেলেনস্কিকে সাহায্যের আশ্বাস দিলেন জনসন
প্রসঙ্গত, এর আগে ব্রিটেন ইউক্রেনকে এলএলএডব্লিউ অ্যান্টি ট্যাঙ্ক মিসাইল, জ্যাভেলিন অ্যান্টি ট্যাঙ্ক সিস্টেম, অতিরিক্ত এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, নাইট ভিশন চশমা, দেহবর্ম, হেলমেট ইত্যাদি প্রদান করেছে ৷