কায়রো, 25 জুন: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে মিশরের সর্বোচ্চ সম্মান ‘অর্ডার অফ দ্য নাইল’ দেওয়া হল ৷ রবিবার রাজধানী কায়রোতে মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফত্তাহ এল-সিসি তাঁকে এই সম্মান প্রদান করেন ৷ এ নিয়ে ত্রয়োদশবার কোনও দেশের সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত হলেন প্রধানমন্ত্রী ৷ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর গত ন'বছরে অন্যান্য একাধিক দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা তাঁকে সেদেশের সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত করেছেন ৷
সেই সম্মানগুলির মধ্যে অন্যতম হল 'অর্ডার অফ লোগোহ', 'অর্ডার অফ ফিজি' এবং 'ইবাকল সম্মান', যা তাঁকে দিয়েছিল 'রিপাবলিক অফ পালাউ' ৷ এমন একাধিক রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ রবিবার প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং মিশরের প্রেসিডেন্ট এল-সিসি দুই দেশের বোঝাপড়া সংক্রান্ত একটি স্মারকলিপিতে সই করেন ৷ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় যে সকল ভারতীয় সৈনিক নিজেদের প্রাণ বলিদান দিয়েছিলেন মিশরে, তাঁদের উদ্দেশে শ্রদ্ধার্ঘ্য প্রদান করেন মোদি ৷ কায়রোতে হেলিয়োপোলিস ওয়ার সিমেট্রিতে তাঁদের শ্রদ্ধা জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী ৷
আরও পড়ুন: 'আপনি ভারতের হিরো', ইজিপ্ট সফরে প্রবাসীদের উষ্ণ অভ্যর্থনা মোদিকে
রবিবার কায়রোর আল-হাকিম মসজিদে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ একাদশ শতাব্দীতে তৈরি হওয়া মিশরের সুপ্রাচীন এবং ঐতিহাসিক একটি মসজিদ ৷ এই আল-হাকিম মসজিদের সঙ্গে ভারত ও মিশরের যৌথ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে বহন করে চলেছে ৷ প্রধানমন্ত্রীর সফরে যা আরও বেশি তাৎপর্য যোগ করেছে তা হল, আল-হাকিম মসজিদের পুনরুদ্ধার কাহিনী ৷ এটা সম্ভব হয়েছিল দাউদি বোহরা সম্প্রদায়ের একাগ্রতা ও সমর্থনের কারণে ৷
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর মিশর সফর দু'দেশের মধ্যে বিভিন্ন চুক্তি কার্যকরে গতি আনবে, জানালেন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত
আল-হাকিম মসজিদ মিশরের শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্যকে বহন করছে ৷ সেই সঙ্গে ভারতীয় এবং মিশরীয় সংস্কৃতির মিশ্রণ তুলে ধরে ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক গুরুত্বকে আরও তরান্বিত করেছে ৷ 24 জুন অর্থাৎ, গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে সোজা মিশরে পৌঁছেছিলেন ৷ আজ 25 জুন তাঁর সফরের শেষদিন ৷ এদিন তিনি মিশরের প্রেসিডেন্ট এবং অন্যান্যদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নিয়েছেন ৷ সেখানে গত জানুয়ারি মাসে প্রেসিডেন্ট আবদেল ফত্তাহ এল-সিসির ভারত সফরে হওয়া চুক্তিগুলিকে কার্যকর করতে আলোচনা হয় দু’তরফে ৷