ইসলামাবাদ, 21 জুন: পাকিস্তানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে হোলি পালন নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে ৷ এই ধরনের উৎসব পালনকে পাকিস্তানের ইসলামি পরিচয়ের জন্য উদ্বেগজনক বলে মনে করছে ওই দেশের উচ্চশিক্ষা কমিশন ৷ তাই তারা একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে হোলির উৎসব পালনের ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন হিসেবেই দেখতে চাইছে ৷ আর এই ধরনের উৎসব পালন থেকে বিচক্ষণতার সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ওই কমিশনের তরফে ৷ বুধবার ওই দেশের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকেই এই তথ্য সামনে এসেছে ৷
উচ্চশিক্ষা কমিশনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শায়েস্তা সোহেলের একটি চিঠি লিখেছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের ৷ সেই চিঠিতে তিনি কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উল্লেখ করেননি ৷ সেখানেই তিনি হোলির মতো উৎসব পালন না করার পরামর্শ দিয়েছেন ৷ প্রসঙ্গত, ইসলামাবাদের কায়েদ-ই-আজম বিশ্ববিদ্যালয় একটি ইভেন্ট আয়োজন করা হয় গত 8 মার্চ ৷ সেখানেই হোলির উৎসব পালন করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে ৷ দিনকয়েক পর বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রকাশ্যে আসে ৷
এই নিয়ে পাকিস্তানের সংবাদপত্র ডন-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই কমিশন জানিয়েছে যে এই অনুষ্ঠান দেশের ভাবমূর্তিকে প্রভাবিত করেছে ৷ উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি করেছে ৷ অসুবিধা সৃষ্টি করেছে ৷ কমিশন চিঠিতে লিখেছে, "দুর্ভাগ্যবশত, আমাদের সামাজিক ওসাংস্কৃতিক মূল্যবোধ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন এবং দেশের ইসলামিক পরিচয়ের পরিপন্থী কর্মকাণ্ডের সাক্ষী হওয়া দুঃখজনক ।" ফলে এই ধরনের উৎসব পালন থেকে পড়ুয়াদের বিরত করার উদ্যোগ নেওয়া উচিত বলে ওই চিঠিতে উচ্চশিক্ষা কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে ৷
এই নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে ভারতের এই প্রতিবেশী দেশে ৷ হোলি ও দিওয়ালির মতো উৎসব সিন্ধি সংস্কৃতিরও অঙ্গ ৷ এটা ইসলামাবাদের ভেবে দেখা উচিত ৷ সমাজকর্মী আম্মার আলি জান ও আইনজীবী জাহানজেব সুখেরা এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সরব হয়েছেন ৷
আরও পড়ুন: আপনি যদি স্বাস্থ্যকর হোলি উদযাপন করতে চান তবে কিছু জিনিসের বিশেষ যত্ন নিন