ইসলামাবাদ, 16 মার্চ: প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান চাইলে নিজের গ্রেফতারি এড়াতে পারেন ৷ তবে তার জন্য তাঁকে আদালতে এসে আত্মসমর্পণ করতে হবে ৷ ইমরান যদি তেমনটা করতে রাজি হন, তাহলে তিনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর গ্রেফতারির প্রক্রিয়া রদ করে দেবেন ৷ বৃহস্পতিবার ইমরানের সামনে এই প্রস্তাব রেখেছেন স্থানীয় জেলা আদালতের এক বিচারক (Pakistan Judge offers to stop Arrest Attempts against Imran Khan) ৷
তোশাখানা কাণ্ডে (Toshakhana Case) ইমরান খানের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা শুরু করতে চায় পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (Election Commission of Pakistan) বা ইসিপি (ECP) ৷ বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানি চলছিল অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক জাফর ইকবালের এজলাসে ৷ শুনানি চলাকালীন বিচারক বলেন, ইমরান খান যদি আদালতের কাছ থেকে কোনওরকম সহযোগিতা চান, তাহলে তার আগে তাঁকে আদালতে এসে আত্মসমর্পণ করতে হবে ৷
এদিনের শুনানিতে ইমরান গরহাজির থাকলেও উপস্থিত ছিলেন তাঁর আইনজীবী ৷ তিনি আদালতকে জানান, আগামী 18 মার্চ তাঁর মক্কেল আদালতে হাজিরা দেবেন ৷ তারই প্রেক্ষিতে বিচারক উপরোক্ত মন্তব্যটি করেন ৷ তিনি বলেন, "আমরা চাই, ইমরান খান আদালতে আসুন ৷ তিনি আসছেন না কেন ? এর পিছনে কী কারণ রয়েছে ? আইন অনুসারে তো ইমরান খানের পুলিশকে সহযোগিতা করা উচিত ৷ পুলিশের বিরোধিতা করা উচিত নয় ৷"
এরপর ইমরানের আইনজীবী খাওয়াজা হ্য়ারিস বলেন, তাঁর মক্কেল আদালতে একটি অঙ্গীকারপত্র জমা করতে চান ৷ তিনি আগামী 18 মার্চ আদালতে হাজিরা দেবেন ৷ এই প্রেক্ষাপটে বিচারক সাফ জানিয়ে দেন, ইমরান সহযোগিতা করলে তিনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে শুরু হওয়া গ্রেফতারির প্রক্রিয়াও বন্ধ করে দিতে পারেন ৷ বিচারকের কথায়, "আইন অনুসারে, ইমরানকে সরাসরি আদালতে নিয়ে আসা উচিত ছিল ৷ তাতে ইমরানকে হয়রান হতে হত না ৷"
আরও পড়ুন: তাঁকে হত্যা করাই আসল উদ্দেশ্য ছিল বলে দাবি ইমরানের, তাঁর গ্রেফতারি স্থগিত আদালতের
এই প্রসঙ্গে বিচারক আরও বলেন, ইমরান যদি আগেই আদালতে পৌঁছে যেতেন, তাহলে তাঁর বাড়ির বাইরে এভাবে পুলিশকে পাহারায় বসতে হত না ! একইসঙ্গে, বিচারক মনে করিয়ে দেন, পাকিস্তান একটি দরিদ্র দেশ ৷ এখানে এমন একটি ঘটনার জন্য এত বিপুল পরিমাণে প্রশাসনিক পরিকাঠামোর ব্যবহার কাম্য নয় ৷ দেশ এত ব্যয় বহন করতে সক্ষম নয় ৷