দারাগা (ফিলিপিন্স), 12 জুন: অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়েছে ফিলিপিন্সের সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি মেয়নের ৷ যার ফলে হাজার হাজার মানুষ এর থেকে সাংঘাতিক অগ্নুৎপাতের আশঙ্কায় রয়েছেন ৷ সে জন্য উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন ৷ স্থানীয়দের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে সোমবার জানিয়েছে প্রশাসন ৷
উত্তর-পূর্ব অ্যালবে প্রদেশে মেয়ন আগ্নেয়গিরির আশপাশের 6 কিলোমিটার (3.7-মাইল) ব্যাসার্ধের মধ্যে বসবাসকারী 12,000-এরও বেশি গ্রামবাসীকে ইতিমধ্যেই নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই দরিদ্র কৃষক সম্প্রদায়ের ৷ গত সপ্তাহে এই আগ্নেয়গিরিতে নতুন করে সক্রিয় হয়ে ওঠার লক্ষণ দেখা দেওয়ায় স্থানীয়দের সরানোর প্রক্রিয়া শুরু করা হয় ৷ কর্তৃপক্ষ সতর্ক করেছে যে, আরও হাজার হাজার মানুষ মেয়নের নীচে স্থায়ী বিপদ অঞ্চলের মধ্যে রয়ে গিয়েছেন ৷
ফিলিপিন্সের ইনস্টিটিউট অফ ভলকানোলজি অ্যান্ড সিসমোলজির পরিচালক টেরেসিটো বাকলকোল জানান, রবিবার রাতে আগ্নেয়গিরিটি থেকে লাভা বের হতে শুরু করেছে ৷ মেয়নের আশপাশের উচ্চ-ঝুঁকির অঞ্চলটি প্রসারিত হতে পারে যদি অগ্ন্যুৎপাত মারাত্মক আকার ধারণ করে ৷ যদি এটি ঘটে তবে যে কোনও বর্ধিত বিপদ অঞ্চলের মানুষকে জরুরি আশ্রয়কেন্দ্রে সরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি ।
আরও পড়ুন: 38 বছর পর ঘুম ভাঙার পর আবারও শান্ত হচ্ছে মওনা লোয়া
রবিবার রাতে দূর থেকে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের সাংবাদিকদের একটি দল আগ্নেয়গিরিটিকে তার দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাভা ছড়াতে দেখতে পেয়েছে । সেই সময় মেয়ন থেকে প্রায় 14 কিলোমিটার (8.5 মাইল) দূরে অ্যালবের রাজধানী শহর লেগাজপির একটি সমুদ্রতীরবর্তী জেলায় লোকেরা রেস্তোঁরা এবং বার থেকে বেরিয়ে এসে দেশের সবচেয়ে চর্চিত আগ্নেয়গিরির অনেক ছবি তুলেছেন । বড় ধরনের অগ্ন্যুৎপাত ঘটলে যে কোনও দুর্যোগ ত্রাণ তহবিল দ্রুত বণ্টনের অনুমতি দেওয়ার জন্য শুক্রবার অ্যালবে-কে জরুরি অবস্থার অধীনে রাখা হয়েছে ।
এর মনোরম শঙ্কু আকৃতির জন্য পর্যটকদের একটি প্রধান আকর্ষণ মেয়ন ৷ এটি এই দেশের 24টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরির মধ্যে অন্যতম । এটি শেষবার 2018 সালে সাংঘাতিক ভাবে সক্রিয় হয়েছিল ৷ সেই সময় হাজার হাজার গ্রামবাসীকে বাস্তুচ্যুত হতে হয় ৷ 1814 সালে মেয়নের অগ্ন্যুৎপাত সমগ্র গ্রামগুলিকে চাপা দিয়েছিল এবং জানা গিয়েছে 1,000 জনেরও বেশি মানুষের সে বার মৃত্যু হয় ।