করাচি, 22 জানুয়ারি: পাকিস্তানে ফের সামনে এল সে দেশের সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের ঘটনা ৷ এবার এর শিকার হয়েছেন একজন বিবাহিত হিন্দু মহিলা ৷ ওই মহিলার অভিযোগ, তাঁকে জোর করে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় একদল দুষ্কৃতী ৷ তাঁকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা হয় ৷ তাতে বাধা দিলে তাঁকে ধর্ষণ করা হয় ৷ ওই মহিলা পাকিস্তানের দক্ষিণ সিন্ধ প্রদেশের বাসিন্দা ৷ ঘটনাটি ঘটেছে উমারকোট জেলার সামারো শহরে ৷ অত্যাচারিত ওই মহিলা সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ভিডিয়ো বার্তায় তাঁর উপর হওয়া অত্যাচারের কথা জানিয়েছেন (Hindu woman raped in pakistan) ৷
জানা গিয়েছে, থানায় গিয়ে ওই মহিলা অভিযোগ জানিয়ে এলেও রবিবার পর্যন্ত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি ৷ পাকিস্তানের এক হিন্দু সংগঠনের নেত্রী জানিয়েছেন, নিগৃহীতা মহিলা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা থানার বাইরে বসে থাকলেও কোনও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও কেস দায়ের করতে রাজি হচ্ছে না মিরপুরখাসের পুলিশ ৷ ভিডিয়ো বার্তায় ইব্রাহিম মনগ্রিও, পুনহো মনগ্রিও-সহ আরও কয়েকজনের নাম জানিয়েছেন (Hindu woman converted to Islam in Pak)৷
আরও পড়ুন: চিনা নববর্ষের অনুষ্ঠান শেষে বন্দুকবাজের হামলা আমেরিকায়, মৃত বেড়ে 10
নিগৃহীতার আরও অভিযোগ, তাঁকে প্রথমে হুমকি দিয়ে ধর্মান্তরিত হওয়ার জন্য বলে দুষ্কৃতীরা ৷ কিন্তু তিনি তাতে রাজি না হওয়ায় তাঁকে 3 দিন ধরে ধর্ষণ করা হয় ৷ এরপর কোনওক্রমে তিনি ওই দুষ্কৃতীদের খপ্পর থেকে পালিয়ে আসেন ৷ উল্লেখ্য, সিন্ধ প্রদেশের থর, উমারকোট, মিরপুরখাস, ঘোটকি, খৈরপুরের মতো এলাকায় হিন্দু জনবসতি বেশি ৷ আর এইসব এলাকা থেকে হিন্দু মেয়েদের তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা আগেও হয়েছে ৷
গত বছর জুন মাসে করিনা কুমারি নামে এক হিন্দু নাবালিকা অভিযোগ করেছিল তাঁকে জোর করে ইসলামে ধর্মান্তরিত করে এক মুসলিম যুবক বিয়ে করে ৷ গত বছরের মার্চেও তিন হিন্দু মহিলাকে ধর্মান্তরিত করে জোর করে বিয়ে করার অভিযোগ সামনে এসেছিল পাকিস্তানে ৷ এছাড়াও গত বছর 21 মার্চ সুক্কুরের রোহরি এলাকায় পুজা কুমারি নামে এক মহিলাকে তাঁর বাড়ির সামনে গুলি করে খুন করার ঘটনাও সামনে আসে ৷