লন্ডন, 5 সেপ্টেম্বর: ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী (UK New Prime Minister) নির্বাচিত হলেন লিজ ট্রাস (Liz Truss) ৷ তাঁর এই নির্বাচন একপ্রকার নিশ্চিত ছিল বলেই মনে করা হচ্ছে ৷ কারণ, প্রধানমন্ত্রী দৌড়ে লিজই ছিলেন সবথেকে বেশি জনপ্রিয় ৷ তবে, ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের বক্তব্য হল, প্রধানমন্ত্রী হিসাবে লিজের সফর খুব একটা সুখের হবে না ৷ কারণ, এই মুহূর্তে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে জর্জরিত ব্রিটিশরা ৷ দৈনন্দিন জীবনযাত্রার সাধারণ মানটুকু বজায় রাখতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁদের ৷ দেশবাসীর সেই সমস্যা যেকোনও উপায়ে দূর করতে হবে 47 বছরের লিজকে ৷
সোমবারই ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী হিসাবে লিজের নাম ঘোষণা করা হয় ৷ ব্রিটিশ প্রশাসনের নিয়ম অনুসারে, শাসকদল অর্থাৎ কনজারভেটিভ পার্টির (Conservative Party) অভ্যন্তরীণ নির্বাচনে জিতে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি পর্যন্ত পৌঁছে যান লিজ ৷ একইসঙ্গে, দেশের তৃতীয় মহিলা প্রধানমন্ত্রীকে পেয়ে যান ব্রিটিশরা ৷ এর আগে মার্গারেট থ্য়াচার (Margaret Thatcher) এবং টেরেসা মে (Theresa May) ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন ৷ সেই অর্থে দেখতে গেলে 'রানির দেশে' প্রশাসিকস্তরে শীর্ষস্থান থেকে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে মহিলাদের তুলনায় পুরুষরাই এগিয়ে ৷
আরও পড়ুন: রক্তাক্ত কানাডা ! 10 জনের মর্মান্তিক মৃত্যুতে ব্যথিত প্রধামন্ত্রী ট্রুডো
প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তাঁর নাম ঘোষিত হওয়ার পরই লিজ তাঁর প্রথম ভাষণে বলেন, "আগামী দুই বছরে আমাদের ভালো কিছু করে দেখাতে হবে ৷ আমজনতার উপর থেকে করের বোঝা কমাতে এবং অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে আমি কিছু সাহসী পদক্ষেপ করব ৷ শক্তিসম্পদের অপ্রতুলতা, লাগামছাড়া বিদ্যুৎ বিলের মতো বিষয়গুলির সঙ্গে লড়াই করতে হবে আমাদের ৷ একইসঙ্গে, শক্তি সরবরাহ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আমাদের যেসমস্ত সমস্যা পোহাতে হচ্ছে, সেসবও মেটাতে হবে ৷"
তথ্য বলছে, এবার নিয়ম মাফিক ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করে দিতে হবে বরিস জনসনকে (Boris Johnson) ৷ একের পর এক সমালোচনার জেরে গত জুলাই মাসে পদত্য়াগ করতে বাধ্য হন তিনি ৷ মঙ্গলবার স্কটল্য়ান্ডে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের কাছে যাবেন বরিস ৷ সেখানে তাঁর কাছে নিজের পদত্যাগপত্র পেশ করবেন তিনি ৷ এরপর বরিসের হাত থেকে দায়িত্ব বুঝে নেবেন লিজ এবং রানির মাধ্যমে পরবর্তী সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে ৷
প্রসঙ্গত, 2015 সাল থেকে এখনও পর্যন্ত, লিজ ট্রাস হলেন কনজারভেটিভ পার্টির চতুর্থ প্রতিনিধি, যিনি প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হয়েছেন ৷ লক্ষ্যণীয়ভাবে এই সময়ের মধ্য়েই ব্রিটেনের আর্থিক পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হয়েছে ৷ ওয়াকিবহাল মহলের আশঙ্কা, মূল্যবৃদ্ধির জেরে আগামী দিনে ব্রিটেনের বহু মানুষ চাকরি হারাবেন ৷ এদিকে, রোজের খরচ আরও বাড়বে ৷ তাই ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে জিতে গেলেও আগামী দিনগুলি লিজের জন্য অত্যন্ত কঠিন হতে চলেছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ৷