জেরুজালেম, 25 অক্টোবর: স্থলাভিযানের আগে গাজায় সক্রিয়তা বাড়াল ইজরায়েল। সূত্রের খবর, অতিরিক্ত পরিমাণে বোমাবর্ষণ করেছে ইজরায়েলি সেনা। স্বভাবতই মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে গাজায়। ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে গাজায় অবিলম্বে স্থলাভিযানের কথা ভাবছে ইজরায়েল। তার আগে নতুন করে বোমবর্ষণের ঘটনায় অশনি সংকেত দেখছে বিভিন্ন মহল। পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আমেরিকার মতো দেশ।
অক্টোবর মাসের 7 তারিখ থেকে শুরু হওয়া সংঘাত যুদ্ধের চেহারা নিতে খুব একটা সময় নেয়নি। গাজায় এর আগে পাঁচটি যুদ্ধ হয়েছে। তবে এবারের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি বলে দাবি গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রকের। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার মন্ত্রক জানিয়েছে, সংঘাতের শুরু থেকে পশ্চিম গাজায় কমপক্ষে 5791 জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা কমপক্ষে 16 279 । পাশাপাশি ইজরায়েলি সেনার তল্লাশি অভিযানে প্যালেস্তাইনে 96 জনের প্রাণ গিয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে 1650 জন। অন্যদিকে, ইজরায়েল জানিয়েছে, হামাসের হামলায় তাদের 1400-র বেশি নাগরিকের প্রাণ গিয়েছে। একইসঙ্গে কমবেশি 222 জন বিদেশীকে পণবন্দি করেছে হামাস। যুদ্ধের 18তম দিনে এমনই ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে।
গাজার 23 লক্ষ নাগরিকের জীবন এখন গভীর সংকটে। সীমান্তে ইজরায়েলের অবরোধের কারণে সেখানে খাদ্য সামগ্রী থেকে শুরু করে ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে। জ্বালানির অভাবও বাড়ছে। তার প্রভাব পড়ছে চিকিৎসা ব্যাবস্থার উপরেও। এমনই অবস্থায় গাজার সীমান্ত দিয়ে ত্রাণ সামগ্রী পাঠানোর ব্যবস্থা হয়েছে। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপর্যাপ্ত। এবার যুদ্ধ-পরিস্থিতি কোন দিকে যায় তার দিকে তাকিয়ে আছে গোটা বিশ্ব।
যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে থাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনার দাবি তুলেছে বিভিন্ন সংগঠন। কিন্তু হামাস সেই দাবি মানবে কিনা তা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে সংশয় রয়েছে। কানাডার বিদেশমন্ত্রী বিল ব্লেয়ার জানিয়েছে, কানাডা বিশ্বাস করে না হামাসের মতো জঙ্গি সংগঠন সংঘর্ষ থেকে বিরত থাকতে রাজি হবে।
আরও পড়ুন: ‘সরকারের বলির পাঁঠা’, হামাসের হাত থেকে মুক্তি পেয়ে গর্জে উঠলেন ওচেভেদ