নয়াদিল্লি, 29 সেপ্টেম্বর: বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ভারতে আফগানিস্তানের দূতাবাস ৷ এমনই জল্পনা রাজধানীতে ৷ তবে সূত্রের খবর, এই খবর কতটা সত্যি তা ভালো করে খতিয়ে দেখবে নয়াদিল্লি ৷ এই দূতাবাসের প্রধান রাষ্ট্রদূত ফরিদ মামুন্দজে ৷ জানা গিয়েছে, তিনি এখন লন্ডনে ৷ 2021 সালের অগস্ট মাসে আফগানিস্তানের দখল নেয় তালিবানরা ৷ তার আগে আশরফ গনি দেশের রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন ফরিদ ভারতের রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হয়েছিলেন ৷
সূত্রের খবর, এই খবরের সত্যতা যাচাই করে দেখছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ ভারতে আফগানিস্তানের রাষ্ট্রদূত ফরিদ মামুন্দজে বিগত কয়েক মাস ধরে ভারতের বাইরে রয়েছেন ৷ দীর্ঘ সময় ধরে তাঁর অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ৷ আবার দূতাবাসের মধ্যে আধিকারিকদের মধ্যে গণ্ডগোল বেধেছে বলেও খবর ৷ এই পরিস্থিতিতে ভারত ও আফগানিস্তান ছেড়ে কূটনীতিকরা অন্য দেশে চলে যাচ্ছেন ৷ তাঁরা অন্য দেশে আশ্রয়ও পেয়েছেন ৷
জানা গিয়েছে, এমতাবস্থায় আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আফগানিস্তান ভারতে তাদের দূতাবাস বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৷ এ বিষয়ে বিদেশ মন্ত্রকের মতও জানতে চেয়েছে আফগান প্রশাসন ৷ এর সূত্রপাত দূতাবাসের এক কূটনীতিকের বিদেশ মন্ত্রকের কাছে পাঠানো একটি চিঠিকে কেন্দ্র করে ৷
2020 সাল থেকে আফগানিস্তানের দূতাবাসে ট্রেড কাউন্সিলর পদে রয়েছেন কাদির শাহ ৷ এপ্রিলের শেষে তিনি বিদেশ মন্ত্রকের কাছে একটি চিঠি লেখেন ৷ তাতে এই কূটনীতিক দাবি করেন, তালিবান প্রশাসন কাদিরকে চার্জ ডি'অ্যাফেয়ার্স হিসেবে নিয়োগ করেছে ৷ এ থেকেই গণ্ডগোলের সূত্রপাত ৷ তারপরই রটে যায়, তালিবান প্রশাসন মামুন্দজে-কে সরিয়ে চার্জ ডি'অ্যাফেয়ার্স নিয়োগ করতে চায় ৷ আফগানিস্তানের দূতাবাসে শুরু হয় ক্ষমতার লড়াই ৷ তবে ঝামেলার পর দূতাবাসের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়, সেখানে নেতৃত্বে কোনও পরিবর্তন করা হয়নি ৷
তালিবানরা কাবুল দখল করে ইসলামিক এমিরেটস অফ আফগানিস্তান প্রতিষ্ঠা করেছে ৷ তবে এই প্রশাসনকে বহু দেশই এখনও স্বীকৃতি দেয়নি ৷ তার মধ্যে অন্যতম ভারত ৷ আফগানিস্তানকে যেন কোনওভাবে সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মের জন্য ব্য়বহার করা না-হয় সে কথাই বারবার শোনা গিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের গলায় ৷
আরও পড়ুন: উৎখাত হওয়ার 20 বছর পর আফগানিস্তানে স্বমহিমায় ফিরেছে তালিবান