আটলান্টা, 19 ফেব্রুয়ারি: জীবনের বাকি সময়টা বাড়িতেই কাটাতে চান দেশের দীর্ঘায়ু প্রেসিডেন্ট ৷ বারে বারে হাসপাতালে গিয়ে বাড়ি ফিরে এসেছেন তিনি ৷ এবার আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের জন্য তাঁর জর্জিয়ার বাড়িতে শুশ্রুষার বন্দোবস্ত করা হয়েছে ৷ স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে দ্য কার্টার সেন্টার (The Carter Centre) ৷ দক্ষিণ জর্জিয়ার গ্রামাঞ্চলে 1924 সালের 1 অক্টোবর তিনি জন্মগ্রহণ করেন ৷ এখন কার্টারের বয়স 98 (former President Jimmy Carter has entered home hospice care) ৷
কার্টার সেন্টারের প্রধান জ্যাসন কার্টার শনিবার একটি টুইট করে জানান, "গতকাল আমার দুই দাদু-দিদাকেই দেখে এলাম ৷ তাঁরা শান্তিতে আছেন, যেমনটা সব সময় থাকেন ৷ তাঁদের বাড়ি ভালোবাসায় পরিপূর্ণ ৷" 39তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, জীবনের বাকি সময়টা সময়টা বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে কাটাবেন ৷ তাই বাইরের কোনও হাসপাতালে না-গিয়ে বাড়িতেই 'হসপিস কেয়ার' নেবেন ৷ যাঁরা জীবনের শেষ অবস্থায় পৌঁছেছেন, তাঁদের এই বিশেষ কেয়ার দেওয়া হয় ৷ এতে ওই ব্যক্তির ব্যথা কমিয়ে, শারীরিক দিক দিয়ে নানা ভাবে আরাম দেওয়ার চিকিৎসা চলে এবং তা বাড়িতেই ৷ জিমি কার্টারও এবার হাসপাতালে না গিয়ে সেটা চাইছেন ৷ ওই বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, "তিনি এখন নিজস্ব একান্ত ব্যক্তিগত জীবন কাটাতে চান ৷ তাঁর অনুরাগীদের কাছে তিনি কৃতজ্ঞ ৷"
-
I saw both of my grandparents yesterday. They are at peace and—as always—their home is full of love. Thank you all for your kind words https://t.co/9rhG61sZEV
— Jason Carter (@SenatorCarter) February 18, 2023 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
">I saw both of my grandparents yesterday. They are at peace and—as always—their home is full of love. Thank you all for your kind words https://t.co/9rhG61sZEV
— Jason Carter (@SenatorCarter) February 18, 2023I saw both of my grandparents yesterday. They are at peace and—as always—their home is full of love. Thank you all for your kind words https://t.co/9rhG61sZEV
— Jason Carter (@SenatorCarter) February 18, 2023
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংগঠিত করেছে রাশিয়া, দাবি হ্যারিসের
কার্টারের 'জিমি কার্টার' হয়ে ওঠা
একসময় জিমি কার্টার জর্জিয়ার গভর্নর ৷ আমেরিকার বাসিন্দারা তখন তাঁকে তেমন ভাবে চেনে না ৷ 1976 সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিয়ে ওয়াশিংটনের একজন বহিরাগত হিসেবে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড আর ফোর্ডকে (President Gerald R. Ford) হারালেন তিনি ৷ তখন দু'দশক ধরে চলা ভিয়েতনাম যুদ্ধ সদ্য শেষ হয়েছে ৷ এদিকে 1974 সালে ওয়াটারগেট দুর্নীতিতে প্রেসিডেন্ট পদ খুইয়েছেন রিচার্ড নিক্সন ৷ সব মিলিয়ে একটা অস্থিরতার আবহাওয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৷ ডেমোক্র্যাট জিমি কার্টার দেশের হাল ধরলেন ৷ তবে 1980 সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজিত হন রিপাবলিকান রোনাল্ড রেগানের কাছে (Republican Ronald Reagan) ৷
নির্বাচনে হারলেও জিমি কার্টার মানুষের জন্য কাজ করার কথা ভুলে যাননি ৷ 1982 সালে তিনি ও তাঁর স্ত্রী রোসালিন 'দ্য কার্টার সেন্টার' প্রতিষ্ঠা করেন ৷ আন্তর্জাতিক স্তরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাকে সমর্থন জানানো, জনস্বাস্থ্য এবং মানবিক অধিকারের জন্য লড়াই সংগঠনটির উদ্দেশ্য ৷ জিমি কার্টার তাঁর কাজের জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার পান 2002 সালে ৷ করোনাভাইরাস অতিমারিতে জিমি কার্টারের জনসংযোগ কমে যায় ৷ তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি হতে থাকে ৷ তার আগে 2015 সালের অগস্টে তাঁর যকৃৎ থেকে একটি ক্যানসার জাতীয় মাংসপিণ্ড কেটে বাদ দেওয়া হয়েছিল ৷ সে বছরই তিনি ঘোষণা করেছিলেন, আর কোনও চিকিৎসা দরকার নেই ৷ কিন্তু তারপরও বারবার হাসপাতাল-ঘর করতে হয়েছে তাঁকে । এবার প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট শেষ সময়টুকু বাড়িতে একান্তে থাকতে চান ৷