ফ্লোরিডা, 23 ফেব্রুয়ারি: গুলি চালনার খবর করতে গিয়ে আততায়ীর গুলিতে প্রাণ গেল সাংবাদিকের । আহত হলেন চিত্র সাংবাদিক । ঘটনায় আরও এক নাবালিকা এবং তার মায়েরও গুরুতর চোট লেগেছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, স্থানীয় সময় বুধবার ফ্লোরিডায় একাধিক গুলি চালনার ঘটনা ঘটেছে (Multiple shooting incident reported in Florida)। দ্বিতীয় ঘটনাতেই প্রাণ হারিয়েছেন নিউজ স্পেকট্রাম 13 নামে ওই চ্যানেলের সাংবাদিকের।
ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন স্থানীয় শেরিফ জন মিনা। তিনি জানান, ঠিক কী কারণে ঘটনাগুলি ঘটেছে তা এখনও স্পষ্ট নয় । তবে প্রতিটি ঘটনাই কেইথ মেলভিন মজেস নামে বছর উনিশের এক তরুণ ঘটিয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তাকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে । আপাতত সাংবাদিককে খুনের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পরে অন্য ঘটনাগুলিতেও তাকে অভিযুক্ত করে তদন্ত শুরু হবে । এদিকে, নিহত এবং আহত সাংবাদিকের নাম আপাতত প্রকাশ না-করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
ঘটনায় শোকজ্ঞাপন করে টুইট করেছেন হোয়াইট হাউজের প্রেস সচিব জিন পেরি । তিনি লেখেন, "গুলিতে নিহত এবং আহত সাংবাদিকদের পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি সমবেদনা জানাই।" প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন আরও অনেক টুইট ব্যবহারকারী। বন্দুকবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জিও জানিয়েছেন তাঁরা। পরপর এই ধরনের ঘটনা কেন ঘটছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সামাজিক মাধ্যমে ।
ফ্লোরিডায় গুলি চালনার প্রাথমিক খবর পেয়েই প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মার্কিন মুলুকে এই ধরনের ঘটনা বন্ধ করতে ইতিমধ্যেই প্রশাসন উদ্যোগ নিয়েছে। অস্ত্র ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে একটি বিশেষ আইনও লাগু হতে চলেছে। এই বিষয়টি উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, "কংগ্রেসের দুটি কক্ষের সদস্যদের কাছেই আমরা অনুরোধ আমেরিকার স্কুল থেকে শুরু করে হাসপাতাল, কর্মস্থান বা বাড়ি সুরক্ষিত রাখতে উদ্যোগ নেওয়া দরকার। সমস্ত প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করে প্রস্তাবিত আইনটি পাশ করার ব্যবস্থা করুন ।"
আরও পড়ুন: মৃতদেহের পাশে সিগারেটের শেষাংশ ! 52 বছর পর খুনের সমাধান