ETV Bharat / international

Jaishankar slams China: চিন একতরফা ভাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বদলের চেষ্টা করছে, জানালেন জয়শঙ্কর - রাষ্ট্রসংঘ

চিনের বিরুদ্ধে একতরফা ভাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (LAC) অবস্থান বদলে দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (External Affairs Minister S Jaishankar) ৷ অস্ট্রিয়ার একটি টিভি চ্যানেলের পডকাস্ট সাক্ষাৎকারে একথা বলেন বিদেশমন্ত্রী ৷

External Affairs Minister S Jaishankar
ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর
author img

By

Published : Jan 3, 2023, 6:52 PM IST

ভিয়েনা (অস্ট্রিয়া), 3 জানুয়ারি: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (LAC) অবস্থান একতরফা ভাবে বদল করার চেষ্টা করছে চিন (China) ৷ এমনই অভিযোগ করেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (External Affairs Minister S Jaishankar) ৷ তিনি এই নিয়ে চিনের সমালোচনা করেছেন ৷ অস্ট্রিয়ার একটি টিভি চ্যানেলের পডকাস্ট সাক্ষাৎকারে তিনি এই কথা বলেছেন ৷

জয়শঙ্করের কথায়, "আমাদের একতরফা ভাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা পরিবর্তন না করার জন্য একটি চুক্তি ছিল, যা তারা একতরফা ভাবে করার লঙ্ঘন করেছে । সুতরাং, আমি মনে করি যে এই সমস্যার বিষয়ে আমরা আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে শিখেছি ৷’’

প্রসঙ্গত, 2020 সালে পূর্ব লাদাখের গালওয়ানে (Galwan) প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ভারত ও চিনের সেনার সংঘর্ষ হয় (India-China Faceoff) ৷ তার পর গত ডিসেম্বরে অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে ফের একই ঘটনা ঘটে ৷ দু’টি ক্ষেত্রেই চিন লড়াইয়ে উসকানি দিয়েছিল বলে বারবার অভিযোগ করেছে ভারত ৷ এদিনও সেই একই প্রসঙ্গ তুলেছেন বিদেশমন্ত্রী ৷

তিনি বলেন, "আমাদের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে আমি মনে করি এটা অনেক বড় উদ্বেগের বিষয় ৷ উদ্বেগের বিষয় হল, আমাদের সীমান্ত এলাকায় বাহিনী মোতায়েন না করা নিয়ে চিনের সঙ্গে আমাদের চুক্তি ছিল এবং তারা সেই চুক্তি পালন করেনি ৷ সেই কারণে এখন উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি রয়েছে বলে আমরা মনে করি ।"

চিনের তরফে স্থিতাবস্থা পরিবর্তনের এই চেষ্টা সম্পর্কে বলতে গিয়ে জয়শঙ্কর জানান, চুক্তি যে চিন অনুসরণ করছে না, তা তারা অস্বীকার করতে পারে ৷ ভারতকে দোষারোপও করতে পারে ৷ কিন্তু উপগ্রহ চিত্রে পুরো বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে ৷

এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, ভারত ও চিন গত 20 ডিসেম্বর চুশুল-মোল্ডো সীমান্ত মিটিং পয়েন্টে চিনের দিকে কর্পস কমান্ডার স্তরের 17 তম রাউন্ডের বৈঠক করেছে ৷ এবং পশ্চিম সেক্টরে স্থলভাগে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সম্মত হয়েছে ।

এছাড়া ভারতের জনসংখ্যা (Population) নিয়েও তিনি কথা বলেছেন ৷ এই বছরই যে জনসংখ্যার নিরিখে চিনকে ভারত টপকে যাবে, সেটাও তিনি জানিয়েছেন ৷ কিন্তু এই ধরনের পরিসংখ্যানকে ভারত কোনও ব্যবহার করে না বলেও তিনি জানিয়েছেন ওই সাক্ষাৎকারে ৷

এই প্রসঙ্গেই তিনি রাষ্ট্রসংঘে (United Nations) সংস্কারের পক্ষে সরব হয়েছেন ৷ প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার দেশ কেন রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UN Security Council) স্থায়ী জায়গা পাবে না ? প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে চিন জনসংখ্যার নিরিখে বিশ্বের এক নম্বর দেশ ৷ তাঁরা নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য ৷ কিন্তু ভারতের ক্ষেত্রে বিষয়টি তা নয় ৷ ভারত জনসংখ্যার নিরিখে এক নম্বর হয়েও নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদ পাবেন কি না, সেই প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে ৷ আর সেই প্রশ্নই তুলেছেন জয়শঙ্কর ৷

আরও পড়ুন: ‘সন্ত্রাসবাদ মানবতার জন্য বিপজ্জনক’, 26/11-র 14 বছরে টুইট বিদেশমন্ত্রীর

ভিয়েনা (অস্ট্রিয়া), 3 জানুয়ারি: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (LAC) অবস্থান একতরফা ভাবে বদল করার চেষ্টা করছে চিন (China) ৷ এমনই অভিযোগ করেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (External Affairs Minister S Jaishankar) ৷ তিনি এই নিয়ে চিনের সমালোচনা করেছেন ৷ অস্ট্রিয়ার একটি টিভি চ্যানেলের পডকাস্ট সাক্ষাৎকারে তিনি এই কথা বলেছেন ৷

জয়শঙ্করের কথায়, "আমাদের একতরফা ভাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা পরিবর্তন না করার জন্য একটি চুক্তি ছিল, যা তারা একতরফা ভাবে করার লঙ্ঘন করেছে । সুতরাং, আমি মনে করি যে এই সমস্যার বিষয়ে আমরা আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে শিখেছি ৷’’

প্রসঙ্গত, 2020 সালে পূর্ব লাদাখের গালওয়ানে (Galwan) প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ভারত ও চিনের সেনার সংঘর্ষ হয় (India-China Faceoff) ৷ তার পর গত ডিসেম্বরে অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে ফের একই ঘটনা ঘটে ৷ দু’টি ক্ষেত্রেই চিন লড়াইয়ে উসকানি দিয়েছিল বলে বারবার অভিযোগ করেছে ভারত ৷ এদিনও সেই একই প্রসঙ্গ তুলেছেন বিদেশমন্ত্রী ৷

তিনি বলেন, "আমাদের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে আমি মনে করি এটা অনেক বড় উদ্বেগের বিষয় ৷ উদ্বেগের বিষয় হল, আমাদের সীমান্ত এলাকায় বাহিনী মোতায়েন না করা নিয়ে চিনের সঙ্গে আমাদের চুক্তি ছিল এবং তারা সেই চুক্তি পালন করেনি ৷ সেই কারণে এখন উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি রয়েছে বলে আমরা মনে করি ।"

চিনের তরফে স্থিতাবস্থা পরিবর্তনের এই চেষ্টা সম্পর্কে বলতে গিয়ে জয়শঙ্কর জানান, চুক্তি যে চিন অনুসরণ করছে না, তা তারা অস্বীকার করতে পারে ৷ ভারতকে দোষারোপও করতে পারে ৷ কিন্তু উপগ্রহ চিত্রে পুরো বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে ৷

এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, ভারত ও চিন গত 20 ডিসেম্বর চুশুল-মোল্ডো সীমান্ত মিটিং পয়েন্টে চিনের দিকে কর্পস কমান্ডার স্তরের 17 তম রাউন্ডের বৈঠক করেছে ৷ এবং পশ্চিম সেক্টরে স্থলভাগে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সম্মত হয়েছে ।

এছাড়া ভারতের জনসংখ্যা (Population) নিয়েও তিনি কথা বলেছেন ৷ এই বছরই যে জনসংখ্যার নিরিখে চিনকে ভারত টপকে যাবে, সেটাও তিনি জানিয়েছেন ৷ কিন্তু এই ধরনের পরিসংখ্যানকে ভারত কোনও ব্যবহার করে না বলেও তিনি জানিয়েছেন ওই সাক্ষাৎকারে ৷

এই প্রসঙ্গেই তিনি রাষ্ট্রসংঘে (United Nations) সংস্কারের পক্ষে সরব হয়েছেন ৷ প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার দেশ কেন রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UN Security Council) স্থায়ী জায়গা পাবে না ? প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে চিন জনসংখ্যার নিরিখে বিশ্বের এক নম্বর দেশ ৷ তাঁরা নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য ৷ কিন্তু ভারতের ক্ষেত্রে বিষয়টি তা নয় ৷ ভারত জনসংখ্যার নিরিখে এক নম্বর হয়েও নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদ পাবেন কি না, সেই প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে ৷ আর সেই প্রশ্নই তুলেছেন জয়শঙ্কর ৷

আরও পড়ুন: ‘সন্ত্রাসবাদ মানবতার জন্য বিপজ্জনক’, 26/11-র 14 বছরে টুইট বিদেশমন্ত্রীর

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.