ওয়াশিংটন, 19 নভেম্বর: প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে (Donald Trump) কি টুইটারে (Twitter) ফিরিয়ে আনা উচিত ? টুইটার ব্যবহারকারীদের কাছ থেকেই এর জবাব চেয়েছেন সংস্থার নয়া মালিক ইলন মাস্ক (Elon Musk) ৷ এর জন্য টুইটারেই ভোটাভুটির (Twitter Poll) বন্দোবস্ত করেছেন তিনি ৷ প্রসঙ্গত, টুইটারের মালিকানা খাতায় কলমে হাতে নেওয়ার আগেই টুইটার থেকে ট্রাম্পকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মাস্ক ৷ বার্তা দিয়েছিলেন, ট্রাম্পকে টুইটারে ফিরিয়ে আনার ৷ এমনকী, জবাবে ট্রাম্পও তাঁকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছিলেন ৷ আর গত কয়েকদিন ধরে ট্রাম্পকে নিয়ে ফের আলোচনা শুরু হয়েছে ৷ তা সে তাঁর প্রশাসনিক ক্ষমতায় ফেরার সম্ভাবনা হোক কিংবা টুইটারের ভার্চুয়াল মঞ্চে ফেরার অনুকূল পরিস্থিতি ৷
প্রসঙ্গত, টুইটারে ইলন মাস্কের নিজের ফলোয়ারের সংখ্যা 116 মিলিয়নেরও বেশি ৷ এহেন ইলন মাস্ক, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে করা ভোটাভুটি প্রসঙ্গে একটি টুইট করেন ৷ লেখেন, "প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে কি ফেরানো হবে ? হ্যাঁ অথবা না ৷" অন্য একটি টুইটে লাতিন ভাষার একটি প্রবাদ পোস্ট করেন মাস্ক ৷ তিনি লেখেন, "ভক্স পপুলি, ভক্স দেই" ৷ যার অর্থ হল, "জনগণের বাণীই ঈশ্বরের বাণী" ৷ শেষ পাওয়া খবর অনুসারে, এই অনলাইন ভোটাভুটির সময়সীমা শেষ হওয়ার 14 ঘণ্টা আগে পর্যন্ত 83 লক্ষ 21 হাজার 459টি ভোট নথিভুক্ত হয়েছে ৷
-
Reinstate former President Trump
— Elon Musk (@elonmusk) November 19, 2022 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
">Reinstate former President Trump
— Elon Musk (@elonmusk) November 19, 2022Reinstate former President Trump
— Elon Musk (@elonmusk) November 19, 2022
আরও পড়ুন: টুইটারে ফুটবল বিশ্বকাপের সেরা রিয়েল-টাইম কমেন্ট্রির ঘোষণা ইলন মাস্কের
প্রসঙ্গত, ক্য়াপিট্যাল হিলের অশান্তির পরই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পাকাপাকিভাবে টুইটার থেকে বহিষ্কার করা হয় ৷ ঘটনাটি ঘটে 2021 সালে ৷ সেই সময় অভিযোগ উঠেছিল, ডোনাল্ড ট্রাম্পের উস্কানিতেই ওই অশান্তি ছড়িয়েছে ৷ প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকেই ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেন, 2024 সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবারও লড়াইয়ের ময়দানে নামবেন তিনি ৷
এসবের মধ্যেই হ্যাশট্যাগ রিপ টুইটার (#RIPTwitter) সোশ্য়াল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিংয়ের একেবারে শীর্ষে রয়েছে ৷ উল্লেখ্য ইলন মাস্ক টুইটারের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই একের পর এক বিতর্ক চলছে তো চলছেই ৷ দায়িত্ব নিয়েই টুইটারের শীর্ষ কর্তাকে ছাঁটাই করা থেকে শুরু করে হালে টুইটার কর্মীদের গণইস্তফার ইঙ্গিত, টাকা দিয়ে ব্লু টিক 'কেনা'র মতো সিদ্ধান্তের জেরে অনেকেই মনে করছেন, এরপর টুইটারের মান পড়তে বাধ্য ৷ অনেকে আবার ডোনাল্ড ট্রাম্পকে টুইটারে ফিরিয়ে আনার মাস্কের যুক্তি মেনে নিতে পারছেন না ৷ এই প্রেক্ষাপটেই ট্রাম্পের টুইটারে ফেরার সম্ভাবনা নিয়ে জনতার রায় চেয়ে বসলেন ইলন মাস্ক ৷