বেজিং, 19 ডিসেম্বর: চিন আর্থকোয়েক নেটওয়ার্ক সেন্টার (সিইএনসি) অনুসারে, সোমবার রাত 11টা 59 মিনিটে উত্তর-পশ্চিম চিনের গাংসু প্রদেশে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প হয় ৷ ভূমিকম্পের তীব্রতা এতটাই শক্তিশালী ছিল যে অনেক বাড়ি, আবাসন ধসে পড়েছে। সংবাদসংস্থা এপি'র রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তর-পশ্চিম চিনের একটি পার্বত্য অঞ্চল গাংসুতে 6.2 মাত্রার ভূমিকম্পে অন্ততপক্ষে 116 জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ পাশাপাশি কিংহাইয়ে কমপক্ষে 11 জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন ৷ আজ, মঙ্গলবার সকালে দেশের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, চিনের উত্তর-পশ্চিমের পার্বত্য অঞ্চলে ভূকম্পের মাত্রা 6.2 ৷ বহু ঘর-বাড়ি ভেঙে পড়েছে। মঙ্গলবার ভোর থেকে শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ।
দেশের সরকারি সিনহুয়া সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সোমবার মধ্যরাতে জোরালো ওই ভূমিকম্পে গাংসু প্রদেশে অন্ততপক্ষে 105 জন এবং পার্শ্ববর্তী কিংহাই প্রদেশে আরও 11 জনের মৃত্যু হয়েছে। সিনহুয়া থেকে আরও জানা গিয়েছে, গাংসুতে প্রায় 96 জন এবং কিংহাইতে 124 জন আহত হয়েছেন। গাংসুর পাশে থাকা কুইংঘাই প্রদেশেও কম্পন অনুভূত হয়েছে এদিন। মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভে সূত্রে জানা গিয়েছে, রিখটার স্কেলে এই কম্পনের তীব্রতা ছিল 5.9। ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল গাংসু প্রদেশে ভূ-পৃষ্ঠের 10 কিলোমিটার গভীরে। যদিও স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল 6.2।
চিনে জোরালো এই ভূমিকম্পে জল এবং বিদ্যুতের লাইনের পাশাপাশি পরিবহণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গাংসু প্রদেশের রাজধানী লানঝাউয়ের দক্ষিণ-পশ্চিমে প্রায় 100 কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র কম্পন অনুভূত হয় এবং তারপর বেশ কয়েকটি আফটার শক অনুভূত হয়। এই ভূমিকম্পে গাংসু-সহ কুইনঘাই প্রদেশের বহু ঘর-বাড়ি ভেঙে পড়ে। যেহেতু রাতে হয়েছে এই ভূমিকম্প তাই, ঘর-বাড়ি চাপা পড়ে ঘুমের মধ্যেই বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ অনুযায়ী, কেবল কুইংঘাই প্রদেশের হাইদোং শহরে 11 জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। অনেক গ্রামে বিদ্যুৎ ও পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছে ৷
আরও পড়ুন: