খান ইউনিস (গাজা স্ট্রিপ), 19 নভেম্বর: উত্তর গাজার জাবালিয়ায় রাষ্ট্রসংঘের শরণার্থী শিবিরে ইজরায়েলি বিমান হামলা ৷ মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের ৷ ভেঙে পড়েছে ক্যাম্পের ফখৌরা স্কুল ৷ আহত হয়েছে অনেকে ৷ জখমদের মধ্যে দু'জন আহমেদ রাদওয়ান এবং ইয়াসিন শরীফ এই হামলার কথা জানিয়েছেন । রাদওয়ান ফোনে বলেন, "ভয়াবহ দৃশ্য ছিল । মহিলা ও শিশুদের দেহ মাটিতে পড়ে রয়েছে । অন্যরা সাহায্যের জন্য চিৎকার করছে ৷ চোখে দেখা যাচ্ছিল না এই ছবি ৷"
এপির স্থানীয় হাসপাতালের ছবিতে দেখা গিয়েছে, রক্তমাখা চাদরে মোড়ানো 20টিরও বেশি দেহ । সূত্রের খবর, ইজরায়েলি সেনা হামলা চালানোর আগেই জাবালিয়ার বাসিন্দাদের সতর্ক করেছিল ৷ তাদের সোশাল মিডিয়া পোস্টের মাধ্যমে আরবি ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য বলা হয় ৷ সেনাবাহিনী জানায়, তারা জঙ্গিদের লক্ষ্য করে হামলা চালানোর জন্য এলাকায় সক্রিয় ছিল । ব্যক্তিগত হামলার বিষয়ে মন্তব্য করেনি ইজরায়েলি সেনা ৷ শুধুমাত্র বলে যে তারা সাধারণ নাগরিকের ক্ষতি করতে চায়নি ৷ শুধু হামাসই তাদের লক্ষ্য ছিল ।
স্কুলে মৃত্যুর ভয়ঙ্কর ছবি দেখে প্যালেস্তাইন শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা বা ইউএনআরডব্লিউএ-এর কমিশনার জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি এক্সে একটি পোস্ট করেছেন ৷ সেখানে বলেছেন, "ইউএনআরডব্লিউএ স্কুল থেকে ভয়ঙ্কর ছবি পাচ্ছি ৷ যেখানে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে ও অনেকে হামলায় আহত হয়েছেন ৷" জানা গিয়েছে, দক্ষিণ গাজায় খান ইউনিস শহরের উপকণ্ঠে একটি আবাসিক ভবনে বিমান হামলা চালায় ইজরায়েলি সেনা ৷ যেখানে অন্তত 26 প্যালেস্তাইন-নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে ৷ এমনটাই হাসপাতালের একজন চিকিৎসক বলেছেন ৷ যেখানে এই ঘটনায় মৃতদেহগুলি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ৷
ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, "ইজরায়েলি সেনা পশ্চিমাঞ্চলে তাদের মিশন অব্যাহত রেখে পূর্ব গাজা শহরে অভিযান শুরু করেছে । প্রতিদিন হামায়ের জেরায় আঘাত আনা হচ্ছে ৷ ফলে দিনে দিনে তাদের ডেরা কমে আসছে ৷ আগামী দিনে জঙ্গিরা দক্ষিণ গাজায় প্রবেশ করবে বলে জানা গিয়েছে ।" তিনি জানান, সেনা বাহিনী দক্ষিণ গাজায় আক্রমণ আরও জোড়াল করার পরিকল্পনা করছে ৷ যেখানে ইজরায়েলের তরফে প্যালেস্তাইনের নাগরিকদের যুদ্ধের শুরুতে চলে যেতে বলা হয়েছিল । (সংবাদ সূত্র-এপি)
আরও পড়ুন: