ETV Bharat / international

Turkey Earthquake: ধ্বংসস্তূপের নীচে মেয়ের দেহ, হাত ধরে বসে রয়েছেন বাবা ! ছবিতে চোখে জল বিশ্বের

ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে রয়েছেন মেয়ে ইরনাক । তার হাত ধরে ঠায় বসে রয়েছেন বাবা মেসুত হ্যান্সার । এই ছবি চোখে জল এনে দিয়েছে বিশ্বের অগণিত মানুষের (Father refusing to let go of dead daughter shakes internet) ।

Etv Bharat
Etv Bharat
author img

By

Published : Feb 10, 2023, 10:53 PM IST

কারামানমারাস (তুরস্ক), 10 ফেব্রুয়ারি: বাবা বলেছিল অপেক্ষা করতে । ফলে জাহাজের ডেকে আগুন লাগার পরেও বাবার কথামতোই দাঁড়িয়ে ছিল ক্যাসাবিয়াঙ্কা । ফেলিসিয়া হেমানসের কবিতা দেখিয়েছিল, আদেশ নয়, বাবার প্রতি ভালোবাসাই আটকে রেখেছিল ক্যাসাবিয়াঙ্কাকে । সেই চিত্রই এদিন অশ্রুসজল চোখে বিশ্ব দেখল তুরস্কের কারামানমারাসে (Father refusing to let go of dead daughter shakes internet) ।

6 ফেব্রুয়ারি ভয়াবহ বিপর্যয়ে কেঁপে ওঠে তুরস্ক ও সিরিয়ার বেশ কিছু অঞ্চল ৷ তথ্য বলছে, সীমান্ত এলাকার এই ভয়াবহ দুর্যোগ শুরু হয় কাকভোরে ৷ তখন বেশিরভাগ মানুষই গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ৷ কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই বিপর্যয়ের মুখে পড়েন তাঁরা ৷ তেমনই একজন মেসুত হ্যান্সার (Chilling photo of Turkish father) । একখণ্ড পাথরের নীচ থেকে একটুখানি বেরিয়ে আছে মেয়ে ইরনাকের হাত, দেহে প্রাণের অস্তিত্ব নেই । তাই নিজের মুঠোর মধ্যে নিয়ে বসে রয়েছেন হতভাগ্য বাবা ।

বাকিদের মতোই ভোররাতে ঘরেই ঘুমাচ্ছিলেন মেসুত । পাশেই ছিল ছোট মেয়ে, ইরনাক । ভয়াবহ ভূমিকম্পে বাড়ি ভেঙে যায় । চাপা পড়ে যায় মেসুত ও তাঁর পরিবার । ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে মেসুতকে । খুঁজে পাওয়া গিয়েছে ইরনাককেও । কিন্তু তার দেহে আর প্রাণ নেই । এখনও ইট-কাঠ-পাথরের নীচেই চাপা পড়ে রয়েছে তার দেহ । তাঁর ছবি তুলতে গিয়ে চোখ ফেটে জল এসেছে চিত্রগ্রাহকেরও । এজেন্স ফ্রান্স প্রেসের (Agence France Presse) প্রবীণ ফটোগ্রাফার অ্যাডেম আলতানের (Photographer Adem Altan) ছবি কাঁদিয়ে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে ।

বাকিদের উদ্ধার করে ক্যাম্পে পাঠানো হলেও একচুল নড়ানো যায়নি মেসুতকে । ধ্বংসস্তূপের নীচে নিজেও চাপা পড়েছিলেন । উদ্ধার করা গেলেও তাঁর দেহে স্পষ্ট ক্ষতের চিহ্ন । বিধ্বস্ত অবস্থায় ইরনাকের হাত ধরে ঠায় বসে রয়েছেন তিনি, চোখের জল শুকিয়ে গিয়েছেন । সবাই চলে গেলেও মেয়েকে ছেড়ে যেতে পারেননি মেসুত ।

তারপরের গল্পটা শুনিয়েছেন চিত্রগ্রাহক । অ্যাডেম আলতান জানান, প্রথমে প্রায় 200 ফিট দূর থেকে ছবিটি তুলছিলেন তিনি । পেশাগত জীবনের দায়বদ্ধতা মাথায় রেখেই চেষ্টা করছিলেন মেসুতের ব্যথা না-বাড়িয়ে দিতে । তাঁকে দেখতে পেয়ে কাছে ডাকেন মেসুত । আলতানকে বলেন, তাঁর ও তাঁর সন্তানের ছবি তুলতে । তাঁদের দুঃখ দেখুক বিশ্ব । জানুক, ঠিক কী অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে তুরস্কের মানুষ । ভূমিকম্পে তুরস্ক-সিরিয়ায় চলছে মৃত্যুমিছিল । চাপা কান্নায় ক্রমশ ভারী হয়ে উঠছে দুই দেশের আকাশ । মেসুত-ইরনাকের ছবি দেখে সেই কান্নাই যেন আরও বেশি করে ছড়িয়ে পড়ল বিশ্বের বাতাসে ।

আরও পড়ুন: মৃত্যুমিছিল ! চাপা কান্নায় ক্রমশ ভারী হয়ে উঠছে তুরস্ক-সিরিয়ায় আকাশ

কারামানমারাস (তুরস্ক), 10 ফেব্রুয়ারি: বাবা বলেছিল অপেক্ষা করতে । ফলে জাহাজের ডেকে আগুন লাগার পরেও বাবার কথামতোই দাঁড়িয়ে ছিল ক্যাসাবিয়াঙ্কা । ফেলিসিয়া হেমানসের কবিতা দেখিয়েছিল, আদেশ নয়, বাবার প্রতি ভালোবাসাই আটকে রেখেছিল ক্যাসাবিয়াঙ্কাকে । সেই চিত্রই এদিন অশ্রুসজল চোখে বিশ্ব দেখল তুরস্কের কারামানমারাসে (Father refusing to let go of dead daughter shakes internet) ।

6 ফেব্রুয়ারি ভয়াবহ বিপর্যয়ে কেঁপে ওঠে তুরস্ক ও সিরিয়ার বেশ কিছু অঞ্চল ৷ তথ্য বলছে, সীমান্ত এলাকার এই ভয়াবহ দুর্যোগ শুরু হয় কাকভোরে ৷ তখন বেশিরভাগ মানুষই গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ৷ কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই বিপর্যয়ের মুখে পড়েন তাঁরা ৷ তেমনই একজন মেসুত হ্যান্সার (Chilling photo of Turkish father) । একখণ্ড পাথরের নীচ থেকে একটুখানি বেরিয়ে আছে মেয়ে ইরনাকের হাত, দেহে প্রাণের অস্তিত্ব নেই । তাই নিজের মুঠোর মধ্যে নিয়ে বসে রয়েছেন হতভাগ্য বাবা ।

বাকিদের মতোই ভোররাতে ঘরেই ঘুমাচ্ছিলেন মেসুত । পাশেই ছিল ছোট মেয়ে, ইরনাক । ভয়াবহ ভূমিকম্পে বাড়ি ভেঙে যায় । চাপা পড়ে যায় মেসুত ও তাঁর পরিবার । ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে মেসুতকে । খুঁজে পাওয়া গিয়েছে ইরনাককেও । কিন্তু তার দেহে আর প্রাণ নেই । এখনও ইট-কাঠ-পাথরের নীচেই চাপা পড়ে রয়েছে তার দেহ । তাঁর ছবি তুলতে গিয়ে চোখ ফেটে জল এসেছে চিত্রগ্রাহকেরও । এজেন্স ফ্রান্স প্রেসের (Agence France Presse) প্রবীণ ফটোগ্রাফার অ্যাডেম আলতানের (Photographer Adem Altan) ছবি কাঁদিয়ে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে ।

বাকিদের উদ্ধার করে ক্যাম্পে পাঠানো হলেও একচুল নড়ানো যায়নি মেসুতকে । ধ্বংসস্তূপের নীচে নিজেও চাপা পড়েছিলেন । উদ্ধার করা গেলেও তাঁর দেহে স্পষ্ট ক্ষতের চিহ্ন । বিধ্বস্ত অবস্থায় ইরনাকের হাত ধরে ঠায় বসে রয়েছেন তিনি, চোখের জল শুকিয়ে গিয়েছেন । সবাই চলে গেলেও মেয়েকে ছেড়ে যেতে পারেননি মেসুত ।

তারপরের গল্পটা শুনিয়েছেন চিত্রগ্রাহক । অ্যাডেম আলতান জানান, প্রথমে প্রায় 200 ফিট দূর থেকে ছবিটি তুলছিলেন তিনি । পেশাগত জীবনের দায়বদ্ধতা মাথায় রেখেই চেষ্টা করছিলেন মেসুতের ব্যথা না-বাড়িয়ে দিতে । তাঁকে দেখতে পেয়ে কাছে ডাকেন মেসুত । আলতানকে বলেন, তাঁর ও তাঁর সন্তানের ছবি তুলতে । তাঁদের দুঃখ দেখুক বিশ্ব । জানুক, ঠিক কী অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে তুরস্কের মানুষ । ভূমিকম্পে তুরস্ক-সিরিয়ায় চলছে মৃত্যুমিছিল । চাপা কান্নায় ক্রমশ ভারী হয়ে উঠছে দুই দেশের আকাশ । মেসুত-ইরনাকের ছবি দেখে সেই কান্নাই যেন আরও বেশি করে ছড়িয়ে পড়ল বিশ্বের বাতাসে ।

আরও পড়ুন: মৃত্যুমিছিল ! চাপা কান্নায় ক্রমশ ভারী হয়ে উঠছে তুরস্ক-সিরিয়ায় আকাশ

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.