লন্ডন, 5 ডিসেম্বর: অ্যান্টার্কটিকার জল থেকে বেরিয়ে এল হিমশৈল বা আইসবার্গ ৷ বিশ্বের বৃহত্তম হিমশৈলের মুখোমুখি হল ব্রিটেনের মেরু গবেষণা জাহাজ ৷ তবে জাহাজটির কোনও ক্ষতি হয়নি ৷ বিজ্ঞানীরা সফলভাবে হিমশৈলের আশেপাশের জলের নমুনা সংগ্রহ করতে পেরেছে ৷ ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভে এমনটাই সোমবার জানিয়েছে ।
আরআরএস স্যার ডেভিড অ্যাটেনবরো তাঁর প্রথম বৈজ্ঞানিক মিশনের জন্য অ্যান্টার্কটিকায় যাচ্ছেন ৷ শুক্রবার অ্যান্টার্কটিক উপদ্বীপের প্রান্তের কাছে এ23এ নামে পরিচিত সুবিশাল হিমশৈল অতিক্রম করেছেন তিনি ৷ 1986 সালে অ্যান্টার্কটিকার ফিলচনার আইস শেল্ফ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর ওয়েডেল সাগরে নিউইয়র্ক সিটির তিনগুণ এবং গ্রেটার লন্ডনের দ্বিগুণেরও বেশি আয়তনের সমান হিমশৈলটি তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে সমুদ্রের তলায় ছিল । এটি সাম্প্রতিক সময়ে উপরে উঠতে শুরু করে ৷ এখন বাতাস এবং সমুদ্রের স্রোতের সাহায্যে দক্ষিণ মহাসাগরে চলে গিয়েছে সেটি ।
বিজ্ঞানীরা জানান, যেদিকে অনেক হিমশৈল রয়েছে অর্থাৎ হিমশৈল গলির দিকে ভেসে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেটির ৷ হিমশৈলটি সাব-অ্যান্টার্কটিক দ্বীপের দক্ষিণ জর্জিয়ার দিকে ভেসে চলে যেতে পারে । গবেষণা জাহাজের প্রধান বিজ্ঞানী অ্যান্ড্রু মেইজার্স বলেন, "আমরা ভাগ্যবান যে ওয়েডেল সাগর থেকে হিমশৈলটি যাওয়ার সময় আমাদের পরিকল্পিত পথে মুখোমুখি হয়েছে এবং এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পেরেছি আমরা ৷"
জাহাজে কর্মরত বিজ্ঞানী লরা টেলর বলেন, "দলটি হিমশৈলর রুটের চারপাশে সমুদ্রের পৃষ্ঠের জলের নমুনা নিয়েছে ৷ যাতে এটির চারপাশে কী জীবন তৈরি হতে পারে তা জানা যায় ৷ কীভাবে হিমশৈলরা মহাসাগরে কার্বনকে প্রভাবিত করে, তা সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায় । আমরা জানি যে এই দৈত্যাকার হিমশৈলগুলি জল দিয়ে যায়, তাতে এগুলি পুষ্টি সরবরাহ করতে পারে ৷ অন্যথায় কম উৎপাদনশীল অঞ্চলে সমৃদ্ধ বাস্তুতন্ত্র তৈরি করে ।"
আরও পড়ুন: