কোয়েট্টা, 1 অগস্ট: বন্য়ায় বিধ্বস্ত পাকিস্তানের (Pakistan) বালুচিস্তান (Balochistan) ৷ সূত্রের খবর, এই দুর্যোগে এখনও পর্যন্ত অন্তত 124 জনের প্রাণ গিয়েছে ৷ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে 10 হাজারেরও বেশি বাড়ি ৷ লাগাতার বৃষ্টি আর বন্য়ায় ভেসে গিয়েছে একের পর এক সেতু, রাস্তা ৷ বাঁধের ফাটল পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে ৷ তথ্য বলছে, পাকিস্তানের দরিদ্রতম প্রদেশ হল বালুচিস্তান ৷ কিছু দিন আগে পর্যন্ত অনাবৃষ্টি আর খরায় নাজেহাল হয়ে পড়েছিলেন এখানকার বাসিন্দারা ৷ পানীয় জলটুকুও ঠিক মতো পাওয়া যাচ্ছিল না ৷ সেই সময় ডায়ারিয়ায় আক্রান্ত হয়ে বহু মানুষের প্রাণ যায় ৷ সেই দুর্ভোগ থেকে নিস্তার পেতে না পেতেই আবার শুরু হয়েছে মৃত্যু মিছিল ৷
এমন ঘটনায় চাপের মুখে পড়ে গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের (Shehbaz Sharif) সরকার ৷ উদ্ধারকাজ খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই বালুচিস্তান ঘুরে গিয়েছেন তিনি ৷ দুর্যোগে নিহতদের পরিবার পিছু 10 লক্ষ টাকার (পাকিস্তানি মুদ্রায়) ক্ষতিপূরণও ঘোষণা করেছেন ৷ একইসঙ্গে জানিয়েছেন, বন্যায় যাঁদের ঘরবাড়ি পুরোপুরি ভেসে গিয়েছে তাঁরা পাবে 5 লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ ৷ আর যাঁদের বাড়ির অন্তত 30 শতাংশ ক্ষতি হয়েছে, তাঁদের তা সংস্কারের জন্য দেওয়া হবে 2 লক্ষ টাকা ৷
আরও পড়ুন: Pak Hindu Woman DSP: মালালার জন্মভূমিতে প্রথম হিন্দু মহিলা 'পুলিশকর্তা' ! অপরাধী নিকেশে এবার মনীষা
আকাশ পথে বন্য়া কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন শেহবাজ ৷ উদ্ধারকাজে গতি আনার পাশাপাশি অসুস্থদের চিকিৎসার জন্য উপদ্রুত এলাকায় অস্থায়ী মেডিক্যাল ক্যাম্প তৈরির নির্দেশ দেন তিনি ৷ স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, বন্য়ার জেরে লাসবেলা জেলার ওরাকি অঞ্চলে অন্তত 300 মানুষ আটকে রয়েছেন ৷ তাঁদের অধিকাংশেরই বসত ভিটে ভেসে গিয়েছে ৷ ঘটনার পর 24 ঘণ্টা কেটে গেলও দুর্গতদের কাছে পৌঁছতে পারেননি স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিনিধিরা ৷ এমনকী হতভাগ্য সর্বহারাদের মুখে একটু খাবার তুলে দেওয়ারও ব্যবস্থা করতে পারেনি পাক প্রশাসন ৷ করা যায়নি পানীয় জলের বন্দোবস্ত ৷ মুখ্যমন্ত্রী কুদ্দুস বিজেনজো শুধুমাত্র উদ্ধারকাজের নির্দেশ জারি করেই দায় সেরেছেন বলে অভিযোগ ৷ এমন ঘটনায় ক্ষোভ বাড়ছে নাগরিকদের মধ্যে ৷
লাগাতার বৃষ্টি এবং বন্যায় (Balochistan Flood) সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে বালুচিস্তানের খুজদার, কালাট, মাসতুং, লাসবেলা এবং ঝাল মাগসি জেলায় ৷ এই পরিস্থিতিতে আশঙ্কা বাড়াচ্ছে পাক আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস ৷ তাদের হিসাব বলছে, আগামী কয়েক সপ্তাহ পাকিস্তানের বেশ কিছু অংশে স্বাভাবিকের থেকে বেশি বৃষ্টিপাত হবে ৷ আবহাওয়ার এই পূর্বাভাসের কথা মাথায় রেখেই খাইবার পাখতুনখোয়ার (Khyber Pakhtunkhwa) বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষকে (Disaster Management Authority) যেকোনও পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে ৷