কাবুল, 24 অগস্ট : দেশের যোগ্য-দক্ষ-শিক্ষিত মানুষ দেশেই থাকুক ৷ দেশের পুনর্গঠনে সাহায্য করুক ৷ এমনই চাইছেন তালিবান নেতারা ৷ তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে দক্ষ আফগানদের দেশ থেকে বের না করে নিয়ে যাওয়ার কথাও বলা হচ্ছে তালিবানের তরফে ৷
আল-জ়াজ়িরায় (Al Jazeera) প্রকাশিত একটি রিপোর্ট বলছে, দেশের চিকিৎসক এবং ইঞ্জিনিয়ারদের বের করে না নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে এদিন তালিবানের তরফে ৷ তালিবানের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, দেশটির 'তাঁদের দক্ষতার প্রয়োজন' ৷ তাই তাঁর মতে, দক্ষ আফগানদের দেশ ছেড়ে চলে যেতে উৎসাহিত করা উচিত নয় ।
পেন্টাগন সূত্রে জানা যাচ্ছে, গত 24 ঘণ্টায় 16 হাজার আফগানকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷ তালিবানের ধার্য করে দেওয়া 31 অগস্টের 'রেড লাইন'-এর মধ্যেই আরও মানুষকে বের করি নিয়ে যাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে মার্কিন সেনা ৷ কারণ আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে বিপুল চাপে রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ড জো বাইডেন (Joe Biden) ৷
এদিকে বিবিসি (BBC) তাদের একটি রিপোর্টে জানাচ্ছে, জি-7 বৈঠকের পর ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (Boris Johnson) বলেছেন, "আমরা যে এক নম্বর শর্তের উপর জোর দিচ্ছি তা হল, 31 অগস্টের পরও যাঁরা আফগানিস্তান ত্যাগ করতে চান, তাঁরা যাতে নিরাপদে বেরিয়ে আসতে পারেন ৷" জনসন এদিন বৈঠকে জানান, জি-7 আফগানিস্তানের এই সঙ্কটে মানবিক ভাবে সাহায্য করতে চায় । ভবিষ্যতে তালিবানের সঙ্গে কথাবার্তা চালানো হবে ৷ আফগানিস্তান ফের সন্ত্রাসের প্রজননস্থলে পরিণত হতে পারে না ৷ যতদূর তারা এগিয়েছে, তার থেকে পিছিয়ে যেতেও পারে না ৷ মেয়েদের 18 বছর বয়স পর্যন্ত শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে তাদের ৷ জি 7 নেতারা এই মূল্যবোধ এবং আফগানিস্তানের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন এদিন বৈঠকে মিনিট সাতেকের একটি ভাষণ দেন ৷ তাতে স্পষ্ট যে, তিনি চাইছেন 31 অগস্টের মধ্যেই আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে ৷ পাশাপাশি মার্কিন বাহিনীর নিরাপত্তার ঝুঁকির কথা ভেবে সোমবারও পেন্টাগনের তরফে 31 অগস্ট সংক্রান্ত পূর্ব পরিকল্পনা মতো পদক্ষেপ করার সুপারিশই করা হয়েছিল ।
এদিকে, আফগানিস্তান থেকে এদিন ইউক্রেনের নাগরিকদের নিয়ে বিমান অপহরণের যে খবরটি সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়েছিল তা সত্য নয় বলে জানানো হয়েছে ইরানের একটি সংবাদ সংস্থার তরফে ৷ জানা যাচ্ছে, কাবুল থেকে ইউক্রেনের নাগরিকদের নিয়ে বিমানটি ইরানের দিকে চলে যায় জ্বালানির জন্য ৷ ইরানে নেমে জ্বালানি নিয়ে ফের বিমানটি ইউক্রেনের দিকে রওনা হয় ৷ প্রথমে এনিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলেও পরে সত্যি সামনে আসে ৷ মনে করা হচ্ছিল যে বিমানটি অপহরণ করা হয়েছে ৷ ইউক্রেনের মন্ত্রী দাবি করেন, কাবুল থেকে বিমানটিকে টেকঅফ করিয়ে সেটি অপহরণ করে ইরানে নিয়ে চলে যাওয়া হয় ৷ তবে পরে ইরানের অসামরিক বিমান পরিবহণ সংস্থার তরফে জানানো হয় যে বিমানটি সেদেশ নিয়ে যাওয়া হয় জ্বালানি নেওয়ার জন্য ৷ সেটি কিয়েভের দিকেই গিয়েছে ৷
আরও পড়ুন : Ukraine Plane Hijacked: ইউক্রেনের উদ্ধারকারী বিমান অপহরণ কাবুলে, নিয়ে যাওয়া হল ইরানে