জেনেভা, 22 ডিসেম্বর: ওমিক্রনের জেরে কোভিড রোগীর সংখ্যা দ্রুত হারে বাড়তে দেখে ইউরোপীয় দেশগুলিকে সতর্ক করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO Warning On Omicron)৷ করোনাভাইরাসের নয়া ভ্যারিয়েন্টের সঙ্গে লড়াই করতে টিকার বুস্টার ডোজের (WHO Advices To get booster) উপরই ভরসা রাখছে হু ৷ অবিলম্বে মানুষকে বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ৷
গত নভেম্বরে মাথা চাড়া দেওয়ার পর ইতিমধ্যেই হু-এর ইউরোপীয় (Omicron in Europe) রিজিয়নের 53টি দেশের মধ্যে 38টি দেশে ঢুকে পড়েছে ওমিক্রন ৷ ব্রিটেন, ডেনমার্ক, পর্তুগাল-সহ বিভিন্ন দেশে অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের থেকে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্য়াই এখন বেশি ৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপীয় রিজিয়নের প্রধান হনস ক্লাজে জানিয়েছেন, "আমরা দেখতে পাচ্ছি যে আর একটা ঢেউ আসতে চলেছে ৷ কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই রিজিয়নের আরও অনেক দেশে শাসন করবে ওমিক্রন ৷ ইতিমধ্যেই এই ভ্যারিয়েন্ট স্বাস্থ্য অবস্থাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে ৷" রাশিয়া, তুরস্ক ও সোভিয়েতের বিভিন্ন দেশ হু-এর ইউরোপীয় রিজিয়নের মধ্যে পড়ে ৷
আরও পড়ুন: Omicron Surge : ওমিক্রন আনতে পারে তৃতীয় ঢেউ, রাজ্যগুলিকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ কেন্দ্রের
হু-র নথি বলছে, গত কয়েক সপ্তাহে অন্যান্য জায়গার জনসংখ্যার তুলনায় সর্বাধিক কোভিড সংক্রমণ ধরা পড়েছে এই রিজিয়নে ৷ এমনকী ওমিক্রনের বাড়-বাড়ন্তের আগেই আধিকারিকরা সতর্ক করে বলেছিলেন, আগামী মার্চের মধ্যে কোভিডের কারণে আরও 7 লাখ মানুষের মৃত্যু হবে ৷ জেনেভায় হু-এর সদর দফতর ঝুঁকি এড়াতে বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে ৷ ক্লাজে বলেছেন, "বুস্ট, বুস্ট, বুস্ট ৷ ওমিক্রনের থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখার একমাত্র ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র হল বুস্টার ৷" তবে ক্লাজের এই মন্তব্য নিয়ে এখনই কোনও প্রতিক্রিয়া জানাতে চাননি হু-এর মুখপাত্র ৷
এখনও পর্যন্ত ইউরোপে 89 শতাংশ ওমিক্রন আক্রান্তের মধ্যে সর্দি-কাশি, গলা ব্যাথা ও জ্বরের মতো সাধারণ উপসর্গগুলিই দেখা গিয়েছে ৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আক্রান্তের বয়স 20 থেকে 30-এর মধ্যে ৷ মূলত শহর ও কর্মক্ষেত্রেই ছড়ি ঘোরাচ্ছে করোনার নয়া স্ট্রেইন ৷ যে ভাবে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তাতে সরকার ও প্রশাসনকে তৈরি থাকার পরামর্শ দিয়েছে হু ৷
আরও পড়ুন: First Omicron death in US : আমেরিকায় প্রথম ওমিক্রন সংক্রমণের জেরে মৃত্যু