লন্ডন, 16 নভেম্বর : এবার অন্য সংস্থাও পারবে ফাইজারের (Pfizer Inc) আবিষ্কৃত কোভিড-19 এর ওষুধ (COVID-19 pill) তৈরি করতে ৷ যে ওষুধ আপাতত ফাইজার পরীক্ষামূলকভাবে তৈরি করেছে ৷ রাষ্ট্রসংঘ পোষিত একটি সংস্থার সঙ্গে এই নিয়ে একটি চুক্তিও স্বাক্ষর করেছে ওই সংস্থা ৷ এই ওষুধ বাজারে চলে এলে বিশ্বের জনসংখ্যার অর্ধেক এর মাধ্যমে করোনার চিকিৎসা করাতে পারবেন ৷
মঙ্গলবার ফাইজারের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে যে জেনেভার ওই ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা এই জেনেরিক ওষুধ 95 টি দেশের জন্য তৈরি করবে ৷ যেখানে বিশ্বের 53 শতাংশ মানুষ বসবাস করেন ৷
আরও পড়ুন : Climate Change: রোগের নাম ‘জলবায়ু পরিবর্তন’, প্রথম আক্রান্ত সত্তরের বৃদ্ধা
এই চুক্তিতে এমন কিছু দেশকে বাদ দেওয়া হয়েছে, যারা করোনার জেরে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত ৷ উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে ব্রাজিলের কোনও সংস্থা যদি এই জেনেরিক ওষুধ তৈরি করে ৷ তাহলে তা ব্রাজিলে ব্যবহার করা যাবে না ৷
যদিও ফাইজারের ওই ওষুধ চূড়ান্ত ছাড়পত্র পাওয়ার আগেই এই চুক্তি সেরে ফেলে ৷ সংস্থার দাবি, এর ফলে প্যানডেমিকে ইতি টানার কাজ এবার আরও দ্রুততার সঙ্গে করা যাবে ৷
আরও পড়ুন : Covaxin : কোভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিল ব্রিটিশ সরকার
জেনেভার মেডিসিন পেটেন্ট পুলের সঙ্গে এই নিয়ে চুক্তি করেছে ফাইজার ৷ তাদের পলিসি হেড ইস্টেবান বুরোনে জানান, অন্য ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থারাও কয়েক মাসের মধ্যেই ওই ওষুধ তৈরি করতে পারবেন ৷
এর আগে ফাইজার জানিয়েছিল যে তাদের এই ওষুধ করোনায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে দেয় ৷ মৃত্যুর হারও 90 শতাংশ কমাতে পারবে ৷
আরও পড়ুন : Pfizer COVID Pill: মৃত্যুর ঝুঁকি কমায় 90 শতাংশ, কোভিডের ওষুধ নিয়ে হাজির ফাইজার
যে সংস্থার সঙ্গে ফাইজারের চুক্তি হয়েছে, তাদের সঙ্গে আগেই ব্রিটেনের মেরেক নামে একটি সংস্থার চুক্তি হয় ৷ মেরেকও করোনার ওষুধ তৈরি করেছে ৷ ব্রিটেনে সেই ওষুধ ব্যবহারের ছাড়পত্রও মিলেছে ৷ ফলে মেডিসিন পেটেন্ট পুল করোনার ওষুধ তৈরিতে আরও অনেকটা এগিয়ে গেল নতুন এই চুক্তির মাধ্যমে ৷