ETV Bharat / international

মাত্র কয়েকজনের দ্বারা পরিচালিত বিশ্ব সংস্থা

পাঁচ বছর আগে, সত্তর বছরের জন্মদিন পালনের সময় ১০৪টি দেশের একটি প্রস্তাব গৃহীত হয় যেখানে নিরাপত্তা পরিষদের মাত্র পাঁচজন স্থায়ী সদস্যের ভোট দেওয়ার ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। এ নিয়ে বেশ তোলপাড়ও হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী মোদির সেই মন্তব্য একদম সঠিক যে যখন রাষ্ট্রসঙ্ঘ আরেকটা মাইলস্টোনে পৌঁছেছে, তখন সংস্কার প্রক্রিয়া চালু না হলে তার বিশ্বাসযোগ্যতাই সঙ্কটে পড়বে।

United Union
United Union
author img

By

Published : Oct 3, 2020, 4:26 PM IST

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসস্তুপের ওপর বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মানবতার প্রতিনিধি হিসেবে রাষ্ট্রসঙ্ঘ উঠে এসেছিল, তার পর পঁচাত্তর বছর কেটে গিয়েছে । এই ঐতিহাসিক মুহূর্ত উদযাপনের সময় চারপাশ থেকে একটাই দাবি শোনা গিয়েছে – ‘সংস্কার’। পঁচিশ বছর আগে, স্বর্ণজয়ন্তী উদযাপনের সময়, UN চেয়ারম্যান হিসেবে প্রিটাস ডো আমারাল এই একই দাবি তুলেছিলেন।

পাঁচ বছর আগে, সত্তর বছরের জন্মদিন পালনের সময় ১০৪টি দেশের একটি প্রস্তাব গৃহীত হয় যেখানে নিরাপত্তা পরিষদের মাত্র পাঁচজন স্থায়ী সদস্যের ভোট দেওয়ার ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। এ নিয়ে বেশ তোলপাড়ও হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী মোদির সেই মন্তব্য একদম সঠিক যে যখন রাষ্ট্রসঙ্ঘ আরেকটা মাইলস্টোনে পৌঁছেছে, তখন সংস্কার প্রক্রিয়া চালু না হলে তার বিশ্বাসযোগ্যতাই সঙ্কটে পড়বে। তাঁর ব্যাখ্যা, এই দীর্ঘ সফরে বহু মাইলস্টোন পার হওয়ার পরও রাষ্ট্রসঙ্ঘ তার মূল লক্ষ্যে পৌঁছয়নি। এর অর্থ, দ্রুত সংশোধনমূলক পদক্ষেপ প্রয়োজন।

স্বর্ণজয়ন্তী বৈঠকের সময় নিরাপত্তা পরিষদের সম্প্রসারণ নিয়ে খসড়া প্রস্তাব জমা দিতে ব্যর্থ রাষ্ট্রসঙ্ঘ, এখন অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী দুই দেশের মধ্যে শীতল যুদ্ধ শেষ করার আহ্বান জানাচ্ছে । সহযোগিতা এবং সদস্যদের মধ্যে বন্ধুত্বমূলক মনোভাব তৈরি করতে রাষ্ট্রসঙ্ঘ যে কতটা ব্যর্থ, তা এর থেকে ভাল প্রমাণ আর কিছু হয় না। যদি রাষ্ট্রসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের গণতন্ত্রীকরণ করে পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পারে, তাহলে তাদের অস্তিত্বেরই আর কোনও অর্থ থাকবে না ৷

গত সাড়ে সাত দশকে পৃথিবীর চেহারাটা বদলে গেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ‘বিজয়ী’ আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, রাশিয়া, তারপর চিন নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়ার পর থেকে বহু পরিমাণগত পরিবর্তন হয়েছে। আজ রাশিয়া, ব্রিটেন ও ফ্রান্স তাদের অতীত গৌরবের চিহ্নমাত্র হয়ে রয়েছে। দশকের পর দশক ধরে রাষ্ট্রসঙ্ঘকে নিজের মর্জিমাফিক চালানো অ্যামেরিকা, ট্রাম্পের প্রবেশের পর ‘সম্মানীয় রাষ্ট্রসঙ্ঘ’কে বহু জটিলতার মুখে দাঁড় করিয়েছে...এটা সবাই জানেন। আর চিন যতবার ভোট দেওয়ার ক্ষমতা অপব্যবহার করেছে, সেই রেকর্ডের তুলনীয় কিছু নেই।

যদিও অ্যামেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও রাশিয়া ভারতকে স্থায়ী সদস্য করার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে, চিন লাগাতার তার বিরোধিতা করে চলেছে। তাদের একমাত্র কৌশল হল, ভারত ও জাপান যেন নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে পাশাপাশি না বসে। এশিয়া, আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে চিনের উঠে আসা সম্পূর্ণ যুক্তিহীন। ব্রাজিল, ভারত, জার্মানি ও জাপানের স্থায়ী সদস্যপদের দাবিকে বহুদিন অবহেলা করা হয়েছে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ অবিলম্বে সমস্ত পক্ষের মধ্যে একটা সহযোগিতামূলক পরিবেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন সেই সময়, যখন কোভিড সঙ্কট বিশ্বকে বিভিন্ন শিবিরে বিভক্ত করেছে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসস্তুপের ওপর বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মানবতার প্রতিনিধি হিসেবে রাষ্ট্রসঙ্ঘ উঠে এসেছিল, তার পর পঁচাত্তর বছর কেটে গিয়েছে । এই ঐতিহাসিক মুহূর্ত উদযাপনের সময় চারপাশ থেকে একটাই দাবি শোনা গিয়েছে – ‘সংস্কার’। পঁচিশ বছর আগে, স্বর্ণজয়ন্তী উদযাপনের সময়, UN চেয়ারম্যান হিসেবে প্রিটাস ডো আমারাল এই একই দাবি তুলেছিলেন।

পাঁচ বছর আগে, সত্তর বছরের জন্মদিন পালনের সময় ১০৪টি দেশের একটি প্রস্তাব গৃহীত হয় যেখানে নিরাপত্তা পরিষদের মাত্র পাঁচজন স্থায়ী সদস্যের ভোট দেওয়ার ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। এ নিয়ে বেশ তোলপাড়ও হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী মোদির সেই মন্তব্য একদম সঠিক যে যখন রাষ্ট্রসঙ্ঘ আরেকটা মাইলস্টোনে পৌঁছেছে, তখন সংস্কার প্রক্রিয়া চালু না হলে তার বিশ্বাসযোগ্যতাই সঙ্কটে পড়বে। তাঁর ব্যাখ্যা, এই দীর্ঘ সফরে বহু মাইলস্টোন পার হওয়ার পরও রাষ্ট্রসঙ্ঘ তার মূল লক্ষ্যে পৌঁছয়নি। এর অর্থ, দ্রুত সংশোধনমূলক পদক্ষেপ প্রয়োজন।

স্বর্ণজয়ন্তী বৈঠকের সময় নিরাপত্তা পরিষদের সম্প্রসারণ নিয়ে খসড়া প্রস্তাব জমা দিতে ব্যর্থ রাষ্ট্রসঙ্ঘ, এখন অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী দুই দেশের মধ্যে শীতল যুদ্ধ শেষ করার আহ্বান জানাচ্ছে । সহযোগিতা এবং সদস্যদের মধ্যে বন্ধুত্বমূলক মনোভাব তৈরি করতে রাষ্ট্রসঙ্ঘ যে কতটা ব্যর্থ, তা এর থেকে ভাল প্রমাণ আর কিছু হয় না। যদি রাষ্ট্রসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের গণতন্ত্রীকরণ করে পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পারে, তাহলে তাদের অস্তিত্বেরই আর কোনও অর্থ থাকবে না ৷

গত সাড়ে সাত দশকে পৃথিবীর চেহারাটা বদলে গেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ‘বিজয়ী’ আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, রাশিয়া, তারপর চিন নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়ার পর থেকে বহু পরিমাণগত পরিবর্তন হয়েছে। আজ রাশিয়া, ব্রিটেন ও ফ্রান্স তাদের অতীত গৌরবের চিহ্নমাত্র হয়ে রয়েছে। দশকের পর দশক ধরে রাষ্ট্রসঙ্ঘকে নিজের মর্জিমাফিক চালানো অ্যামেরিকা, ট্রাম্পের প্রবেশের পর ‘সম্মানীয় রাষ্ট্রসঙ্ঘ’কে বহু জটিলতার মুখে দাঁড় করিয়েছে...এটা সবাই জানেন। আর চিন যতবার ভোট দেওয়ার ক্ষমতা অপব্যবহার করেছে, সেই রেকর্ডের তুলনীয় কিছু নেই।

যদিও অ্যামেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও রাশিয়া ভারতকে স্থায়ী সদস্য করার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে, চিন লাগাতার তার বিরোধিতা করে চলেছে। তাদের একমাত্র কৌশল হল, ভারত ও জাপান যেন নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে পাশাপাশি না বসে। এশিয়া, আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে চিনের উঠে আসা সম্পূর্ণ যুক্তিহীন। ব্রাজিল, ভারত, জার্মানি ও জাপানের স্থায়ী সদস্যপদের দাবিকে বহুদিন অবহেলা করা হয়েছে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ অবিলম্বে সমস্ত পক্ষের মধ্যে একটা সহযোগিতামূলক পরিবেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন সেই সময়, যখন কোভিড সঙ্কট বিশ্বকে বিভিন্ন শিবিরে বিভক্ত করেছে।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.