ইসলামাবাদ, 2 সেপ্টেম্বর : কাশ্মীর থেকে 370 ধারা প্রত্যাহারের পর ভারতের বিরুদ্ধে কথার 'ফুলঝুড়ি' ফুটিয়েছে পাকিস্তান । একপ্রকার "যুদ্ধ ঘোষণা" করতে দেখা গেছে পাকিস্তানের রেলমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদকে । প্রতিবেশী দেশের এহেন মন্তব্যের জবাবই দেয়নি ভারত । বলা ভালো, ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছে । ক্রমাগত কোণঠাসা হয়ে পড়া পাকিস্তান এবার শান্তির বার্তা দিচ্ছে ।
আজ লাহোরে শিখ সম্প্রদায়ের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান । সেখানে রয়টার্সকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, "দু'দেশই (ভারত-পাকিস্তান) পরমাণু শক্তিধর । যদি আমাদের মধ্যে উত্তেজনা চলতে থাকে তাহলে সমূহ বিপদ । তবে, একটা কথা বলতে চাই, পাকিস্তান প্রথমে পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগ করবে না ।"
গত মাসে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, "আমরা কখনই প্রথমে পরমাণু অস্ত্রের প্রয়োগ করি না । কিন্তু, ভবিষ্যতে এই সিদ্ধান্ত বদলাতে পারে ।" বোঝাই যাচ্ছে, এই হুঁশিয়ারি ছিল পাকিস্তানের প্রতি ।
এরপর কেটে গেছে প্রায় একটি মাস । কাশ্মীরে 370 ধারা প্রত্যাহারের পর ভারতের বিরুদ্ধে একাধিক মঞ্চে দরবার করেছে পাকিস্তান । চিনের সাহায্য নিয়ে লড়াই চালাতে চেয়েছে । পারেনি । রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ থেকেও ফিরে এসেছে খালি হাতে । এমন কী, অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পর্যন্ত বলেছেন, "কাশ্মীর দ্বিপাক্ষিক ইশু । এতে বাইরের কারোর হস্তক্ষেপ উচিত নয় ।"
এর মাঝেই পাকিস্তানের রেলমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদ বলে বসেন, "কাশ্মীরের সমস্য মেটাতে সচেষ্ট নয় রাষ্ট্রসংঘ । তারা চাইলে এতদিনে কাশ্মীরে গণভোটের আয়োজন করত । সময় এসেছে কাশ্মীরে শেষ স্বাধীনতা সংগ্রামের । শীঘ্রই কাশ্মীর সফরে যাব ।" যদিও দিল্লির তরফে তাঁর কথার প্রত্যুত্তর দেওয়া হয়নি । কিছুদিন কাটতেই অবশ্য রণংদেহি মনোভাব থেকে পিছিয়ে এল ইসলামাবাদ ।