ETV Bharat / international

উহানে অসুরক্ষিতভাবে চলছিল কোরোনার পরীক্ষা? গোপন কেবল ফাঁস অ্যামেরিকার

2018 সালের জানুয়ারিতে অ্যামেরিকা দূতাবাসের কয়েকজন আধিকারিক উহানের একটি গবেষণাকেন্দ্র গিয়ে তাদের পরীক্ষানিরীক্ষার বিষয় দেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংক্রান্ত বিষয়ে ওয়াংশিটনকে সতর্ক করেন । সেই সংক্রান্ত একটি কেবলই আজ সামনে আনল অ্যামেরিকা ।

ছবি সৌজন্যে : WIV
ছবি সৌজন্যে : WIV
author img

By

Published : Jul 18, 2020, 10:57 PM IST

উহান, 18 জুলাই : উহানের একটি গবেষণাগার থেকেই ছড়িয়ে পড়েছে কোরোনা । বিষয়টি জোরালো করতে এবার চিনে অবস্থিত অ্যামেরিকার দূতাবাসের সঙ্গে ওই দেশের বিদেশ মন্ত্রকের একটি কেবল সামনে আনল তারা । 2018 সালের জানুয়ারিতে অ্যামেরিকা দূতাবাসের কয়েকজন আধিকারিক উহানের একটি গবেষণাকেন্দ্র গিয়ে তাদের পরীক্ষানিরীক্ষার বিষয় দেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংক্রান্ত বিষয়ে ওয়াংশিটনকে সতর্ক করেন । কথোপকথন অনুযায়ী, বাদুড়ের উপর প্রয়োগ করা ভাইরাস নিয়েও ওয়াশিংটনকে সতর্ক করা হয় । ঘটনাচক্রে 2019-এর ডিসেম্বরে উহান থেকেই কোরোনা ছড়িয়ে পড়ে । যা এখন বিশ্বে প্যানডেমিক আকার ধারণ করেছে । আক্রান্ত প্রায় দেড় কোটি ।

2019-এ ছড়িয়ে পড়া এই কোরোনার পিছনে হাত রয়েছে চিনের । এমন দাবি প্রথম থেকেই করে আসছে অ্যামেরিকা । একাধিক তথ্য দিয়ে এই মত তারা জোরালো করার চেষ্টাও করেছে । চিনের তরফে বাদুড় থেকে ছড়িয়ে পড়ার দাবি করা হলেও বার বার তার বিপরীতে গিয়ে উহানের পি-ফোর ল্যাবকে দায়ি করেছে অ্যামেরিকা । চলতি বছর এপ্রিলে ট্রাম্প ও সে দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব মাইক পম্পেও-ও বিষয়টিতে সুর চড়ান । ট্রাম্প দাবি করেন, চিনের ল্যাব থেকে কোরোনা ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি নিয়ে উপযুক্ত তথ্যও রয়েছে তাঁর কাছে ।

এবার বিষয়টি জোরালো করতে আনা হল এই তথ্য । অ্যামেরিকার বিদেশ মন্ত্রকের ফাঁস করা ওই গোপন কেবলে দাবি করা হয়েছে, 2018 সালে উহানের একটি গবেষণাগারে গিয়ে দূতাবাসের ওই আধিকারিকরা দেখেন, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মীর অনুপস্থিতিতেই ভাইরাস নিয়ে কাজ হচ্ছে । নিরাপত্তা ব্যবস্থারও অভাব রয়েছে । বিষয়টিতে নজর রাখতে বেজিংয়ের অ্যামেরিকা দূতাবাস থেকে উহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে বার বার আধিকারিক পাঠায় অ্যামেরিকা । অ্যামেরিকার আধিকারিকরা যে উহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে গেছিলেন সেই সংক্রান্ত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিও গত সপ্তাহ পর্যন্ত ছিল উহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির ওয়েবসাইটে । যাতে লেখা ছিল, আধিকারিকরা শেষ 2018 সালের মার্চ মাসে WIV-তে গেছিল । যদিও চলতি সপ্তাহে তা সেই বিজ্ঞপ্তি প্রায় দু'বছর পর পরিবর্তন করা হয়েছে বলে দাবি করা হয় ।

জানা গেছে, WIV-এ চলা গবেষণা নিয়ে তথ্য জোগাড় করতে সেসময় অ্যামেরিকার সচিবরা দু'টি কূটনৈতিক কেবল সেখানে পাঠায় । সেই কেবলই ওয়াশিংটনকে গবেষণারত ভাইরাসটির সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে সতর্ক করে । এই ভাইরাস SARS-এর মতো মানব দেহে ছড়াতে পারে বলেও প্রথম কেবলটি সতর্ক করে ।

তবে, এবিষয়ে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ইনফেকশন অ্যান্ড ইমিউনিটির অধিকর্তা ইয়ান লিপকিনের কথায়, "এটা ইচ্ছাকৃতভাবে ছড়ানো হয়েছিল, এমন কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই । কোনও অনুমানের ভিত্তিতে কাউকে অপরাধী বানানো উচিত নয় । বিষয়টা প্রমাণ করতে হবে ।" পাশাপাশি উহানের গবেষণাগারে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মীর অভাব নিয়ে গোপন কেবলে যা অভিযোগ করা হয়েছে, তাতেও খুব একটা গুরুত্ব দিতে রাজি হয়নি অ্যামেরিকার বিশেষজ্ঞদের একাংশ ।

উহান, 18 জুলাই : উহানের একটি গবেষণাগার থেকেই ছড়িয়ে পড়েছে কোরোনা । বিষয়টি জোরালো করতে এবার চিনে অবস্থিত অ্যামেরিকার দূতাবাসের সঙ্গে ওই দেশের বিদেশ মন্ত্রকের একটি কেবল সামনে আনল তারা । 2018 সালের জানুয়ারিতে অ্যামেরিকা দূতাবাসের কয়েকজন আধিকারিক উহানের একটি গবেষণাকেন্দ্র গিয়ে তাদের পরীক্ষানিরীক্ষার বিষয় দেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংক্রান্ত বিষয়ে ওয়াংশিটনকে সতর্ক করেন । কথোপকথন অনুযায়ী, বাদুড়ের উপর প্রয়োগ করা ভাইরাস নিয়েও ওয়াশিংটনকে সতর্ক করা হয় । ঘটনাচক্রে 2019-এর ডিসেম্বরে উহান থেকেই কোরোনা ছড়িয়ে পড়ে । যা এখন বিশ্বে প্যানডেমিক আকার ধারণ করেছে । আক্রান্ত প্রায় দেড় কোটি ।

2019-এ ছড়িয়ে পড়া এই কোরোনার পিছনে হাত রয়েছে চিনের । এমন দাবি প্রথম থেকেই করে আসছে অ্যামেরিকা । একাধিক তথ্য দিয়ে এই মত তারা জোরালো করার চেষ্টাও করেছে । চিনের তরফে বাদুড় থেকে ছড়িয়ে পড়ার দাবি করা হলেও বার বার তার বিপরীতে গিয়ে উহানের পি-ফোর ল্যাবকে দায়ি করেছে অ্যামেরিকা । চলতি বছর এপ্রিলে ট্রাম্প ও সে দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব মাইক পম্পেও-ও বিষয়টিতে সুর চড়ান । ট্রাম্প দাবি করেন, চিনের ল্যাব থেকে কোরোনা ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি নিয়ে উপযুক্ত তথ্যও রয়েছে তাঁর কাছে ।

এবার বিষয়টি জোরালো করতে আনা হল এই তথ্য । অ্যামেরিকার বিদেশ মন্ত্রকের ফাঁস করা ওই গোপন কেবলে দাবি করা হয়েছে, 2018 সালে উহানের একটি গবেষণাগারে গিয়ে দূতাবাসের ওই আধিকারিকরা দেখেন, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মীর অনুপস্থিতিতেই ভাইরাস নিয়ে কাজ হচ্ছে । নিরাপত্তা ব্যবস্থারও অভাব রয়েছে । বিষয়টিতে নজর রাখতে বেজিংয়ের অ্যামেরিকা দূতাবাস থেকে উহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে বার বার আধিকারিক পাঠায় অ্যামেরিকা । অ্যামেরিকার আধিকারিকরা যে উহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে গেছিলেন সেই সংক্রান্ত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিও গত সপ্তাহ পর্যন্ত ছিল উহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির ওয়েবসাইটে । যাতে লেখা ছিল, আধিকারিকরা শেষ 2018 সালের মার্চ মাসে WIV-তে গেছিল । যদিও চলতি সপ্তাহে তা সেই বিজ্ঞপ্তি প্রায় দু'বছর পর পরিবর্তন করা হয়েছে বলে দাবি করা হয় ।

জানা গেছে, WIV-এ চলা গবেষণা নিয়ে তথ্য জোগাড় করতে সেসময় অ্যামেরিকার সচিবরা দু'টি কূটনৈতিক কেবল সেখানে পাঠায় । সেই কেবলই ওয়াশিংটনকে গবেষণারত ভাইরাসটির সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে সতর্ক করে । এই ভাইরাস SARS-এর মতো মানব দেহে ছড়াতে পারে বলেও প্রথম কেবলটি সতর্ক করে ।

তবে, এবিষয়ে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ইনফেকশন অ্যান্ড ইমিউনিটির অধিকর্তা ইয়ান লিপকিনের কথায়, "এটা ইচ্ছাকৃতভাবে ছড়ানো হয়েছিল, এমন কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই । কোনও অনুমানের ভিত্তিতে কাউকে অপরাধী বানানো উচিত নয় । বিষয়টা প্রমাণ করতে হবে ।" পাশাপাশি উহানের গবেষণাগারে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মীর অভাব নিয়ে গোপন কেবলে যা অভিযোগ করা হয়েছে, তাতেও খুব একটা গুরুত্ব দিতে রাজি হয়নি অ্যামেরিকার বিশেষজ্ঞদের একাংশ ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.