ETV Bharat / international

বাংলাদেশকে পাশে টানার চেষ্টা ইমরানের, নজর রাখছে দিল্লি

ইসলামাবাদ-ঢাকা এই ফোনালাপের পর থেকেই কাঁটাছেঁড়া শুরু হয়েছে কূটনৈতিক মহলে । এই ফোনালাপের পর শেখ হাসিনা কোনদিকে এগোবেন সেইদিকেই মুখিয়ে রয়েছে কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকরা ।

author img

By

Published : Jul 27, 2020, 8:42 PM IST

Bangladesh
ফাইল ছবি

ঢাকা, 27 জুলাই : ভারত-চিন সীমান্তে বাড়তে থাকা উত্তেজনার পরিস্থিতির মধ্যেই টেলিফোনে কথা ইসলামাবাদ ও ঢাকার ৷ এরপর বাংলাদেশ থেকে পরবর্তী কী পদক্ষেপ করা হবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে দিল্লির অন্দরমহলে ৷

22 জুলাই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ফোন করেছিলেন শেখ হাসিনাকে ৷ দীর্ঘক্ষণের কথোপকথনে দু'পক্ষের সৌজন্য বিনিময়ের পাশাপাশি বন্যা ও কোরানা পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয় দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে ৷ ঢাকায় শেখ হাসিনার দপ্তরের থেকে জারি করা এক বিবৃতিকে উদ্ধৃত করে প্রকাশ করেছে সেখানকার সংবাদমাধ্যম ৷

পাশাপাশি, দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করার পাশাপাশি, SAARC-এর মাধ্যমে আঞ্চলিক সহযোগিতা ব্যবস্থার দিকেও জোর দেওয়া নিয়েও কথা হয়েছে ৷ ভারত-পাকিস্তান ইশুতে ইসলামাবাদের অবস্থান নিয়েও আলোচনা হয়েছে তাঁদের মধ্যে ৷ ঢাকার সংবাদমাধ্যম সূত্রে প্রকাশ, ভারত-পাকিস্তান ইশুর শান্তিপূর্ণ সমাধান চান ইমরান খান ৷

ইসলামাবাদ-ঢাকা এই ফোনালাপের পর থেকেই কাঁটাছেঁড়া করা শুরু হয়েছে কূটনৈতিক মহলে । এই ফোনালাপের পর শেখ হাসিনা কোনদিকে এগোবেন সেইদিকে নজর রাখছে দিল্লি । যদিও পর্যবেক্ষকদের একাংশের ধারণা, ইসলামাবাদ ও ঢাকার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এখন অনেকটাই ভালো হতে পারে এই ফোনালাপের পর ।

ঢাকার এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বাংলাদেশ যদি পাকিস্তানের ফোনের পর ইসলামাবাদের দিকে ঝুঁকতে শুরু করে, তবে ভারত-চিন ইশুতে তাঁদের অবস্থান কী, তাও স্পষ্ট হয়ে যাবে । বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনকে উদ্ধৃতি করে ঢাকার ওই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে, "তিনি (ইমরান খান) কোরোনা ও বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে ফোন করেছিলেন । এটি শুধুমাত্র সৌজন্যের ফোন ছাড়া আর কিছুই নয় । পাকিস্তান যদি আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করতে উদ্যোগী হতে পারে, তবে তা ভালোই ।"

পাশাপাশি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে যেভাবে 30 লাখ বাংলাদেশিকে হত্যা করেছিল পাকিস্তান, যেভাবে হাজার হাজার মহিলাকে ধর্ষণ করেছিল, তা কোনওদিনই ভোলার নয় । এই কথাও মনে করিয়ে দেন তিনি । "পাকিস্তান এখনও পর্যন্ত 1971 সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়ের গণহত্যার জন্য ক্ষমা চায়নি । আমরা চাই সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখতে । কিন্তু কেউ যদি ক্ষমা না চায়, তবে তা কীভাবে সম্ভব ?", প্রশ্ন মোমিনের ।

ইসলামাবাদ এদিকে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করার জন্য লাগাতার চেষ্টা করে যাচ্ছে । সম্প্রতি একাত্তরে মানবিকতা বিরোধী কাজ করার জন্য বেশ কয়েকজন মূল অভিযুক্তকে ফাঁসিও দিয়েছে বাংলাদেশ । শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে অশান্ত করারও অভিযোগ রয়েছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে । এই পরিস্থিতিতে আগামী দিনে বাংলাদেশ কোনদিকে মোড় নেয়, সেই দিকেই নজর ভারতের ।

ঢাকা, 27 জুলাই : ভারত-চিন সীমান্তে বাড়তে থাকা উত্তেজনার পরিস্থিতির মধ্যেই টেলিফোনে কথা ইসলামাবাদ ও ঢাকার ৷ এরপর বাংলাদেশ থেকে পরবর্তী কী পদক্ষেপ করা হবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে দিল্লির অন্দরমহলে ৷

22 জুলাই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ফোন করেছিলেন শেখ হাসিনাকে ৷ দীর্ঘক্ষণের কথোপকথনে দু'পক্ষের সৌজন্য বিনিময়ের পাশাপাশি বন্যা ও কোরানা পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয় দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে ৷ ঢাকায় শেখ হাসিনার দপ্তরের থেকে জারি করা এক বিবৃতিকে উদ্ধৃত করে প্রকাশ করেছে সেখানকার সংবাদমাধ্যম ৷

পাশাপাশি, দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করার পাশাপাশি, SAARC-এর মাধ্যমে আঞ্চলিক সহযোগিতা ব্যবস্থার দিকেও জোর দেওয়া নিয়েও কথা হয়েছে ৷ ভারত-পাকিস্তান ইশুতে ইসলামাবাদের অবস্থান নিয়েও আলোচনা হয়েছে তাঁদের মধ্যে ৷ ঢাকার সংবাদমাধ্যম সূত্রে প্রকাশ, ভারত-পাকিস্তান ইশুর শান্তিপূর্ণ সমাধান চান ইমরান খান ৷

ইসলামাবাদ-ঢাকা এই ফোনালাপের পর থেকেই কাঁটাছেঁড়া করা শুরু হয়েছে কূটনৈতিক মহলে । এই ফোনালাপের পর শেখ হাসিনা কোনদিকে এগোবেন সেইদিকে নজর রাখছে দিল্লি । যদিও পর্যবেক্ষকদের একাংশের ধারণা, ইসলামাবাদ ও ঢাকার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এখন অনেকটাই ভালো হতে পারে এই ফোনালাপের পর ।

ঢাকার এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বাংলাদেশ যদি পাকিস্তানের ফোনের পর ইসলামাবাদের দিকে ঝুঁকতে শুরু করে, তবে ভারত-চিন ইশুতে তাঁদের অবস্থান কী, তাও স্পষ্ট হয়ে যাবে । বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনকে উদ্ধৃতি করে ঢাকার ওই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে, "তিনি (ইমরান খান) কোরোনা ও বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে ফোন করেছিলেন । এটি শুধুমাত্র সৌজন্যের ফোন ছাড়া আর কিছুই নয় । পাকিস্তান যদি আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করতে উদ্যোগী হতে পারে, তবে তা ভালোই ।"

পাশাপাশি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে যেভাবে 30 লাখ বাংলাদেশিকে হত্যা করেছিল পাকিস্তান, যেভাবে হাজার হাজার মহিলাকে ধর্ষণ করেছিল, তা কোনওদিনই ভোলার নয় । এই কথাও মনে করিয়ে দেন তিনি । "পাকিস্তান এখনও পর্যন্ত 1971 সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়ের গণহত্যার জন্য ক্ষমা চায়নি । আমরা চাই সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখতে । কিন্তু কেউ যদি ক্ষমা না চায়, তবে তা কীভাবে সম্ভব ?", প্রশ্ন মোমিনের ।

ইসলামাবাদ এদিকে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করার জন্য লাগাতার চেষ্টা করে যাচ্ছে । সম্প্রতি একাত্তরে মানবিকতা বিরোধী কাজ করার জন্য বেশ কয়েকজন মূল অভিযুক্তকে ফাঁসিও দিয়েছে বাংলাদেশ । শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে অশান্ত করারও অভিযোগ রয়েছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে । এই পরিস্থিতিতে আগামী দিনে বাংলাদেশ কোনদিকে মোড় নেয়, সেই দিকেই নজর ভারতের ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.