বেজিং, 16 ডিসেম্বর : পূর্বসূরি ডেল্টা (Delta) এবং কোভিড-19 (COVID-19)-এর আদিমতম সংস্করণের তুলনায় 70 গুণ দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট ওমিক্রন (Omicron Infects 70 Times Faster) ৷ অর্থাৎ করোনার এই স্ট্রেনের সংক্রমণ ক্ষমতা সবথেকে বেশি ৷ তবে স্বস্তির বিষয় হল, ভাইরাসের এই সংস্করণটির প্রভাব খুব বেশি মারাত্মক নয় ৷ সাম্প্রতিক সমীক্ষা রিপোর্টে এই তথ্যই উঠে এসেছে বলে দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞরা ৷ প্রসঙ্গত, হংকং বিশ্ববিদ্য়ালয়ের (University of Hong Kong) গবেষকরা ওমিক্রনের চরিত্র নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন ৷ তাতেই উঠে এসেছে এই নয়া তথ্য ৷
আরও পড়ুন : Omicron in Bengal: বঙ্গেও ওমিক্রনের হানা, আক্রান্ত আবুধাবি ফেরত সাত বছরের বালক
করোনা ভাইরাসের অন্যান্য ভ্য়ারিয়্যান্টের মতোই ওমিক্রনও ফুসফুসে হামলা চালায় ৷ তবে কোভিডের অন্যান্য স্ট্রেনগুলি ফুসফুসের যতটা ক্ষতি করে, ওমিক্রনের প্রভাব তার থেকে অনেকটাই কম ৷ ফলে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত গতিতে বাড়লেও তাঁদের অসুস্থতা গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছয় না ৷
হংকং বিশ্ববিদ্য়ালয়ের সহকারী অধ্যাপক মিশেল চ্যান চি-ওয়াই এই প্রসঙ্গে জানান, তিনি ও তাঁর সহকর্মীরা প্রথমেই ওমিক্রন স্ট্রেনটিকে ভাইরাসের অন্যান্য় সংস্করণগুলি থেকে আলাদা করে ফেলেন ৷ তারপর মানুষের শ্বাসনালী ও ফুসফুসে তার প্রভাব নিয়ে পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা শুরু করেন ৷ একইসঙ্গে, করোনার প্রাথমিক স্ট্রেন এবং ডেল্টা ভ্য়ারিয়্য়ান্ট কতটা ক্ষতিকর, তার সঙ্গে ওমিক্রনের তুলনামূলক সমীক্ষা চালান ৷ তাতেই জানা যায়, ওমিক্রনের সংক্রমণ ক্ষমতা বাকিদের থেকে বেশি হলেও তা অন্যদের মতো অতটা ক্ষতিকর নয় ৷
আরও পড়ুন : Omicron in Bengal : ওমিক্রন আবহে কী করবেন, জেনে নিন চিকিৎসকদের পরামর্শ
গবেষকদের দাবি, আক্রান্তের শরীরে প্রবেশ করার 24 ঘণ্টার পর 70 গুণ দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে ভাইরাসের এই ভ্য়ারিয়্যান্ট ৷ তবে এক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখা দরকার বলে মনে করেন মিশেল চ্যান চি-ওয়াই ৷ তাঁর ব্যাখ্যা, ভাইরাস কত দ্রুত নিজের সংখ্যা বাড়াচ্ছে, শুধুমাত্র তার উপরেই সংক্রমণের গতি নির্ভর করে না ৷ আক্রান্ত ব্যক্তির স্বাস্থ্য এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ৷ সম্প্রতি কিছু গবেষক দাবি করেছিলেন, বিশ্বব্যাপী করোনার যে টিকাগুলি দেওয়া হয়েছে, ওমিক্রন ঠেকানোর ক্ষমতা তাদের নেই ৷ এর ফলে স্বাভাবিকভাবে জনমানসে উদ্বেগ বেড়েছিল ৷ সেখানে এই নয়া পর্যবেক্ষণ কিছুটা হলেও স্বস্তি এনেছে ৷