ক্রাইস্টচার্চ, ১৬ মার্চ : শুক্রবারে মসজিদে প্রার্থনার জন্য জড়ো হয়েছিলেন প্রায় ৩০০ জন মানুষ। স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি, মোটের উপর শান্তিপূর্ণ দেশ এক লহমায় হয়ে উঠবে রক্তস্নাত। নির্বিচারে গুলি চালানোর ঘটনায় প্রাণ যাবে ৪৯ জন নিরীহ মানুষের। যাঁরা বেঁচে ফিরেছেন কীভাবে কী হল তা বুঝতে পারছেন না। তারই মধ্যে তাঁরা ধন্যবাদ দিচ্ছেন এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে। তিনি না থাকলে কী হত ভেবেই তাঁদের শিরদাড়া দিয়ে এখনও হিমেল স্রোত বয়ে যাচ্ছে।
গতকাল গুলি চালানোর ঘটনার সময় মসজিদে ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ফয়জল সৈয়দ। প্রার্থনার সময় আচমকা গুলির আওয়াজ শুনতে পান। চোখের সামনে দেখেন হত্যালীলা। অক্ষত অবস্থায় বেরিয়ে আসতে পারলেও মারা গেছেন তাঁর এক বন্ধু। অপর একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি বলেন, "এরকম পরিস্থিতিতে আপনার হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। আপনি কিছু অনুভব করতে পারেন না।"
ভাগ্যের জোরে বেঁচে ফেরার জন্য ঈশ্বরকে অশেষ ধন্যবাদ দিচ্ছেন তিনি। আর এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে। তাঁর কথায়, "মসজিদে তখন গুলি চলছিল। আমি ও আমার এক বন্ধু দেখি, এক ভদ্রলোক হামাগুড়ি দিয়ে আততায়ীকে পিছন থেকে জাপটে ধরেন। বন্দুক মাটিতে পড়ে যাওয়া পর্যন্ত আততায়ীকে ধরেছিলেন তিনি।" তিনি জানান, ওই ব্যক্তি না থাকলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারত। তাঁর কথায়, "ওই ব্যক্তি যদি না থাকতেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ত। তাঁকে সেলাম। খুঁজে বের করার চেষ্টা করব।"
উল্লেখ্য, গতকাল নিউজ়িল্যান্ডের দুটি মসজিদে গুলি চলার ঘটনায় কমপক্ষে ৪৯ জনের মৃত্যু হয়। গুরুতর জখম হয়েছেন ২০ জন।