দিল্লি, 5 অগাস্ট :ভারতের কাশ্মীরকে যুক্ত করে পাকিস্তান একটি নতুন ম্যাপ প্রকাশ করল ৷ এই নতুন মানচিত্র উদ্বোধন করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ৷ মঙ্গলবার সেই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহবুব কুরেশিকে সঙ্গে নিয়ে ইমরান এই মানচিত্র প্রকাশ করেন ৷ মানচিত্র প্রকাশ করে ইমরান বলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিষদের অনুমোদনের পরই এই মানচিত্র প্রকাশ করা হয়েছে ৷ এই মানচিত্র এবার থেকে দেশের স্কুল কলেজে ব্যবহৃত হবে ৷ পাকিস্তানের এই অপচেষ্টাকে তীব্র ভাষায় প্রতিবাদ জানাল ভারত ৷
2019 সালে 5 অগাস্ট কাশ্মীরের স্বায়ত্বশাসন রদ করে ভারত ৷ 2020 সালে বুধবার এই ঘটনার বর্ষপূর্তি হচ্ছে ৷ তার ঠিক একদিন আগে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এই মানচিত্র প্রকাশ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল ৷ শাহ মেহবুব কুরেশি বলেন, "দেশের নতুন রাজনৈতিক মানচিত্রের বিষয়ে আমাদের দেশের পুরো জাতি ঐক্যবদ্ধ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীপরিষদ এই সিদ্ধান্তকে পূর্ণ সমর্থন করে।" তাঁর মতে, এই মানচিত্র প্রকাশ করে পাকিস্তান কাশ্মীরের জনগণকে একটি স্পষ্ট বার্তা দিতে চায় ৷ এর আগেও অতীতে পাকিস্তান সরকার কাশ্মীরিদের পাশে ছিল এবং তাদের পাশে ভবিষ্যতেও থাকবে৷ ভারতের নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরকে পাকিস্তান নিজেদের মানচিত্রে স্থান দেওয়ার ঘটনাকে" ঐতিহাসিক দিন" বলে কুরেশি মন্তব্য করেন ৷
ভারত এই ঘটনাকে তীব্র ভাষায় নিন্দা করেছে ৷ এই মানচিত্রের মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ এবং পশ্চিম গুজরাতের কিছু অংশকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ভারত এই ঘটনাকে হাস্যকর বলেছে ৷ ভারত সরকারের এক আধিকারিক বলেন, আমরা দেখেছি পাকিস্তানের একটি তথাকথিত "রাজনৈতিক মানচিত্র" যা প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান প্রকাশ করেছেন। "
এই আধিকারিক বলেন, পাকিস্তানের হাস্যকর দাবিগুলির আইনি বৈধতা বা আন্তর্জাতিক বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। প্রকৃতপক্ষে, এই ঘটনা সীমান্ত সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করা হয়েছে ৷
তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান তার মাটি থেকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনকে সাহায্য করছে ৷ ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্কফোর্সের (FATF) গ্রে তালিকায় থাকা সত্ত্বেও পাকিস্তান তা করছে।