ব্যাংকক, 4 নভেম্বর : ব্যাংককে চলছে তিনদিন ব্যাপী আঞ্চলিক অর্থনৈতিক বৈঠক ৷ বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছেন ভারত সহ 16টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ৷ সমগ্র এশিয়াব্যাপী আঞ্চলিক বাণিজ্যিক সহযোগিতা চুক্তিতে নির্ণায়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বৃহত্তর বাণিজ্যিক কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য আলোচনা চলছে এই বৈঠকে ৷ অংশগ্রহণকারী 16টি দেশের GDP পৃথিবীর মোট GDP-র এক তৃতীয়াংশ ৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বারবার বাণিজ্যের দিক থেকে ভারতকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন ৷ ভারতও আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তিতে যুক্ত থাকবে মনে করা হচ্ছে এমনই৷
ASEAN-এর এই বৈঠকের শেষে 16 দেশের রাষ্ট্রপ্রধান আজ আঞ্চলিক বাণিজ্যিক চুক্তির বিষয়ে সরকারিভাবে তাঁদের সিদ্ধান্ত জানাবেন ৷ ইতিপূর্বে বৈঠকে ভারত বেশ কিছু বিষয়ে আপত্তি প্রকাশ করে ৷ আঞ্চলিক বাজারে চিনা পণ্যের রমরমা নিয়ে বৈঠকে শঙ্কা প্রকাশ করেছিল ভারত ৷ দিল্লির তরফে দাবি আনা হয়েছে," ভারতের এই বৃহৎ মুক্ত বাজারে এমনও কিছু স্থান থাকা দরকার যেখানে আমাদের বাণিজ্যগুলিরও লাভ হবে ৷" সূত্রের খবর, ভারতের এই দাবি মেনে নিয়ে চলতে হলে যথেষ্টই বেগ পেতে হয়েছে বাকি অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্রগুলিকে ৷ আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কিছু ঘোষণা করা না হলেও নির্ণায়ক সিদ্ধান্তে পৌছে যাওয়া হয়েছিল গতরাতেই ৷ সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছিল দিল্লি থেকেও ৷ ভারতও আঞ্চলিক বাণিজ্যিক চুক্তিতে যুক্ত থাকবে ৷ এমনটাই সিদ্ধান্তে আসে 16টি রাষ্ট্রের যৌথ বৈঠকে ৷
বৈঠকের আহ্বায়ক দেশ থাইল্যান্ড এবছরেরই শেষে প্রাথমিক একটি সিদ্ধান্তে আসার জন্য প্রস্তাব দিয়েছে ৷ অ্যামেরিকা-চিন টানাপোড়েনের মুখে ঝিমিয়ে পড়া আঞ্চলিক অর্থনীতিকে তুলে ধরতে এই উদ্যোগটি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ ৷ থাইল্যান্ডের অর্থমন্ত্রী জুরিন লাকসানাউইসিত এদিন বলেন, "বৈঠকের অগ্রগতির তথ্য খুব শীঘ্রই রাষ্ট্রপ্রধানরা আজ ঘোষণা করবেন ৷ ভারতও এই চুক্তিতে সহমত হয়েছে ৷ আগামী বছরে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে ৷ "
এই বৈঠকে ইতিবাচক কোনও ফলাফল বেরিয়ে আসলে লাভবান হবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলি ৷ অ্যামেরিকা-চিন বাণিজ্যিক টানাপোড়েনের মাঝে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির বাণিজ্য সেভাবে লাভের মুখ দেখছিল না এতদিন ৷ তবে চিনা পণ্য সম্পর্কে কী ভাবছে দিল্লি, তার দিকেই তাকিয়ে আছে গোটা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলি ৷