দিল্লি, 22 জুন : পিপল'স লিবারেশন আর্মির হাতে 16 চিনা জওয়ানের মৃতদেহ তুলে দেওয়া হয়েছে ৷ ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সেই খবর প্রকাশের একদিন পরেই চিনা জওয়ানদের মৃত্যুর কথা স্বীকার করল চিন সরকার ৷ তবে, মোট কত জন জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে তা জানায়নি তারা ৷ আজ চিনের তরফে জানানো হয়েছে, গত সপ্তাহের সোমবার লাদাখে নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারতের সঙ্গে যে সংঘর্ষ হয়েছিল, তাতে তাদের 20 জনের কম জওয়ানের মৃত্যু হয় ৷
সংঘর্ষের কথা সামনে আসার পরই ভারতের তরফে জানানো হয়, নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনের সঙ্গে সংঘর্ষে 20 জন ভারতীয় জওয়ান শহিদ হয়েছেন ৷ কিন্তু, এই সংঘর্ষে চিনা জওয়ানদের ঠিক কত জন জখম বা মারা যান, তা নিয়ে মুখ বন্ধ রেখেছিল বেজিং ৷ কোনওরকম বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি তাদের তরফে ৷ কারণ হিসেবে চিনের কমিউনিটি দলের মুখপত্র গ্লোবাল টাইমসে একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়, উত্তেজনা এড়াতেই প্রথমে সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যা জানায়নি বেজিং ৷ সেই প্রতিবেদনে লেখা হয়, "যদি চিন তাদের জওয়ানদের মৃত্যুর কথা প্রকাশ করত, তাহলে ভারত সরকার ফের চাপে পড়ে যেত ৷ "
আজই চিন স্বীকার করে যে, লাদাখে ভারত-চিন সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে কমান্ডিং অফিসারের ৷ আজ লাদাখ ইশু নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করে ভারত-চিন ৷ সূত্রের খবর, বৈঠকে চিনা সেনার তরফে মেনে নেওয়া হয় যে, লাদাখে ভারত-চিন সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে একজন চিনা কমান্ডিং অফিসারের ৷ আর তার কিছুক্ষণ পরই তাদের সেনা জওয়ানদের মৃত্যুর কথা স্বীকার করল চিন ৷ তবে, ঠিক কত জন জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে তা জানায়নি তারা ৷ যদিও, সংঘর্ষের পরে ভারতের তরফে দাবি করা হচ্ছিল, চিনের 43 জন জওয়ান জখম বা মৃত্যু হয়েছে ৷
গত সপ্তাহের সোমবার গালওয়ানে নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘর্ষে জড়ায় ভারত-চিন ৷ তাতে ভারতীয় সেনার কর্নেল সন্তোষ বাবু শহিদ হন ৷ 76 জন সেনাকর্মী জখম হন ৷ সেনাসূত্রে খবর, তাঁরা কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সুস্থ হয়ে কাজে যোগ দিতে পারবেন ৷