বেজিং, 17 ফেব্রুয়ারি : চিনে কোরোনার প্রভাব অব্যাহত ৷ এই ভাইরাসের প্রভাবে চিনে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে 1770-তে ৷ চিনজুড়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা 68 হাজার ছাপিয়ে গিয়েছে ৷ আজ তাইওয়ানে 61 বছরের এক ব্যক্তি কোরোনা সংক্রমণে প্রাণ হারিয়েছেন ৷
83 বছর বয়সি অ্যামেরিকার এক নাগরিকের রক্তের নমুনায় মিলেছে কোরোনা ভাইরাস ৷ কাম্বোডিয়ার একটি জাহাজে যাত্রী ছিলেন তিনি ৷ ক্রুজের অন্যদের সরিয়ে নেওয়া হলেও পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে ৷ জাপান থেকে প্রায় 400 জন অ্যামেরিকার বাসিন্দাকে উড়িয়ে আনা হয়েছে ৷ এদিকে জাপানের ডায়মন্ড প্রিন্সেস ক্রুজ শিপের 40 জন অ্যামেরিকাবাসীর রক্তে মিলেছে কোরোনা ভাইরাস৷
অন্যান্য দেশে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও কোরোনা ভাইরাসের উৎপত্তিস্থান হুবেই প্রদেশে তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি ৷ মৃতদের মধ্যে 139 জন হুবেইয়ের বাসিন্দা ৷ যদিও মৃতের সংখ্যা বাড়লেও ভাইরাসের প্রভাব কমছে ৷
কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে 1716 জন স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন কোরোনা ভাইরাসে, তাদের মধ্যে 6 জন মৃত্যু পথযাত্রী ৷ অনেকে হুবেই প্রদেশে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন ৷ পর্যাপ্ত মাস্ক ও পোশাক না থাকাতেই তাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে ৷ অন্যদিকে চিনের রাষ্ট্রপ্রধান শি জিনপিং ডিজিটাল প্রযুক্তি যেমন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ক্লাউড কম্পিউটার ইত্যাদি ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন যা মহামারী পর্যবেক্ষণ এবং বিশ্লেষণ, ভাইরাস শনাক্তকরণ, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা করতে সাহায্য করবে ৷ ইতিমধ্যেই ইউহানের হাসপাতালগুলিতে রোবট পাঠানো হয়েছে, যা রোগীদের চিকিৎসায় সাহায্য করবে ৷