ওয়াশিংটন, 9 জানুয়ারি : ক্যাপিটলে হামলার জন্য কি মেয়াদ শেষের আগেই পদ ছাড়তে হবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে? তাঁকে ইমপিচমেন্টের মুখে পড়তে হবে? এই নিয়েই সরগরম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে সারা বিশ্বের বিভিন্ন মহল। এই পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প নিজেই নিজেকে ক্ষমা করতে চান। আর সেই সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই তিনি ঘনিষ্ঠ মহলে আলোচনা শুরু করেছেন বলে খবর।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সর্বেশষ ফল এসেছে কয়েকদিন আগেই। তাতে দেখা গিয়েছে প্রত্যাশা মতোই জো বাইডেন পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে চলছেন। আগামী 20 জানুয়ারি তাঁর দায়িত্ব নেওয়ার কথা। কিন্তু তাঁর আগে ওয়াশিংটনের ক্যাপিটলে আচমকা হামলা চালায় ট্রাম্প সমর্থকরা। তার প্রেক্ষিতে বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। ট্রাম্পকে ফেসবুক ও টুইটার ব্লক করে দিয়েছে। এবার সামনে আসছে এর মধ্যেই তাঁকে ইমপিচ করার বিষয়টি।
সেটাই আটকাতে চান ট্রাম্প। বিপাকে পড়ে মুখে শান্তির বার্তা দিচ্ছেন তিনি। ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় কোনও সমস্যা হবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। তারপরও তাঁর আশঙ্কা কাটছে না। তাই তিনি নিজেই নিজেকে ক্ষমা করার রাজনৈতিক ও আইনি দিকগুলি খতিয়ে দেখছেন বলে খবর। জানা গিয়েছে যে ট্রাম্প নিজেই পদ ছেড়ে দেবেন। আর এই সামান্য সময়ের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হবে বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্টকে। তিনিই ট্রাম্পকে ক্ষমা করে দেবেন। তবে এই নিয়ে আইনি জটিলতা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: 26/11-র মূলচক্রী লকভিকে 15 বছরের কারাদণ্ড দিল পাক আদালত
এদিকে হাউজ় অফ রিপ্রেজ়েন্টেটিভের স্পিকার ন্যানসি পেলোসি ও সেনেটের ডেমোক্র্য়াট লিডার চাক স্কুমার ট্রাম্পকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি তুলেছেন। তাঁদের বক্তব্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের 25 তম সংশোধন মেনে সরিয়ে দেওয়া হোক ট্রাম্পকে।