ওয়াশিংটন, 23 জুন : H-1B ভিসা সংশোধনের নির্দেশ দিলেন অ্যামেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প । এবার থেকে মেধার ভিত্তিতে এই ভিসা প্রদান করা হবে বলে হোয়াইট হাউজ় সূত্রে খবর ।
ট্রাম্পের নির্দেশ পাওয়ার পর হোয়াইট হাউজ়ের তরফে এক বিবৃতি জারি করা হয় । বিবৃতিতে বলা হয়, “চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত H-1B ভিসা এবং অন্যান্য ওয়ার্ক ভিসা বাতিল করা হচ্ছে । অভিবাসন প্রক্রিয়াকে ঢেলে সাজানো হবে । অ্যামেরিকানদের চাকরি সুরক্ষিত করতে এবং সর্বোচ্চ দক্ষ কর্মীদের নিয়োগ করতে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে । এই প্রক্রিয়ায় আমেরিকা কর্মরতদের সর্বোচ্চ অর্থ প্রদানের বিষয়টি গুরুত্ব পাবে ।”
হোয়াইট হাউজ় সূত্রের খবর, এই পুরো প্রক্রিয়ায় যাতে কোনোও ফাঁকফোকর না থাকে সেদিকে কড়া নজর দেবে ট্রাম্প প্রশাসন । বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অ্যামেরিকানদের পরিবর্তে বিদেশি কর্মীদের কম বেতন দিয়ে কাজ করানোর প্রবণতা রয়েছে । সেরকম যাতে না হয় তার জন্য কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে হোয়াইট হাউজ় । পাশাপাশি হোয়াইট হাউজ়ের তরফে জানানো হয়েছে, নতুন অভিবাসন প্রক্রিয়ায় অ্যামেরিকানদের চাকরি সুরক্ষিত হবে । পাশাপাশি যারা বিদেশ থেকে অ্যামেরিকায় প্রবেশ করছেন, তাঁঁরা যথেষ্ট দক্ষ হবেন । এতে অ্যামেরিকার মানোন্নয়ন হবে । প্রেসিডেন্ট সব সময় সেরা জিনিস পাওয়ার কথা বলেন । পাশাপাশি তিনি সবসময় অ্যামেরিকানদের চাকরি সুরক্ষিত করতে চান । তাই নতুন অভিবাসন প্রক্রিয়া দু'দিক সুরক্ষিত করবে ।
অ্যামেরিকায় গতবছর দু'লাখ 25 হাজার মানুষকে H-1B ভিসা দেওয়া হয়েছে । গত বছর পর্যন্ত লটারির মতো H-1B ভিসা বিলি করা হয়েছে । প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁঁর আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন, H-1B ভিসা যেন বেতন ও দক্ষতার ভিত্তিতে দেওয়া হয় । এর ফলে H-1B ভিসার জন্য যারা আপিল করছেন, তাদের বেতন বেশি হবে এবং দক্ষতা বাড়বে । পাশাপাশি চাকরি ক্ষেত্রে অ্যামেরিকানদের প্রতিযোগিতা কমবে । বেতনের ক্ষেত্রে পরিবর্তনের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প । হোয়াইট হাউজ়ের এক আধিকারিক জানান, “বিল ক্লিনটনের সময় থেকে বেতনে রাশ টানার বিষয়টি চলে আসছে । এই পদ্ধতি আর চলবে না । বেতনের বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের শ্রমদপ্তর নির্দিষ্ট করে দেবে । H-1B ভিসার অপব্যবহারের বিষয়ে তদন্ত করবেন শ্রমদপ্তরের সচিব । প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশে তিনি পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন ।”