অতিরিক্ত জনবসতি বর্তমান বিশ্বে অন্যতম বড় সমস্যা ৷ সেই সংকট বাড়ায় আর্থসামাজিক সংকটকে ৷ বিশেষত এশিয়া তথা ভারতীয় উপমহাদেশে ৷ অবশ্য শুধু আর্থসামাজিক ক্ষেত্রেই নয়, পকেটে পয়সা আছে যার, ভিড় থেকে মুক্তি চায় সেও ৷ তাই নির্জন অবকাশের খোঁজ ৷ সমুদ্র-পাহাড়ে-জঙ্গলে বেড়াতে যায় মানুষ ৷ দু'দণ্ড শান্তির লোভে ৷ না, এই মানুষটার সেই দরকার নেই ৷ কারণ, তিনি একটি আস্ত গ্রামের একমাত্র বাসিন্দা !
গ্রামটি অ্যামেরিকার ৷ সেখানকার নেব্রাস্কার বয়েড কাউন্টির ছোট্ট গ্রামের নাম মনোউই ৷ 0.21 বর্গকিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত সুন্দর ভূভাগ ৷ এতখানি পরিসর জুড়ে কিন্তু একজন মানুষেরই "রাজত্ব" ! তিনি কোনও যুবাও নন ৷ তবু, দিব্য ফাঁকা একা নির্জন গ্রামে থাকেন 86 বছরের বৃদ্ধা এলসি এইলার ৷ প্রশ্ন হল, এই গ্রামে একাই এলসি রইলেন, আর কেউ থাকল না কেন ?
জানা যায়, 1902 সালে গড়ে ওঠা গ্রামটি একটা সময় বেশ সমৃদ্ধ ছিল ৷ পুরোনো নথি ঘেঁটে দেখা যায়, 1930 সালের জনগণনায় গ্রামে 150 জন বাসিন্দা ছিলেন ৷ কিন্তু প্রান্তিক গ্রামটিতে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি বহু পরেও ৷ এর ফলেই গ্রমের যুবক সম্প্রদায় একে একে গ্রাম ছেড়ে শহরে চলে যান ৷
এভাবেই 2000 সালে দেখা যায়, গ্রামে পড় আছেন মাত্র 2 জন মানুষ ৷ তাঁরা দম্পতি ৷ এলসি এইলার ও স্বামী রুডি এইলার ৷ 2004 সালে রুডির মৃত্যু হয় ৷ এখান মনোউইয়ে একাই থাকেন বৃদ্ধা এলসি ৷ গ্রামে তাঁর একটি লাইব্রেরি কাম রেস্তরাঁ আছে ৷ প্রশ্ন উঠবে, গ্রামে যখন কেউ নেই তবে কে আসবে ওই নির্জন গ্রামের লাইব্রেরি-রেস্তরাঁতে ?
এলসির অপূর্ব লাইব্রেরি কাম রেস্তোরাঁয় দূর দূর গ্রামের বইপ্রেমীর ছুটে আসেন ৷ তবে, যখন তাঁরা ফিরে যান তখন 86 বছরের এলসি এইলার একাই একটি গ্রাম !