ওয়াশিংটন, 21 এপ্রিল : ঐতিহাসিকভাবে দাম পড়ে যাওয়ার পর আজ শূন্য থেকে ঘুরে দাঁড়াল অপরিশোধিত তেলের দাম । গতকালই এটি মাইনাসের নিচে চলে যায় ।
কোরোনার আতঙ্কে কাঁপছে বিশ্ব । যার প্রভাব পড়েছে ছোটো থেকে বড় সব বাজারেই । এর জেরে কমে অপরিশোধিত তেলের দাম । সোমবার অ্যামেরিকার বাজারে শূন্য ডলারের নিচে নামে এর দাম ।
কোরোনার জেরে চাহিদা কমেছে অপরিশোধিত তেলের । যার জেরে মে মাসের মধ্যে অপরিশোধিত তেল রাখার জায়গা থাকবে না এমন আশঙ্কা করেই আন্তর্জাতিক বাজারে দাম পড়তে শুরু করে । যা শুক্রবার 21 বছরে সর্বনিম্ন রেকর্ড গড়ে । কিন্তু ফের সোমবার মধ্যরাতে দাম পড়ে যাওয়ায় এটি 37 বছরে সর্বনিম্ন হয়ে রেকর্ড গড়ে । 1983 -এর পর এই প্রথম এতটা কমে তেলের দাম । পরে অবশ্য চাঙা হতে শুরু করে বাজার।
নিউইয়র্কে ব্যারেল প্রতি মূল্য -37.63 ডলার থেকে শেষমেশ হস্তান্তরিত হয় 1.10 ডলার প্রতি ব্যারেলে। আজই মে মাসের চুক্তি শেষ হচ্ছে। এর অর্থ যেসব বিক্রেতা এই অপরিশোধিত তেল কেনেন তাঁদের তা বিক্রি করে ফেলতে হবে। কিন্তু, কোরোনার প্রভাবে বাজারে যা অবস্থা তাতে ক্রেতা পাওয়া কার্যত দুরূহ। কারণ, ইতিমধ্যেই সঞ্চিত রয়েছে অপরিশোধিত তেল। এই পরিস্থিতিতে জুন মাসের তেল নিয়ে মাথা বেশি ঘামাচ্ছেন বিক্রেতারা। কারণ, এর বাজারদর 30 গুণ বেশি হতে পারে। এই বাজারদরও ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। নিউইয়র্কে ব্যারেল প্রতি 20.43 ডলার থেকে 21 ডলারে এসে ঠেকেছে। আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ট ক্রুড জুন মাসের ক্ষেত্রে ব্যারেল প্রতি দাম নির্ধারণ করে 25.61 ডলার।
কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে যে লকডাউন শুরু হয়েছে তার জেরেই তেলের বাজারে এই অবস্থা। পরিস্থিতি আরও খারাপ হয় দাম নিয়ে সৌদি আরব ও রাশিয়ার দ্বন্দ্বে। প্রভাব পড়ে অ্যামেরিকার বাজারে। মে মাসের জন্য অ্যামেরিকার অপরিশোধিত তেলের বাজার খোলা মাত্র দাম ঋণাত্মক হয়ে যায় । যা অতীতে কখনও হয়নি । দিনের শেষে এক ব্যারেল অপরিশোধিত তেল বিক্রি হয়েছে মাত্র - 37.63 ডলারে । ব্রেন্ট ক্রুডে অবশ্য এর দাম ছিল 25 ডলার ।